বাংলাদেশের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।।
মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সর্বশেষ খেলার রিভিউটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
গতকাল বাংলাদেশ চমৎকার একটি ম্যাচ খেলেছে। গতকাল বাংলাদেশের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় কনফিডেন্স এর সাথে খেলার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে জাকের আলী খুব ভালো একটি ইনিংস আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। ওপেনিং হিসেবে ইমন খুব সাহসিকতার সাথে প্রত্যেকটা বল মোকাবেলা করেছে। গত কালকের খেলাটি প্রথম থেকেই খুবই ভালো লেগেছে। তবে বাংলাদেশের দুইজন ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছে। যেটা আমাদের কাম্য ছিল না। যাই হোক তারপরেও লাস্টের দিকে জাকের আলীর ব্যাট থেকে দারুন কিছু রান এসেছে। যার ফলে বাংলাদেশ বিশাল বড় একটি লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দাঁড় করাতে পেরেছিল। আর এটাই আমাদের বিজয়ের প্রথম নিশান ছিল।
গত কালকের ম্যাচে সৌম্য সরকার ইনজুরিতে থাকার কারণে ওপেনিং করেছে লিটন দাস ও পারভেজ হুসাইন ইমন। দুজন খুব সুন্দর শুরু করেছিল। তবে লিটন দাসকে দেখলাম আগের মতই। তার ব্যাটে তেমন কোন রান আসে নাই। ১৩ বলে ১৪ রান করেছে সে। অবশ্য এর মধ্যে তিনটি চারের বাউন্ডারি ছিল। ইমন খুব ভালো খেলেছে। সেই ২১ বল খেলে ৩৯ রান যোগ করেছে। এরমধ্যে আমরা বাউন্ডারি হিসেবে চারটি চার ও দুইটি ছয় দেখতে পাই।
তারপরে তানজিদ হাসান অন্যান্য দিন ওপেনিং ব্যাটিং করলেও গতকাল তৃতীয় নাম্বার খেলেছে। সে নয় বল মোকাবেলা করে নয় রান করেছিল। তবে তার ব্যাট থেকে একটি ছক্কা এসেছে। মেহেদী হাসান মিরাজ মোটামুটি ধরে খেলার চেষ্টা করেছে। সে তিনটি চার মেরে ২৩ বলে ২৯ রান যোগ করেছে। এছাড়া শামীম হাসান ও শেখ মেহেদী তেমন ভালো রান করতে পারেনি। দুজনেই ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়েছে। গতকাল সবাইকে চমক দেখিয়ে দারুন একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন জাকের আলী। তার সাথে ছিল তানজিম হাসান সাকিব। জাকের আলী ৪১ বলে ৭২ রান সংগ্রহ করেছে। তার নামের পাশে তিনটি চার ও ছয়টি ছয়ের বাউন্ডারি ছিল। তানজিম হাসান একটি চার ও একটি ছয় দিয়ে ১২ বলে ১৭ রান করে। তবে এই দুইজন অপরাজিত ছিল। সব মিলিয়ে বিশ ওভার মোকাবেলা করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে টিম বাংলাদেশ।
১৯০ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে ব্রেন্ডন কিং ও জনসন কারলিস। তাদের ওপেনিং এর মধ্যে কোন পরিবর্তন ছিল না। তবে ব্যান্ডন কিং দুই বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যায়। বিনা রানে তাসকিন আহমেদের এল বি ডব্লিউ এর ফাঁদে পড়ে সে। অন্যদিকে দেখা যায় জনসন কারলিস মোটামুটি খেলার চেষ্টা করেছিল। তবে ১৮ বলে ২৩ রান করে রিশাদ হোসেনের রান আউটের শিকার হয়। তারপর জাস্টিন গ্রেভ ও নিকুলাস পুরান আসে। তারা দুইজনের মধ্যে জাস্টিন গ্রেভ পাঁচ বলে ছয় রান করে লম্বা শর্ট খেলতে গিয়ে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ ধরা পড়ে। কিন্তু নিকোলাস পুরান দুইটি চার ও একটি ছয়ের বাউন্ডারি মেরে ১০ বলে ১৫ রান করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মধ্যে কেউ তেমন বড় সংখ্যার রান যোগ করতে পারেনি। রোস্টন চেজ চার বল মোকাবেলা করে শুন্য রানে আউট হয়। রোভমেন্ট পাওয়েল ১২ বলে মাত্র ২ রান করে। এভাবে তাদের উইকেটগুলো একের পর এক পড়তে থাকে। মাত্র ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তবে শেষের দিকে রোমারিও শেপার্ড কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেছিল। তার ব্যাট থেকে আমরা দারুন কিছু বাউন্ডারি দেখতে পেয়েছিলাম। সে ২৭ বলে ৩৩ রান যোগ করে। যার মধ্যে একটি চার ও তিনটি ছয়ের বাউন্ডারি ছিল। সে যদি টিকে যেত তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তারপর আসে গোডাকেশ মতি। সেও কিছু বল খেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারেনি। সে ১২ বলে ১২ রান করে মাট ছাড়ে। এ ছাড়া আর তেমন কেউ রান করতে পারিনি। সবমিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ১৬ ওভার ৪ বল খেলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৯ রান করে। ফলাফল বাংলাদেশ দল ৮০ রানে জয়লাভ করে।
গতকাল বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহম্মদ, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন দারুন বোলিং করেছে। রিশাদ হোসেন চার ওভার বল করে ২১ রান খচর করে তিনটি উইকেট লাভ করে। যার ফলে বাংলাদেশ সহজে জয় লাভ করে। গতকালকের ম্যাচ দেখে বাংলাদেশের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ যদি এভাবে এগিয়ে যাই তাহলে বাংলাদেশের সাফল্য কেউ ধরে রাখতে পারবেনা। বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা রইল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Task Done
টি-টোয়েন্টিতে এভাবে বাংলাদেশ জিতবে সত্যিই অবাক করা বিষয়। যাইহোক, অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যদিও ওয়ানডেতে ভালো পারফরমেন্স করতে পারেনি। বোলিং লাইন খুবই শক্তিশালী ছিল। প্রতিটা ম্যাচ ভালই উপভোগ করেছি। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জি ভাই বাংলাদেশ টি-২০ তে এত ভালো পার্ফমেন্স করবে, আশা ছিল না। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি ম্যাচ রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। আসলে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা ছিল আমি নিজেও দেখেছিলাম। বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল এই কারণে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। বাংলাদেশের প্লেয়ার জাকের আলীর ব্যাটিং দেখে সত্যি আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। বেশ দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পোস্ট লিখে তুলে ধরার জন্য।
জাকের আলীর ব্যাটিংটা দারুণ ছিল। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজে লজ্জাজনকভাবে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সত্যিই এটা দারুন ব্যাপার। এটা সত্যি বলেছেন ভাই বাংলাদেশের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি ভাই আমরা ভেবেছিলাম ওয়ানডে সিরিজ জিতবে। কিন্তু সেটা হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজটাই জিতে গেল।
তৃতীয় টি টুয়েন্টি তে বেশ বড় রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে বাংলাদেশের অসাধারণ ব্যাটিং। এবং পরবর্তীতে বোলার রা বেশ দারুণ করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে মোটেও সহজ না কিন্তু। অসাধারণ একটা সিরিজ ছিল বাংলাদেশের জন্য।।
জি ভাই তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বোলিং দুটোই ভালো হয়েছে। সেজন্য দারুন একটি জয় পেয়েছে। ধন্যবাদ।