ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।।
মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ম্যাচটি রিভিউ শেয়ার করবো।
গতকাল বাংলাদেশ টাইম সকাল ছয়টার সময় বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হয়। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানাই। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিং করে লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। লিটন দাস গত ম্যাচ গুলিতে দ্বিতীয় নাম্বারে নেমে রানের দেখা না পাওয়াতে গতকাল সৌম্য সরকারের সাথে ওপেনিং করেছে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। লিটন দাস মাত্র দশ বলে তিন রান করে সামনে এগিয়ে ব্যাটিং করতে গিয়ে আউট হয়ে যায়। গতকাল সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকেও তেমন রান আসে নাই। ১৮ বলে মাত্র ১১ রান করে রান আউট হয়ে সৌম্য সরকার ফিরে যাই।
তারপরে তানজিদ হাসান মাত্র চার বলে দুই রান করে বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী কিছুটা ধরে খেলা খেলার চেষ্টা করে। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বলে ২৬ রান করে। আমরা তার নামের পাশে তিনটি চার ও একটি ছয়ের বাউন্ডারি দেখতে পাই। জাকের আলী ২০ বলে ২১ রান করে একটি ছয় একটি চার মেরে আউট হয়ে যায়। তবে শেষের দিকে শামীম হোসেন কিছুটা রান করে। মেহেদী হাসান ও তানজিম হাসান শামীম হোসেনকে সঙ্গ দিয়েছিল। আমরা শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে সতের বলে ৩৫ রান দেখতে পাই। শামীম হোসেন দুইটি চার ও দুটি ছয় এর বাউন্ডারি মারে। তবে শামীম এবং তানজিম দুইজন অপরাজিতা ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওভার মোকাবেলা করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে।
দ্বিতীয় পূর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ১৩০ রানের সহজ লক্ষ্য পায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাছে ২০ ওভারে ১৩০ রান কোন ব্যাপার ছিল না। কিন্তু তারপরেও তারা বাংলাদেশের সাথে হোঁচট খায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ব্রেন্ডন কিং ও জনসন কারলিস ওপেনিং ব্যাট করে। ব্রেন্ডন কিং পাঁচ বলে আট রান ও জনসন কারলিস ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপরে আসে আন্দ্রে ফ্লেচার ও নিকোলাস পুরান। এই দুইজন ও তেমন ভালো করতে পারেনি। তাদের ব্যাট থেকে ও তেমন রান আসেনি। আন্দ্রে ফ্লেচার চার বলে শূন্য রান ও নিকোলাস পুরান ৮ বলে পাঁচ রান করে আউট হয়ে যায়।
রোভম্যান পাওয়েল ৭ বলে ৬ রান ও রোমারিও শেফার্ড ৫ বলে শূন্য রান করে। এভাবে ৪২ রানে তাদের ৬ উইকেট পড়ে যায়। তাদের উইকেট গুলো এত তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে সেটা আমরা কখনো চিন্তাও করি নাই। কারণ বিশ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের কাছে ১২৯ রান করা কোন ব্যাপার ছিল না। একের পর এক উইকেট পরে যাওয়ার কারনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।
অবশেষে আশার আলো জাগিয়ে ছিল রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। তারা দুজন দলের হাল ধরেছিল। তারা দুইজন যেভাবে ব্যাটিং করছিল আমরা ভেবেছিলাম হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলাটি জিতে যাবে। গতকাল রোস্টন চেজ ৩৪ বল মোকাবেলা করে ৩২ রান করে। তার ব্যাট থেকে একটি চার ও দুইটি ছয় আসে। অন্যদিকে আকিল হোসাইন ৩১ বলে ৩১ রান করে। তবে তারা দুইজন বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। তাসকিন আহমেদের বলে আকিল হোসাইন আউট হয়ে যায়। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো মতি কিছুটা রান করবে। কিন্তু সে প্রথম বলেই আউট হয়ে চলে যাই। অবশেষে ১৮ ওভার তিন বল খেলে ১০২ রান করে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ফলাফল বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়লাভ করে।
গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। তবে বোলিং মোটামুটি অনেক ভালো হয়েছিল। যার ফলে ১০২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে গুছিয়ে ফেলেছিল। গতকাল তাসকিন আহমদ খুব সুন্দর বল করেছে। সে তিন ওভার তিন বলে তিনটি উইকেট লাভ করেছিল। সব মিলিয়ে গতকাল মোটামুটি বাংলাদেশের বোলিং পারফরমেন্স সন্তোষজনক ছিল। দেখা যাক লাস্ট খেলাটিতে কোন দল ভালো পারফরমেন্স করতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়লাভ করার জন্য বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Task Done
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করে আশা করি বাংলাদেশ দল আবার ফর্মে ফিরে এলো। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য অনেক অভিনন্দন রইল। দলটি যথেষ্ট ভালো খেলতে পারে। কিন্তু নিজেদের ধারাবাহিকতার অভাবে কখনো কখনো হারিয়ে যায়। সেদিক থেকে এই সিরিজ জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনাবলী মনে করি।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশ দল তাদের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে পারেনা। এই হোক বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন। ধন্যবাদ।
দ্বিতীয় টি টুয়েন্টি তে বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা করতেই হয়। রান কম হলেও তাদের অসাধারণ বোলিং সেআ রান টাও ডিফেন্স করে ফেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে টি টুয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়ে আসা মোটেও সহজ নাহ। বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানাতেই হয়।
জী ভাই অল্প রানেই তাদের চাপে ফেলে দিয়েছে। ধন্যবাদ।