ঝামেলার আরেক নাম বাসা পরিবর্তন।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাসা পরিবর্তন নিয়ে ব্যস্ততাময় দুইটি দিনের অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে আমি চাকরির সুবাদে নারায়ণগঞ্জ শহরে ভাড়া বাসা নিয়ে থাকি। তো বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের সেই বাসা পরিবর্তন করতে হয়। আমার মত বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন, আপনাদের হয়তো বাসা পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু আমি এই প্রথম ফেমিলি বাসা পরিবর্তন করলাম। আমি জানি বাসা পরিবর্তন করা অনেক ঝামেলা। গতকাল সরাসরি তার প্রমাণ পেলাম।
আমি গত দুই বছর একটি বাসাতেই ভাড়া ছিলাম। সে বাসাটি সব দিক দিয়ে মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে ভাড়া কিছুটা বেশি ছিল। তাছাড়া আমরা যেহেতু মাত্র দুইজন মানুষ, আমাদের বড় বাসার তেমন কোন দরকার নেই। সেজন্য বাসাটি পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার, বাসা ছেড়ে দেওয়ার আগে মনের মত বাসা পাওয়া যায়। তবে বাসা ছাড়ার পরে মনের মত বাসা পাওয়া যায় না। সেজন্য আগে মনের মত বাসা খুঁজে বের করে তারপরে বাসা মানা করা দরকার। এ বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার।
আমি বেশ কয়েক মাস ধরেই বাসা পরিবর্তন করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু বাজেটের মধ্যে মনের মত বাসা খুঁজে না পাওয়ার কারণে এতদিন বাসা পরিবর্তন করতে পারি নাই। অবশেষে গত দুই মাস আগে বাসা মানা করে বাসা খুজতে খুজতে একটা বাসা খুঁজে পেয়েছি। আজকে যেহেতু মাসের শেষ তারিখ, সেজন্য আজকে ছিল আশা পরিবর্তন করার লাস্ট তারিখ। আবার অন্যদিকে গতকাল ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। যারা জব করে তারা সাধারণত ছুটির দিনগুলো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজ করার চেষ্টা করি। সেজন্য আমিও গতকালকে শুক্রবার হওয়ার কারণে ওই দিনই বাসা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
গতকাল শুক্রবারে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাসা পরিবর্তন করার মহাযজ্ঞ শুরু করেছিলাম। কিন্তু বাসা পরিবর্তন করা যে এত ঝামেলা সেটা আগে জানলেও গতকাল সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। সকাল থেকে সবকিছু গুছানো শুরু করলেও বিকাল তিনটার দিকে সব মালামাল ভ্যান গাড়িতে উঠানো শুরু করলাম। বাসা পরিবর্তনের জন্য ভ্যান গাড়ি আগের ঠিক করে রেখেছিল। গতকাল জুম্মার নামাজ আদায় করে খাওয়া দাওয়া করে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করেছিলাম। প্রথমে ফার্নিচার গুলো ভ্যান গাড়িতে নিয় এসে নতুন বাসায় রেখে গিয়েছিলাম। তারপরে ফ্রিজ সহ যাবতীয় জিনিসগুলোর ৮০% আনতে পেরেছিলাম। এগুলো আনতে আনতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তারপর ভ্যান গাড়িকে বিদায় করে দিয়েছিল।
সন্ধ্যার পরে আরো কিছু মালামাল সহ একটি অটো ভাড়া করে এনেছিলাম। তারপর রাতের বেলা অল্প কিছু মালামাল ঘুছিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা খাওয়া দাওয়া করে আরো কিছু জিনিস পত্র ঘুছিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। গতকাল রাতের বেলা শরীর টা এত ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলে যে পোস্ট করার মত আর সাহস পায়নি। অনেকদিন পরে বাসা পরিবর্তনের জন্য একদিন পোস্ট করা মিস হলো। সেজন্য নিজের কাছে খুবই খারাপ লেগেছে।
যাইহোক আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, মালামাল গুছানোর মতো তেমন সময় পাইনি। তাড়াতাড়ি করে গোসল করে অফিসে চলে গিয়েছিলাম। অফিসে যাওয়ার আগে বাসাতে নাস্তা করার সময়ও পায়নি। অফিসের ক্যান্টিনে গিয়ে নাস্তা করেছিলাম। আর গত এক মাস ধরে অফিসে কাজের চাপের কথা লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। সারাদিন কাজের উপর থাকতে হয়। মোবাইল চালানোর পর্যন্ত সময় পাওয়া যায় না।
যাইহোক সারাদিন অফিস করে সন্ধ্যার পরে কিছু বাজার সদাই করে বাসায় এসে মোটামুটি বাসাটা গুছিয়ে নিলাম। যদিও এখন ভালো বসাটা দেখে ভালো লাগতেছে তবে শরীর হাত পা প্রচুর ব্যাথা লাগতেছে। হয়তো কয়েকদিন এভাবেই ব্যাথা সহ্য করতে হবে। ধীরে ধীরে ঠিক হবে। জীবনে আর কোনদিন বাসা পরিবর্তন করার চিন্তাও করবো না, হা হা হা। সবাইকে ধন্যবাদ।
Device-Mobile
Model-Realme 53
Loation- Narayangonj,
💖💖💖সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖
আল্লাহ হাফেজ
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বাসা পরিবর্তন করাটা সত্যিই অনেক ঝামেলার বিষয়। বাসার সমস্ত জিনিস এক জায়গা থেকে আবার আরেক জায়গায় স্থানান্তর করতে হয় এটা খুবই ক্লান্তিকর বিষয়। আরে এমন ঝামেলার সম্মুখীন আমি হয়েছি একবার। আমার গেস্টের জন্য। তাই এই বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আপনার এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকার জন্য বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
বাসা পরিবর্তন ভীষণ কষ্টের কাজ, আমি বেশ কয়েকবার এই কষ্টের মুখোমুখি হয়েছি। যাইহোক কষ্ট হলেও বাসার জিনিসপত্র ঠিকমতো আনতে পেরেছেন এটাই বড় বিষয়। আর একটা পোস্ট মিস হয়েছে সমস্যা নেই। আগে বাসা গোছগাছ করে নিন, ঠিকমতো।
আমি এই প্রথম ফ্যামিলি বাসা পরিবর্তন করলাম। সেজন্য আমার নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া বাসা পরিবর্তন করা খুব কষ্টের। একদিকে জিনিসপত্র ঠিক করা অন্যদিকে আবার জিনিসগুলো চ্যাটিং করা। যদিও আপনারা ওই বাসায় দুই বছর ছিলেন। আপনারা মানুষ দুইজন আবার বাসা ভাড়া বেশি সেই কারণ বাসা চেঞ্জ করেছেন। তবে ভাইয়া মন মত বাসা পাওয়া খুব কষ্টকর। আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা গেছে বাসা পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছেন এবং হাপিয়ে গেলেন।
জী আপু সব মিলিয়ে বড় একটি ঝামেলা সমাধান করলাম। ধন্যবাদ।
ঢাকা শহরে সবচাইতে কষ্টকর একটা কাজ হচ্ছে বাসা খোঁজা এবং অন্য বাসায় শিফট করা। বিশেষ করে যাদের ঘরের আসবাবপত্র বেশি তাদের ঝামেলা হয় বেশি। যত কম বাসা পরিবর্তন করা যায় তত ভালো। অনেকেই শুধুমাত্র এই কারণেই বাসা পরিবর্তন করতে চাই না।
এত ঝামেলা যারা এ বিষয়টা না বুঝে তাদেরকে কখনো বুঝানো সম্ভব না। আপনি বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ।
Daily Task Done