ছোট ভাইয়ের Engagement হলো।।
আমাদের মাতৃভাষার কমিউনিটি-
গত কাল সারাদিন খুবই ব্যস্ত ছিলাম। আপনাদের মধ্যে অনেকের সাথে ডিস্কর্ড চ্যানেলে কথা হয়েছে। শুক্রবারে ট্রেনে চড়ে বাহ্মণবাড়িয়া তথা বাড়িতে গিয়েছিলাম। এই বিষয়ে একটি পোস্টও শেয়ার করেছিলাম। ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় এক ধরনের চিন্তা ভাবনা ছিল। কিন্তুু বাড়িতে গিয়ে সেই চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেক কিছু পরিস্থিতির কারনে পরিবর্তন হয়ে যায়। পরিস্থিতিতে পরে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিষয়টা আমাদের ফেমিলিগত তাই আর বেশি একটা গভীরে গেলাম না। মূল কথা শুরু করি।
গত সোমবারে ২৮ শে আক্টোবর আমার ছোট ভাই সৌদিআরব থেকে বাংলাদেশে এসেছে। পাঁচ বছর পরে দেশে আসার পরে দেখলাম শারীরিক গঠন অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। শরীরের উজন ৭০+ হয়ে গেছে। অথচ যেখানে আমার উজন ৬৩ কেজি। এখন মা-বাবা বলতেছে, এখন ছুটি কাটিয়ে গিয়ে আবার কখন দেশে আসে ঠিক নেই। তাই এখনই বিয়ে করিয়ে দিবে। ছুটি হলো মাত্র আড়াই মাসের মত। সে জন্য আমি প্রাথমিক ভাবে মানা করেছিলাম। পরে আমার বাবা বলতেছে যে, আমার বড় মামার মেয়ের বিষয়ে তিনি নাকি আগেই কথা বলে রেখেছিলেন। এখন মামা মামিও বলতেছে তারা এখনই বিয়ের কাজটা শেষ করে ফেলতে চাই। সবাই যেখানে রাজি সেখানে আমি আর বাধা হয়ে দাড়ায়নি।
শুক্রবারে রাতের বেলা সিদ্ধান্ত হয়েছে, শনিবারে যোহরের নামাজ পড়ে মামার বাড়িতে যাবে। গতকাল আমি ঘুম থেকে উঠেছি, সকাল নয়টার সময়। নাস্তা করে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে, বাড়ির পাশে এক আন্টির বাড়ি আছে। সেখানে গিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করলাম। তারপর বারোটার দিকে মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্য সবাইকে রেডি হতে বললাম। আব্বু আবার আমি আর আমার ছোট বোনকে আগে চলে যেতে বললো। কারন আমাদের কিছু কেনাকাটা করতে হবে। কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার লাগবে। আমি আর আমার বোন রেডি হয়ে আগে চলে গেলাম। তারপর আমাদের বাড়ি এবং মামাদের বাড়ির মাঝখানে তন্তর নামের একটি স্টেশন আছে। সেখানে থেকে ফলমূল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার দাবার কিনলাম।
আমরা এগুলো কিনতে কিনতে বাবা-মা সবাইকে নিয়ে চলে আসলেন। আমরা সিএনজিতে করেই গেলাম। মামার বাড়ির পাশে গিয়ে সবাই একসাথে হলাম। তারপর দুপুর আড়াইটার দিকে আমরা মামার বাড়িতে গিয়ে পৌছালাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে ঠান্ডা শরবত খেলাম। তারপর দুপুরের খাবার দেওয়া হলো। ভালোই খাবার দাবার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমে পোলাউ ভাতের সাথে রোস্ট, তারপর পাবদা মাছ ভুনা, পুকুরের বড় পাঙ্গাস মাছ ভুনা, মুরুগির মাংস, গরুর মাংস,মাশকলাই ডাল ও পায়েশ। খাওয়া দাওয়ার স্বাদ ভালোই হয়েছে। আর মামার বাড়ির খাবার খারাপ হলেও তো কিছু বলা যাবে না,হা হা হা। শত হোক মামার বাড়ি। যায়হোক খাওয়ার দাওয়ার পর্বের পরে শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব।
সবাই যার যার চেয়ার নিয়ে বসলেন, সুনসান নীরবতা। অমার তিন মামা, তিন খালা, মামানি, চাচাতো নানা, আমার দুই ভাই আমি আমরা সবাই চুপ করে বসে রইলাম। আমার বাবা প্রথম কথা শুরু করলেন। বাবা তিনির ছেলের মাধ্যমে মামার মেয়েকে পুত্র বধু হিসাবে নিতে চাই। মামাও দিতে রাজি হয়েছে। এখন কিভাবে নিবে, কত তারিখ বিয়ে হবে, কতজন মানুষ আসবে, কয় লাখ টাকা কাবিন হবে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলো। অবশষে বৃহস্পতিবারে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হলো। মামা বলেছে আমরা কতজন মানুষ যাবে যেটা যেন বাড়িতে গিয়ে বুঝে মামাকে জানি দেওয়া হয়।
তারপর পাত্রীকে নিয়ে আসা হলো। এখানে আমরাই আত্বীয় স্বজন ছিলাম। পাত্রীকে দেখে আমার ভাই রিং পড়িয়ে দিলো। তারপর আবার নাস্তা দেওয়া হলো। সবাই নাস্তা করে বিভিন্ন কথা বার্তা বলতে বলতে মাগরীবের আজান হয়ে গেলো। আমি সবাইকে তারাতারি বের হতে বললাম। কিন্তুু সবাইতো আমাদের পরিচিত, কারো কথাই যেন শেষ হয় না। যায়হোক অবশেষে সন্ধা ছয়টার পরে সবাইকে নিয়ে মামার বাড়ি থেকে বের হলাম। আমি হাইওয়ে রোডে এসে সবাইকে বিদায় দিয়ে দিলাম। আমি মহানগর গোধুলী ট্রেনে চড়ে ঢাকায় চলে আসলাম। এখন বিয়ের আগের দিন অফিস থেকে কিভাবে ছুটি নিবো সেটাই চিন্তা করতেছি। আল্লাহ যেন স্যারের উপর রহমত করে, ছুটির ফর্মে যেন স্বাক্ষর করে দেয়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
শুভ কাজে দেরি করতে নেই। সবাই যেহেতু পরিচিত তাহলে আর কিসের সমস্যা। আসলে স্যার মনে হয় এতটা খারাপ নয় যে শুভ কাজে স্বাক্ষর করবে না।যাইহোক অপেক্ষায় থাকলাম বিয়ের পোস্ট গুলো দেখা'র জন্য।
জী আপু যথা সময়ে আপডেট পোষ্ট পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি আজকের মধ্যে আত্মীয়তা করতে নেই। তারপরে ওখানে পরিবারে এমন বিবাহ বন্ধন হয়ে থাকে। যাহোক দোয়া করি বৃহস্পতিবার শুভ কাজ যেন সম্পন্ন হয়। বেশি বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন তাই অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো এই এনগেজমেন্ট সম্পর্কে।
জী ভাই বিস্তারিতই প্রকাশ করলাম। আর আত্বীয়ের মধ্যে আত্বীয় আমিও তেমন পছন্দকরি না। তারপরেও হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
যেহেতু আপনার ভাই প্রবাসে থাকে তাই এই সময় বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার বাবা-মা ভালোই করেছে ভাইয়া। না হলে আবার যদি প্রবাসে চলে যায় তখন ফিরে আসতে আসতে অনেকটাই বয়স হয়ে যাবে। আপনার ছোট ভাইয়ের বিয়ের কথা শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
জী আপু আবার কখন আসবে, সেই জন্যই বিয়ের কাজটা শেষ করে ফেলতে চাইছি। ধন্যবাদ।
আপনার ছোট ভাই ছুটিতে বাড়ি এসেছে।আর এই ছুটিতেই বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে নিচ্ছেন।যার জন্য এঙ্গেজমেন্ট হলো ।এখন বিয়ের জন্য আপনার ছুটি বস দিবে নিশ্চয়ই কেননা অনুষ্ঠান বলে কথা।মামাতো বোনের সাথে বিয়ে বেশ ভালই হলো পরিবারের মধ্যেই,ধন্যবাদ।