ঈদের তৃতীয় দিন পার্কে একটু ঘোরাঘুরি
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আমার সকল স্টিমিট বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি। তবে চলুন আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঈদের তৃতীয় দিন পার্কে ঘোরাঘুরির সুন্দর মুহূর্তের একটি পোস্ট। আজকে সারাদিন একটু ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। তারপর একটু তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে স্কুলে গিয়েছিলাম একটু কাজে। স্কুল থেকে এসে আবারো একটু বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলাম। বাজারে কিছু কাজ শেষ করে বাড়িতে আসার সময় অনেকগুলো বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল। তারপর বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। অনেকদিন আমরা ইন্টারনেট কানেকশন থেকে দূরে ছিলাম। তাই পোস্ট করতে পারতাম না। তাছাড়াও আমাদের এলাকায় একটু সমস্যার কারণে ওয়াইফাই কানেকশন বিচ্ছিন্ন ছিল। কিছুক্ষণ আগে ওয়াইফাই এর সমস্যা সমাধানের কারণে এখন মোটামুটি ইন্টারনেটের তাওতাই আসতে পেরেছি। তবে চলুন আজকে পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাবে।
আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে দুটি ছবি শেয়ার করেছি প্রথম ছবিটি হলো একটি পুরনো নীলকুঠির ছবি।আমাদের জেলায় দুইটি নীলকুঠি আছে। একটি আমঝুপিতে এবং অন্যটি ইকো পার্কে অবস্থিত। আমরা ঘুরতে গিয়ে দেখেছিলাম ভাটপাড়া ইকো পার্কের নীলকুঠি। ইংরেজদের আমলে এই নীলকুঠিটি তৈরি করা হয়েছিল যাতে সাধারণ জনগণের নীল চাষে উদ্বুদ্ধ করা যাই। ইংরেজরা প্রায় 27 একর জমির উপরে কুঠিবাড়ি তৈরি করেছিল। অনেক দিনের পুরনো হওয়ার কারণে এই বাড়িগুলো ভেঙেচুরে গিয়েছে। অনেকেই ভাঙাচোরা ঘরের বাইরে এবং ভেতরে ছবি তুলছিল। আমি এবং আমার কাকা ও অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম।
আপনারা আবারও উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে তিনটি ছবি শেয়ার করেছি। এ দুটি ছবির মধ্যে প্রথম ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি পুকুরের উপরে ছোট্ট একটি খাঁচার মতো জিনিসটির মাধ্যমে ঘুরতে আসা লোকজন গুলো এর ভিতরে চড়ে পুকুরের এই পাড় থেকে ওই পাড়ে এটি সাহায্যে যাচ্ছিল। দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এবং দ্বিতীয় ছবিটিতে লক্ষ করলে দেখতে পারবেন একটি বোট কুকুরের কিনারায় রাখা ছিল। এই বোট এর সাহায্যে ঘুরতে আসা পর্যটকরা পুকুরে ভেতরে ঘোরাঘুরি করছিল। এবং তৃতীয় ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি মিনি ট্রেন এর ছবি। এই টেন তুলনামূলক অনেক ছোট হওয়ায় অনেক অল্প জায়গাতে ঘোরাঘুরি ছিল। এ মিনি ট্রেন এ ঘোরার জন্য টিকিট এর মূল্য রাখা হয়েছিল ৪০ টাকা করে।
আপনারা আবার ওপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে তিনটি ছবি শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন উপরের দিকে একটি উট পাখির ভাস্কর্যর ছবি এবং নিচের দিকে একটি কুমির ও কয়েকটি বক পাখির ছবি। এই ভাস্কর্য দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আপনারা দ্বিতীয় ছবিটি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি ক্যাঙ্গারুর ভাস্কর্য ছবি ।আসলে আমার কাছে এই ক্যাঙ্গারুর ভাস্কর্য দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। এবং তৃতীয় ছবিটি হলো একটি কুমিরের মুখের মধ্যে ছবি। অনেকেই ভাস্কর্যের সাথে ছবি তুলছিল এবং ভিডিও করছিল।
আপনারা আবার উপর দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। পার্কে যখন আমি আর আমার কাকা ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন একটি স্মার্ট বেলুন বিক্রেতার সাথে দেখা হয়েছিল। তারপর বেলুন বিক্রেতা কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম আমি। সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপর আমরা যখন ঘোরাঘুরি শেষে বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলাম তখন আমি আর আমার কাকা একটি সেলফি তুলে ছিলাম। সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে দিনটি আমার কাছে অনেক আনন্দ সাথে কেটেছিল। এই দিনটির কথা আমি কোনদিনও ভুলতে পারবো না। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট দেখে আমার ঈদের কথা মনে পড়ে গেল। আপনি তো দেখছি বন্ধুদের সাথে করে ইকোপার্কে ভ্রমণ করতে চলে গিয়েছিলেন। এই জায়গাটিতে আমিও অনেকবার ফোন করেছি খুবই সুন্দর একটা জায়গা এটা।
পার্কে ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইজান। ঈদের ঐ মুহূর্তে পার্কে ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে। ঠিক তেমনি ঘোরাঘরের মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনার পার্কে ঘোরাঘুরির পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। ঈদ উপলক্ষে আমরা কমবেশি সবাই ঘুরতে যায় বাইরে। আর এই মুহূর্তে ফটো ধারণ করতে খুব ভালো লাগে। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার এই পোস্টটা।