ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।
মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা গত পরশুদিন আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করে জানিয়েছিলাম যে, হঠাৎ নিমন্ত্রণে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার মামা শ্বশুরের নিমন্ত্রণে ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে। যেদিন অনুষ্ঠান ছিল, মেহমান ছিল, সেদিনের খাবারের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমি ক্যাপচার করতে পারেনি। কারণ সেদিন অনেক মেহমান ছিল। আর মেহমানদের সামনে ফটোগ্রাফি করলে তেমন ভালো দেখা যায় না।
তো যেদিন আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়েছিলাম, সেদিনই অনুষ্ঠান ছিল। ঐদিন খাওয়া দাওয়া করে সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত মেহমান চলে গিয়েছিল। যেহেতু আমি ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম তাই আমার আর আসা হয়নি। আমি গতকাল সারা দিন থেকে রাতের বেলা ট্রেনে ঢাকায় এসেছিলাম। গতকাল আমি আর আমার ওয়াইফ দুইজনে একসাথে এক রুমে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। গতকালকে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। ভাবলাম আজকে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
প্রথমে আপনারা এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু রোস্ট এর ফটোগ্রাফি। আমি যতবার তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কোন সময়ে রোস্ট মিস হয়নি। অনেক সময় আস্তো মোরগ ও ভুনা করে দিয়েছিল। শ্বশুরের মুরগির বিজনেস থাকলে যেমন হয় আর কি। খাওয়া-দাওয়া আলহামদুলিল্লাহ কোন অংশে কম হয় না। রিজিক আল্লাহ তাআলার অনেক বড় একটি নিয়ামত।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন রুই মাছ এবং কই মাছের ভুনা রেসিপি। এগুলো কিছুটা শুকনা করেই ভুনা করা হয়েছে। এখানে ফটোগ্রাফিতে মাছের ভুনাটা দেখতে ভালই লাগছে। কিন্তু মাছগুলো বেশি ভাজা ভাজা হয়েছিল। যার ফলে স্বাদ কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ারপরেও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে।
তারপরে রয়েছে আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আর সেটা হলো করলা ও গাজর দিয়ে আলু ভাজি। এ রেসিপিটা আমার খুবই প্রিয়। আমি যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বেড়াতে যাই। তখন তারা সব সময় এই রেসিপিটা করে থাকে। আমার কাছে সবগুলো খাবারের মধ্যে, এই খাবারটি বেশি ভালো লেগেছে।
তারপর এখানে রয়েছে ছোট মাছ চচ্চটি রেসিপি। নদীর ছোট ছোট মাছ দিয়ে খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি হয়েছিল। তাছাড়া আমরা সবাই তো জানি ছোট মাছ আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আমরা সবাই কম বেশি এই ছোট মানুষগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবো। এর মাধ্যমে আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
এখানে রয়েছে একটি চান্দা মাছের শুকনা শুকনা ভাজি রেসিপি। মাছ দিয়ে অনেক আইটেম করা যায়। সেজন্য আমাদের চিন্তা এবং বুদ্ধি দরকার। বাজার থেকে একসাথে ছোট মাছ কিনে আনলে অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায়। সেগুলোকে আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়।
এখানে রয়েছে কষা মুরগির মাংসের রেসিপি। যেগুলো দেখেই কেমন লোভনীয় লাগছে। আর খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। চিকেনের পিচ গুলো অনেক বড় বড় ছিল। ঝোল ঝোল করে তৈরি করা রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মাংস থেকে ঝোলটা বেশি স্বাদ লেগেছে।
সর্বশেষ একটি রেসিপি শেয়ার করলাম। আর এটা হলো ঝাল মুড়ি মাখা রেসিপি। রাতের বেলা বারোটার পরে শশুরের হঠাৎ করে ঝাল মুড়ি খেতে মনে চেয়েছে। আর মন যেটা চাই সেটাই। রাতের বেলা ১২ টার পরে হয়ে গেলো ঝাল মুড়ির রেসিপি। অনেক ধরনের উপকরণ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই রেসিপিটি করা হয়েছে। আমি শুয়ে শুয়ে মোবাইলে চোখ বুলাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমার সামনে ঝালমুড়ির প্লেট চলে আসলো।
যাই হোক বন্ধুরা দেখতে দেখতে আমিও শেষের দিকে চলে এসেছি। এখন আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
device -realme 53
location -brahmanbaria
Date- 13-12-2024
Time - 3.00 pm
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনার প্রতিটা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। আর খাবার গুলো দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গেলো। প্রতিটা খাবার খেতে দারুন মজাদার ছিল এটা দেখেই বুঝতে পারছি। এখানে থাকা বেশিরভাগ খাবার আমার খুব পছন্দের। প্রথমেই শুরু করেছেন রোস্ট এর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। যা দেখো একটু বেশি লোভ লেগেছে।
জী আপু সবগুলো খাবার বাসায় রান্না করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
শশুর বাড়ির জামাই আদর খারাপ কেন হবে।আপনার রেসিপি গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি খাবার লোভনীয়।বিশেষ করে নদীর ছোট মাছের চচ্চড়ি।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু কিছু খারারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু প্রত্যেকটা খাবার দারুন সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ।
ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয়। আপনার শেয়ার করা মুরগির মাংসের রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল ভাইয়া। এছাড়াও বাকি সব খাবার বেশ মজাদার।
জি ভাই প্রত্যেকটা খাবার বেশ লোভনীয় নিয়েছিল। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো যেকোনো খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে এবং খেতে বেশ ভালো লাগে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ঝাল মুড়ি এর ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করে বর্ণনা দেওয়ার জন্য।
রাতে বারোটার দিকে ঝাল মুড়িটা খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদরের কথাও কোন কমতি হয় না দাদা। পাত পেড়ে চব্য চস্য লেহ্য পেয়ো একদম গলা পর্যন্ত ভর্তি করেই খাওয়ান। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও দেখেছি সামর্থেরও অধিক আয়োজন করে। শ্বশুরবাড়িতে জামাইদের কদর অনেকে বেশি। খাবারের ছবিগুলো তো খুবই ভালো লাগল। আর খেতেও নিশ্চই দারুণ হয়েছিল।
জী আপু একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখে ভালো লাগলো। রোস্টের ফটোগ্রাফি এবং ঝাল মুড়ির ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও খুব লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় এই খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ, খুব সুন্দর কমেন্ট করে সাথে থাকার জন্য।
ঘরোয়া ভাবে খুব সুন্দর সুন্দর ফুড রেসিপি তৈরি করেছিলেন। যেগুলো আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি আকারে শেয়ার করলেন। আপনার ফুড ফটোগ্রাফি দেখে তো এখন খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে খেয়েছেন । আবার আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভালোই উপভোগ করলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
Task Done
আপনার তোলা সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক লোভনীয় ভাই। কোনটা থেকে কোনটা ফটোগ্রাফি দেখবো বলে বুঝাতে পারতেছি না। কারণ যেই ফটোগ্রাফি টা দেখি সেটাই লোভ লেগে যাচ্ছে।ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই সবগুলো খাবারই বেশ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।
আসলে ঘরোয়া ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করে কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে লোভ দেখিয়েছেন। আসলে এত দারুণ দারুণ খাবার দেখতে পেয়ে আমার খুব লোভ হচ্ছিল। এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।