দ্বিতীয় বারের মত টি-২০ শিরোপা ঘরে তুললো ভারত।।
সাজাও মন, রাঙাও হৃদয়, বাংলা ভাষাতে-
আজকে ভারতের খুশির দিন। আজকে ভারতের প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের মনে আনন্দের বন্যা বয়তেছে। কারন গত কাল সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মত টি-২০ শিরোপা ঘরে তুললো রোহিত শর্মার দল । ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ আসরে মাহিদ্রা সিং ধোনির নেতৃত্বে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ অর্জন করেছিল ভারত। তারপর সতের বছর অতিক্রম করে ২০২৪ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ যায় ভারতের মাটিতে। তবে সেই খুশির সাথে দুইটি দুঃখের সংবাদ রয়েছে। আর সেটা হলো গত কাল টি-২০ শিরোপা অর্জন করার পরে ভারতের দুই তারকা প্লেয়ার টি-২০ ফরমেট থেকে অবসরের ঘোষনা দিয়েছে। প্রথমে বিরাট কোহেলি ও সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মা ক্রিকেটের এই শর্ট ফরমেটকে বিদায় জানান।
এইবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আসরের আয়োজন করেছিল আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথ ভাবে। এই আসরে অনেক গুলো দল অংশ গ্রহন করেছিল। অবশেষে ফাইনালে উঠে সাউথ আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশ ভারত। গত কাল ২৯শে জুন ফাইনাল খেলাটি শুরু হয় বাংলাদেশি সময় রাত সাড়ে আটটায় কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়াম , ব্রিজটাউন, বার্বাডোসে। ভারতের প্রতিনিধি ক্যাপটেন রোহিত শর্মা প্রথমে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সব সময় দেখে এসেছি বিরাট কোহেলি ওয়ান ডাউনে খেলে থাকে। তবে এই বিশ্বকাপে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মার সাথে সংঙ্গ দিয়ে অপেনিং খেলে এসেছে। গত সাত ম্যাচে মাত্র ৭৫ রান সংগ্রহ করা বিরাট কোহেলি ফাইনাল খেলবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে দলের কোচ ও ক্যাপটেন আশা করেছিল কোহেলি ফাইনালে জ্বলে উঠবে। আশার বানী হলো বিরাট কোহেলি সবার আশা রেখেছে। গতকাল রোহিত শর্মা তেমন ভালো করতে না পারলেও বিরাট কোহেলি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে গেছে। সে ৫৯ বলে ৭৬ রানের দারুন একটি ইনিংস উপহার দিয়েছে।
এদিকে আসরের প্রথম থেকে দলকে টেনে আনা ক্যাপটেন রোহিত শর্মার ব্যাট গতকাল জ্বলে উঠতে পারে নাই। গতকাল মাত্র পাঁচ বলে নয় রান করে মহারাজের বলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ ধরা পড়ে মাঠ ছাড়ে রোহিত শর্মা। তারপর সূর্যকুমার যাদব ৩ রান ও ঋষভ পন্ত শূণ্য রানে আউট হলে চাপে পরে রোহিত শর্মার দল। অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ রানের অসাধারন একটি ইনিংস খেলে। সে চারটি ছয় আর একটি চার মেরে তার ইনিংসটি সাজায়। অন্যদিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রান করে। বিরাট কোহেলি আর এই দুইজনের রানের উপর নির্ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ভারত। প্রথমে তিন উইকেট চলে যাওয়ার পরে এত রান হবে বুঝতে পারি নাই। অবশেষে ফাইনালে লড়াই করার মত একটি পুঁজি হয়েছে। ১৭৭ রানের টার্গেট পায় প্রথমবার ফাইনালে আসার সাউথ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় পর্বে ১৭৭ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে সাউথ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ওভারেই প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হাটে বুমরা। রেজা হেনড্রিক্স পাঁচ বলে চার রান করে বুমরার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ে। ক্যাপটেন এইডেন মার্করাম ও জ্বলে উঠতে পারে নাই। তবে দলের হাল ধরে রেখে খেলতেছিল কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবস। তবে স্টাবস বেশি দুর যেতে পারে নাই। ২১ বলে ৩১ রান করে অক্ষর প্যাটেলে বলে বোল্ড আউট হয়ে যায়। তবে হেনরিক ক্লাসেন দারুন একটি ইনিংস খেলেছে। তার উপর নির্ভর করেই প্রোটিয়া শিবিরে ফাইনাল জেতার আশা জেগেছিল। সে এক ওভারে ২৪ রান নিয়ে বলে আর রানে সমান করে ফেলেছিল। তখন ত্রিশ বলে ত্রিশ রানের দরকার ছিল। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ২৭ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়ে ক্লাসেন। তারপরে সব দায়িত্ব পড়ে ডেভিড মিলারের কাঁধে। লাষ্ট ওভারে ১৬ রানের দরকার ছিল। মাঠে ছিল মিলার বোলিং করেছে পান্ডিয়া। প্রথম বলেই উড়িয়ে মেরেছিল মিলার। কিন্তুু ভাগ্যের জুড়ে একেবারে সীমানা থেকে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ উঠে। এই আসরের সেরা একটি ক্যাচ ছিল সূর্যের। সেই সাথে সকল আশা ভরসা ভেঙ্গে যায় প্রোটিয়াদের। অবশেষে ৭ রানে জয় পায় ভারত।
দুই দলের বোলিং ভালো হয়েছিল। তবে সাউথ আফ্রিকা প্রথম দিকে যেভাবে চেঁপে ধরেছিল, লাষ্টের দিকে তেমন ভাবে ধরে রাখতে পারে নাই। যার ফলে ২০/২৫ রান বেশি এসেছে। অন্য দিকে প্রথম থেকে ভারতের বোলিং তোপে ছিল প্রোটিয়ারা। তবে মাঝখানে ক্লাসেন মারকুটে হয়েগেছিল। পান্ডিয়া যদি তাকে ফেরাতে না পারতো তাহলে ভারতের জয় সম্ভব ছিল না। হার্দিক পান্ডিয়া তিন, আরশদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ দুইটি করে উইকেট পেয়েছিল। সব থেকে বড় কথা হলো ফাইনাল খেলা ফাইনালের মতই হয়েছিল। খেলাটি টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হয়েছে। দর্শকরা খেলাটি দেখে আনন্দ উপভোগ করেছে। সেই সাথে ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের পর্দা নামলো।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbbUoSoHVq5KJ73xfbsxr6BHEjxQcWQsryYkcqwQw34iY/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png)
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার প্রেডিকশন অনুযায়ী আমি আগে থেকেই জানতাম এবছর ও ভারত টিটুয়েন্টি ক্রিকেট কাপ জিততে পারবে। অবশেষে তারা কাপ জিততে পারছে। এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ভারত ম্যাচ টি জিততে পেরেছে। বিশেষ করে ভারতের বলিং লাইন অনেক ভালো ছিল।
জী ভাইয়া ক্লাসেনের পড়ে যখন মিলার চলে গেছে। তখনই মোটামুটি বুঝে গেছি, বিশ্বকাপ ভারতেই আসবে। ধন্যবাদ।
ভারত ও সাউথ আফ্রিকা খেলা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। খেলার মাঝে টানটান উত্তেজনা ছিল। ১৭৭ রানের টার্গেট তেমন একটা বেশি ছিল না। তবে ইন্ডিয়ার বোলিং লাইন খুব ভালো ছিল, তাই ক্লাসেন এর মতো সেট ব্যাটসম্যান সাজঘরে যেতে হয়। অবশেষে ইন্ডিয়ার জয় হয় এবং শিরোপা ঘরে তুললো ভারত।
জী ভাইয়া ক্লাসেনের আউটটা না হলে ভারতের জেতা সম্ভব ছিল না। ধন্যবাদ।
গত রাতে আমি খেলাটা দেখেছিলাম খুবই ভালো একটা খেলা উপভোগ করতে পেরেছি। ভারত দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলতে পেরেছে এটা দেখে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল ভিরাট কোহলির ব্যাট করো দেখে।
জী ভাইয়া অন্যন্য ম্যাচে কোহেলি তেমন রান করতে পারে নাই। তবে ফাইনালে জ্বলে উঠেছিল। ধন্যবাদ।
প্রথম আসর ২০০৭ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান কে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারত। আজ আবার ১৭ বছর দ্বিতীয় শিরোপার দেখা পেল তারা। সত্যি বুমরাহ যেন শেষে এসে ঐখান থেকে পুরো ম্যাচই ঘুরিয়ে দিল। যখন ৪ ওভারে ২৬ লাগে কে ভেবেছিল ভারত জিতবে। কিন্তু সম্ভব হয়েছে।
এটাই ভাই খেলার মোড় কখন ঘুরে যায় বলা যায় না। ধন্যবাদ।
এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। এই ম্যাচে শেষ মুহূর্তের খেলাটাই ভারতের জন্য সবথেকে ইম্পরট্যান্ট ছিল। যাইহোক, ওভারল দারুন একটা ম্যাচ আমরা উপভোগ করেছিলাম। আমি তো প্রথমে ভাবতেই পারিনি এরকম একটা সিচুয়েশন তৈরি হবে। তবে বিশ্বকাপটা যে আমাদের দেশের খেলোয়াড়রাই পেয়েছে, এটাই আমাদের জন্য অনেকটা গর্বের বিষয়। আর সূর্যকুমার যাদবের ওই ক্যাচ টার প্রশংসা তো অবশ্যই করতে হয়। এই ক্যাচের জন্যই ম্যাচের গতি ফিরে আসে।
জী ভাইয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলাটা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ।