ছোট ভাইয়ের বিয়ের শপিং নিয়ে ব্যস্ততম একটি দিন।।
আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি-
বন্ধুরা গতকালকে একটি ব্লগের মধ্যে আমি আপনার সাথে শেয়ার করেছিলাম যে আমি সকালবেলা ট্রেন মিস করে কমলাপুর স্টেশনে বসে ছিলাম। অবশেষে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য নির্ধারিত তিতাস ট্রেনে চড়ে আমি দুপুর সাড়ে বারোটার সময় ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এসে পৌঁছে ছিলাম। আমি আগেই আমার মামা আমার ছোট ভাই এবং আমার বোনকে ফোন করে বলে রেখেছিলাম তারা যেন সোজা এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউমার্কেটে চলে যাই। আমি সেখানে গিয়ে তাদের সাথে মিলিত হবো।
আমার মামা সকাল সকাল নিউমার্কেটে চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ভাই আর বোন রাস্তায় জ্যামের কারণে আসতে কিছুটা দেরি করেছে। আমি ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে গিয়ে তাদের জন্য কিছুক্ষণ ওয়েট করলাম। তারপর তাদের দুইজনকে একসাথে নিয়েই আমি নিউমার্কেটে গেলাম। প্রথমে আমরা গোল্ড গুলো কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর আমার এক নানার পরিচিত একটি গোল্ড এর দোকানে গেলাম। গোল্ডের দোকানে গিয়ে আমাদের প্রায় এক ঘন্টার উপরে সময় নষ্ট হয়েছে। মামার সাথে দুই মামানি এসেছিল, গোল্ড এর ছবি তুলে মামার বাড়িতে পাঠানো, পছন্দ করা সব মিলিয়ে মোটামুটি অনেকটা সময় আমরা সেখানে অতিবাহিত করে ফেললাম। তারপরও আমরা এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ভরি ধরে স্বর্ণ কিনে ফেললাম। আমাদের ঘরে কিছু স্বর্ণ ছিল আর প্রায় ২ লাখ টাকার মত স্বর্ণ কিনলাম।
গোল্ড কিনে আমাদের সবার পেটের মধ্যে প্রচন্ড খিদা লেগে গেলো। মামাকে বললাম অন্যান্য বাজার পরে করবো আগে খাওয়া-দাওয়া টা সেরে নেয়। কারণ খিদার জ্বালায় পেটে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তারপর সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলাম খাওয়া দাওয়া করার জন্য। খাওয়া দাওয়া করে বের হতে হতে প্রায় ২ঃ৩০ টার উপরে বেজে গেছে। তারপরে সবাই মিলে গেলাম শাড়ির দোকানে, সেখানে গিয়ে প্রথমে লেহেঙ্গা কিনলাম, তারপর শাড়ি থ্রি পিস এগুলো কেনাকাটা করলাম। এগুলো কিনতে কিনতে পাঁচটা বেজে গেছে।
তারপর আরো কিছু কাপড়-চোপড় বাকি ছিল, সেগুলো কিনতে কিনতে সন্ধ্যার পর হয়ে গেলো। তারপর পাঞ্জাবি গেঞ্জি, বাচ্চাদের কাপড়, বিছানার চাদর, গায়ে হলুদের আসবাবপত্র সব মিলিয়ে আমাদের মার্কেটেই ৯ টা বেজে গেছে। সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। আবার সেই রাস্তায় জ্যাম, জ্যাম হলো আমাদের বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের সঙ্গী। আমরা বউ ছাড়া থাকতে পারলেও রাস্তার যানজট ছাড়া আমাদের জীবন অতিবাহিত হয় না।
কাউতলী মোড় থেকে সিএনজিতে বাসায় আসতে আসতে দশটা বেজে যায়। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করতে করতে ১১ টা। তারপর গায়ে হলুদের হালকা অনুষ্ঠান, মেহেদী পড়া সহ বিভিন্ন কাজ করতে করতে রাত দুটো বেজে যায়। চিন্তা করেন গতকাল কতটা ব্যস্ততার মাধ্যমে আমার দিনটা অতিবাহিত হয়েছে। সারাদিন পানি খাওয়ার পর্যন্ত সুযোগ পাইনি। গতকাল সব মিলিয়ে মাত্র হাফ লিটার পানি খেয়েছিলাম।
তিনটার দিকে ঘুমিয়ে সকাল ছয়টার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে গেলাম। বাড়িতে প্রচুর কাজ, ঘুম থেকে উঠেই আবার বাজারে যেতে হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র, খাবার আইটেম এগুলো কিনতে গিয়েছিলাম। বিয়ে-শাদীর ব্যাপার-স্যাপার কত কিছু যে লাগে আপনারা তো সবাই জানেন। সবকিছু রেডি করতে করতে প্রায় দুইটা বেজে গেছে। তারপর সবাইকে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যাওয়া। বিয়ে বাড়ির ঘটনাবলি আগামীকাল শেয়ার করবো, ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | ছোট ভাইয়ের বিয়ের মার্কেটিং নিয়ে ব্যস্ততম একটি দিন ।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা, বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বেশ তাড়াহুরার মধ্যেই ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করছেন। একই দিনে বাজার,গায়ে হলুদ , তাতো একটু ব্যস্ত সময় পার করবেনই। আর বিয়ে মানেই ব্যস্ত সময় পার করা। আর নিজের বাড়িতে বিয়ে হলেতো আরও ব্যস্ত থাকতে হয়। আশাকরি সব কিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।
জী বেশ তাড়াহুড়ো করেই সব কিছু করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
বিয়েতে অনেক শপিং করা হয় সবাই মিলে আর সেই সময়গুলোতে অনেক আনন্দ হয়। এই ধরনের মুহূর্ত গুলো সত্যি অনেক সুন্দর। বেশ তাড়াহুড়োর মধ্যে বিয়ের সব আয়োজন করা হচ্ছে। ভালো লাগলো আপনাদের শপিং এর মুহূর্ত গুলো দেখে। মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী শপিংমল সবাই মিলে মার্কেটের মুহূর্তগুলো দারুন ছিল। ধন্যবাদ।