বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন- তৃতীয় পর্ব।।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করি নিজেকে
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন করার তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে।
এখন প্রতি জেলায় জেলায় বৃক্ষ মেলা শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে যেন প্রকৃতিকে সুন্দর করা যায়। গরম আবহাওয়াকে যেন কমিয়ে আনা যায়। গরম আবহাওয়াকে নিয়েন্ত্রনে আনতে একা কেউ পারবে না। আর এটা একার পক্ষে সম্ভবও নয়। সবার সম্মলিত প্রচেষ্ঠায় বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করলেই অটোমেটিক ভাবে গরম ওয়েদার কমে যাবে। আমরা যদি গাছ কাটার সাথে সাথে আরেকটি গাছ লাগিয়ে দেয়,তাহলে কাটা গাছের অভাবটা পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তুু আমরা সেটা করতে চাই না। যার ফলে দিনে দিনে গাছ-পালার সংখ্যা কমছে,অন্যদিকে গরম ওয়েদার বাড়ছে। বাড়ছে মানুষ সহ সকল প্রাণীর কষ্ট।
বৃক্ষ মেলাতে ফুল গাছের পাশাপাশি প্রচুর ফল গাছও বিক্রয় করা হয়। পরিবেশের সুন্দর্য হলো গাছ। গাছ ছাড়া পরিবেশ সুন্দর লাগে না। এখন তো আধুনিক যুগ বিভিন্ন ড্রামে,বস্তায়, পরিত্যক্ত পাত্রে মানুষ গাছ রোপন করে। তবে ফুলের গাছ থেকে ফলের গাছের দাম কিছুটা বেশি। গাছের দাম বেশি হওয়ার কারনে মানুষ গাছ কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি গাছের দাম কিছুটা কমিয়ে দিতো তাহলে মানুষের গাছ রোপনের প্রতি আগ্রহ বাড়তো। আজকে আমি আপনাদের সাথে ফল সহ গাছের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এখানে আপনারা দুইটি আম গাছের চারা দেখতে পাচ্ছেন। দুইটি আম গাছের মধ্যেই আম ঝুলছে। দুইটা আম গাছে দুই রকমের আম রয়েছে। প্রথম ছবিতে যে আম গাছটা দেখতে পাচ্ছেন, সেটাতে হিম সাগর আম ঝুলছে। আর দ্বিতীয় ছবিতে যে লম্বা লম্বা আম গুলো দেখা যাচ্ছে,সে গুলোর ব্যাপারে আমার তেমন ধারনা নেই। এগুলোর নাম আমি জানি না। নার্সারীরর মালিকেরা ছোট একটি টোকেন দিয়ে লিখে রেখেছে, যে এগুলো ফলের গাছ।
এখানে যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো জাম্বুরা ফল। বর্তমানে জাম্বুরার মৌসুম চলতেছে। অলরেডি বাজারে জাম্বুরা ফল দেখা যাচ্ছে। আনকমন একটি ফলের গাছ এটি। গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে এই ফলের গাছটি দেখা যায়। আমারও ইচ্ছা আছে দুই একটি জাম্বরা গাছ রোপন করবো। জাম্বুরা খেতে দারুন লাগে। এই গাছ গুলোর দাম একটু বেশি রাখে।
এখানে যে ফলের গাছটা দেখতে পাচ্ছেন, সেটা হলো সবার পরিচিত আমড়া ফল গাছ। এটাও টক জাতীয় একটি দারুন ফলের গাছ। এই গাছটা বেশি অংশ দেখা যায় বরিশাল বিভাগে। আপনারা সবাই জানেন যে বরিশালের আমড়া খুবই বিখ্যাত। এখানে চারা গাছ হওয়ার ফলে আমড়া গুলোর সাইজ ছোট দেখা যায়। মেলাতে আমড়া গাছের পরিমান কিছুটা কম। সারা মেলাতে ঘুরে একটি দোকানেই দেখতে পেলাম।
এখানে দেখত পাচেছন চমৎকার একটি আতা ফল গাছ। এই গাছটি আমার কাছে চার হাজার টাকা দাম চেয়েছিল। যার ফলে আর কিছু বলি নাই। চার হাজার টাকা দিয়ে একটি গাছ কেনার ক্ষমতা এখনো আমার হয়নি। আতা ফল গাছটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে,তবে কেনার সামর্থ ছিল না। আর আতাফল আমার কাছে তেমন ভালোও লাগে না। আম, আমড়া, জাম্বুরা এগুলো আমার খুবই প্রিয়।
সর্ব শেষ যে দুটো ফলের গাছ দেখতে পাচ্ছেন সে গুলো হলো কমলা লেবু গাছ। এই গাছ গুলোর দাম একটু বেশি। এই গাছ গুলোতে প্রচুর কমলা লেবু ধরে। দেখতেও খুবই সুন্দর লাগছে। অনেক মানুষ শখ করে ছাদের মধ্যে এই গাছ গুলো লাগিয়ে থাকে। কিন্তুু ছাদের মধ্যে যে অল্প একটু মাটি থাকে তাতের ফলের তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না। যায়হোক মেলাতে ঘুরে বেশ কিছু ফলের ফটোগ্রাফিই করেছিলাম। তার মধ্যে অধিকাংশ গুলো আজকে শেয়ার করে দিলাম।
বন্ধুরা আজকে আবার বাড়াবো না। বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে। এখনই বিদায় নিবো। যাওয়ার আগে সবাইকে জানায় অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন- তৃতীয় পর্ব।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আবহাওয়া ঠিক রাখতে গেলে বৃক্ষরোপন করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই দায়িত্বটা আমাদের সবার। ভাইয়া আপনি বৃক্ষ মেলায় ভ্রমণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছেন।
জী আপু আবহাওয়া একজনে ঠিক রাখতে পারবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবেশন ঠিখ রাখতে হবে। ধন্যবাদ।
প্রত্যেক জেলায় বৃক্ষ মেলা শুরু হয়েছে,চমৎকার বিষয়টি।আসলে বৃক্ষ মেলায় গেলে নতুন নতুন গাছের সঙ্গে পরিচয় হওয়া যায়।আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে খুবই ভালো লাগে।আপনার ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর ছিল, আশা করি দারুণ সময় পার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।