“ফিমেল” নাটক রিভিউ। দারুন হাঁসির একটি নাটক।।

Screen Short Form Probashir Digonto

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে চলে আসলাম। অনেক দিন যাবৎ খুবই হাঁসির একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো ভাবতেছিলাম। কিন্তুু সুযোগ হচ্ছিলো না। আজকে সিদ্ধান্ত নিলাম রিভিউটা করেই ফেলি। আপনারা সবাই একটি শব্দের সাথে খুবই পরিচিত আছেন। আর সেই শব্দটি হলো ফিমেল। ফিমেল একটি স্ত্রীবাচক শব্দ,যার অর্থ নারী,মহিলা বা মেয়ে লোকও বলা হয়।

একজন পুরুষের জীবনে পরিবর্তন ঘটানোর প্রধান অস্ত্র হলো নারী। নারী একনজ পুরুষের জীবনে কি পরিবর্তন ঘটাতে পারে সেটা অবশ্যই সবাই জানেন। আজকের নাটকে দেখতে পারবেন, একজন নারীকে নিয়ে কতজন পুরুষের জীবনে ঝামেলা আসে। একদিকে নারীর আঁচলে যেমন শান্তি আছে ঠিক তেমনি পৃথিবীতে যত জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তার পিছনেও নারীই রয়েছে। নারী এমন একটি প্রাণী যার রহস্য আজও কেউ বের করতে পারে নাই। নাটকটি দেখলে বা রিভিউটি ভালো ভাবে পড়লে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।

নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য

• নাটকের নাম- ফিমেল
• পরিচালক-কাজল আরেফিন অমি
• অভিনয়-জিয়াউল হক পলাশ,চাষী আলম (হাবু ভাই),মিশু সাব্বির,মারজুক রাসেল,শরাফ আহমেদ জীবন, সাইদুর রহমান পাভেল, সুমন পাটোয়ারী, লামিমা লাম, শিমুল শর্মা এবং আরো অনেকে।
• মুক্তির তারিখ:১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
• সময়: ১ ঘন্টা ২ মিনিট
• দেশ: বাংলাদেশ
• ভাষা: বাংলা
• ধরন: কমেডি

নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ-

পরিচালক কাজল আরেফিন অমি সবসময় ফানি নাটক তৈরী করে থাকে। তার অনেক নাটক আমি দেখেছি। বর্তমান প্রজন্মের সবাই এক নামে তাকে চিনে। তার পরিচিতিটা বেশি হয়েছে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক দিয়ে। আমি ফিমেল শেষ করে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক রিভিউ শুরু করবো। ফিমেল নাটকটি ২০২১ সালের প্রথম দিক দিয়ে মুক্তি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ত্রিশ মিলিয়েনে উপরে ভিউ হয়েছে। কয়েক হাজার কমেন্ট আর কয়েক লাখ লাইক পড়েছে। ফিমেল নাটকটি এখন পর্যন্ত পাঁচটি পর্ব বের হয়েছে। নাটকটিতে অভিনয় করেছে পলাশ,আলম, সাব্বির, রাসেল, জীবন,পাভেল, লামিমা, শিমুল সহ এক গুচ্ছ নাটক অভিনেতা। তাদের নাটক খুবই ফানি হয়ে থাকে। এই নাটক দিয়েই তাদের পরিচিতি আসে।

screen short Form Youtube

নাটকটির প্রধান আকর্ষণ হলো এই ফিমেলটি। তাকে নিয়েই যত গন্ডগোল। সে মূলত বিমান বালা কি না জানি না। তবে বিমান বালার ড্রেস পড়ে আসা যাওয়া করে। সে টোটল নামের এক ভদ্রলোকের বাসায় ভাড়া থাকে। ভদ্রলোক একটু মোটা হওয়ার কারনে সবাই তাকে হাতি টোটল নামে ডাকে। নাটকে যারা অভিনয় করেছে সবাই অবিবাহিত। এই মেয়েটিকে দেখার পর থেকে সবাই ব্যাটরি গলির সেই হাতি টোটলের বাসার সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে। মেয়েটিকে একনজন দেখার জন্য সবাই অধির আগ্রহে দাড়িয়ে থাকে। তবে মেয়েটি কারো দিকে তাকায় না। সে বিবাহিত না অবিবাহিত সেটাও কেউ জানে না।

screen short Form Youtube

এই সেই ব্যাটারি গলির হাতি টোটলের বাসা। মেয়েটি মাঝে মধ্যে বই পড়তে পড়তে বা মোবাইল টিপতে টিপতে বারান্দায় আসে। আর বাসার অপর পাশে পলাশ আর সাব্বির দাড়িয়ে থাকে। নাটকে পলাশের নাম থাকে শাহ আলম। ড্যান্স করে বলে সবাই তাকে ড্যান্সার শাহ আলম বলে ডাকে। আবার অন্যদিকে সাব্বিরের নাম থাকে সোহেল। সে সবসময় জিম করে বলে সবাই তাকে বডি সোহেল নামে ডাকে। দুই জনের সাথে আবার দুইজন বন্ধু থাকে। মোট চারজন সবসময় এই বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকে। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক জামেলা হয়। দুইজনের মামা ও চাচা মিলে আবার তাদের জামেলা মিটিয়ে দেয়। আর বলে দেয় তারা যেন ব্যাটারি গলিতে না যায়।

screen short Form Youtube

সোহেলের মামা হলো রাসেল। রাসেল তথা আকবরের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, সে জন্য তাকেই সবাই এতিম আকবর বলে ডাকে। শাহ আলমের চাচা হলো আলম তথা মিজান। মিজান কয়েকটা কুকুর পালন করে, সেজন্য সবাই তাকে কুত্তা মিজান বলে ডাকে। মিজান আর আকবর আবার দুই বন্ধু। তারা তাদের ভাগিনা ভাতিজাকে ব্যাটরি গলিতে না আসার জন্য নিষেধ করেছিল। তারা সেখানে যায় কি না সেটা দেখার জন্য তারা দুইজন ব্যাটারি গলিতে ঘুরতে এসে সেই মেয়েটিকে দেখতে পায়। ফিমেলকে দেখার পরে তারাও পোষাক পরিবর্তন করে সেই গলিতে ঘুরতে থাকে। ভাগিনা ভাতিজার মত তারাও সেই মেয়েকে দেখার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এখন তারাই সেই গলিতে আড্ডা দেয়।

screen short Form Youtube

আগে এই গলিতে ঘুরতো শাহ আলশ আর সোহেল এখন তাদের সাথে যোগ হয়েছে আকবর আর মিজান। নাটকে দেখা যায় তারা বাড়ির সামনে ঝাল মুড়িওলা ও ফুচকাওলাও বসিয়ে দিয়েছে। এখন ব্যাটারি গলি বাজারের মত হয়ে গেছে। বাড়ির মালিক হাতি টোটল তাদেরকে তারানোর জন্য এলাকার কমিশনার লাবু মিয়ার কাছে অভিযোগ করে। লাবু মিয়া বিষয়টি দেখার জন্য স্বশরীরে ব্যাটারি গলিতে যায়। সেও ব্যাটারি গলিতে গিয়ে সেই মেয়েটিকে দেখতে পায়। এখন লাবু মিয়াও সেই মেয়ের পিছনে ঘুরতে তাকে। অবশেষে হাতি টোটল পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে সবাইকে তারিয়ে দেয়। এটা নিয়ে মিজান আর আকবরের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। সেই মারামারিতে যোগ দেয় সোহল আর শাহআলম। গেঞ্জাম করার কারনে পুলিশ আবার সবাইকে জেলে নিয়ে এক মাস আটকে রাখে। এক মাস পরে এসে দেখে সেই মেয়েটি বাসা ছেড়ে চলে গেছে। আবার সবার মধ্যে আগের মত বন্ধুত্ব হয়। সবাই মিলে একদিন ব্যাটারি পাড়ায় ক্যারাম খেলতে থাকে। এমন সময় আবার সেই মেয়েটি ভাড়া বাসায় আসে। তখন আবার বন্ধুদের মধ্যে সেই মেয়েকে নিয়ে গেঞ্জাম শুরু হয়,হা হা হা।

নিজের মতামত-

নাটকটি খুবই হাঁসির একটি নাটক। একটি মেয়েকে নিয়ে নাটকটি সাজানো হয়েছে। যে এই মেয়েটিকে একবার দেখে সেই ব্যাটারি গলির হাতি টোটলের বাসার সামনে এসে আড্ডা বসায়। চাচা-ভাতিজা,মামা ভাগিনা, কাউন্সিলর সহ সবাই মেয়েটিকে দেখার জন্য বাসার সামনে বাজার বসিয়েছে। নাটকটি দেখলে বুঝতে পারবেন কত হাঁসি পায়। আর সবার নামের আগে একটি করে টাইটেল আছে। এই নাটকটি তে প্রথম পর্ব দেখানো হয়েছে। কিছুদিন পরে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হবো। এই নাটকটিতে হাঁসি বিনোদন ছাড়া শেখার কিছু নেই। আপনার বিনোদনের জন্য নাটকটি দেখতে পারেন। এছাড়া আর কিছু পাবেন না।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।