পুকুরে পানি ফেলে দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আমার সকল স্টিমিট বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি তবে বাবা অসুস্থ তাই পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে বেশ কষ্টের মধ্যে আছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

1000061521.jpg

আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি পুকুরের পানি ফেলে দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতি। আসলে আমি আজকে যে পুকুরে মাছ ধরেছিলাম সেই পুকুরটিতে আমাদের পাড়া বা মহল্লার সকলের ভাগ রয়েছে। আসলে এই পুকুর থেকে আমরা প্রত্যেক বছর প্রায় পাড়ার সকলেই অনেক মাছ ধরে খেয়ে থাকি। এই পুকুর থেকে প্রায় প্রত্যেক মাসে একদিন মাছ ধরা হয় আসলে পাড়ার সকলে মিলে যদি এভাবে মাছ ধরে খাওয়া যায় সত্যি বেশ মনের মাঝে আনন্দ লাগে। সেদিন বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম ছবিগুলো একসাথে ক্লোজ করে একটি ফ্রেম তৈরি করেছি সেটিও আপনাদের মাঝে উপরে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি। আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

IMG_20240727_131042.jpg

IMG_20240726_184644.jpg

IMG_20240727_173109.jpg

পুকুরের পানি ফেলে দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমি বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করবো বলে। আসলে পুকুরে যে দিন মেশিন বসানো হয়েছিল পানি ফেলে দেওয়ার জন্য সেই দিন থেকে আমি ছবি তুলেছিলাম। আসলে পুকুরটি অনেক গভীর এবং বেশ বড় তাই পুকুরের পানি ফেলে দিতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়েছিল। আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পুকুরে একটি পানি ফেলা মেশিন সেট করা হয়েছে সেখানে বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে মেশিন স্টার্ট করার পরে গল্প করছিল। তখন আমি দূর থেকে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছিলাম। আসলে পানি ফেলা এই মেশিনটি হচ্ছে মিনা ভাইয়ের। আসলে এই পুকুরের পানি ফেলতে আমাদের প্রায় দুই দিন সময় প্রয়োজন হয়েছিল। সবমিলিয়ে পুকুরের পানি ফেলতে সকলের অনেক কষ্ট হয়েছিল।

IMG_20240727_160638.jpg

IMG_20240727_160643.jpg

IMG_20240727_173003.jpg

আপনার উপরের ছবির দিকে ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন পুকুরের পানি প্রায় শেষের দিকে। তখন আমি ভেবেছিলাম আমি পুকুরে মাছ ধরার জন্য নামবো। বেশ কিছু সময় পরে দেখি কিবরিয়া এসেছে পুকুর পাড়ে। মোবাইল ফোন কিবরিয়ার কাছে দিয়ে আমি পুকুরের মধ্যে নামতে শুরু করেছিলাম তখনই বলেছিলাম বেশ কয়েকটা ছবি তুলে রাখতে পোস্ট করতে হবে। তাই কিবরিয়া অনেক সুন্দরভাবে বেশ কিছু ছবি তুলেছিল। আসলে অনেক মানুষ যদি পুকুরের পানি ফেলে দিয়ে এভাবে মাছ ধরা যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। মাছ ধরার সময় আমরা ছোট্ট ছেলেরা পুকুরের মধ্যেই কাদা ছোড়াছুড়ি খেলেছিলাম। ছোট্ট জীবনে স্মৃতি হিসেবে থাকবে।

IMG_20240727_173103.jpg

IMG_20240727_173011.jpg

IMG_20240727_173007.jpg

বেশ কিছু সময় পর এভাবেই পুকুরের পানি যখন শেষের দিকে তখন সবাই বাড়ি থেকে হাড়ি নিয়ে এসেছিল মাছ ধরে রাখার জন্য। যেহেতু এই সময় পুকুরের পানি অনেক অল্প হয়ে গিয়েছিল তাই মেশিনে পানি আর ভালো উঠছিল না। তারপরে সবাই মিলে আবারো অনেক সুন্দর ভাবে পুকুরের মধ্যে ড্রেন করা শুরু করেছিল। তখন মেশিন দিয়ে কাদা পানি উঠছিল হঠাৎ সেই সময় মেশিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মেশিন বন্ধ রাখা অবস্থায় আমরা সকলে মিলে বেশ ভালোভাবে ড্রেন করেছিলাম। আসলে এই সময় কিবরিয়া কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিল। ড্রেন করা শেষে মেশিন স্টার্ট করেছিল তখনই পানি উঠছিল এবং সেই সময় আমরা সকলে উপর থেকে মাছ ধরা শুরু করেছিলাম।

IMG_20240727_175156.jpg

IMG_20240727_175154.jpg

IMG_20240727_181340.jpg

IMG_20240727_181433.jpg

এভাবে বেশ কিছু সময় পুকুরের মধ্যে আমরা সকলে মিলে মাছ ধরেছিলাম। এই পুকুরটি আমাদের পাড়ার সকল মানুষের। এই পুকুরটির নাম ছিল বড় পুকুর। আসলে আমাদের গ্রাম বা পাড়ার মধ্যে এই পুকুরটি হচ্ছে সবথেকে বড় এ জন্য বড় পুকুর নাম রাখা হয়েছিল। মাছ ধরা শেষে আমারও যখন সকলে উঠে আসছিলাম তখন হঠাৎ আমি একটি কাসিম দেখতে গিয়েছিলাম। আমি কাসিমটি ধরে উপরে নিয়ে এসেছিলাম কিবরিয়া অনেক সুন্দর ভাবে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। আসলে কাসিম দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এরপরে পাশের একটি পুকুরে আমি কাসিমটি নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম। ছোট্ট এই কাসিমটি দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছিল। আজকের পোস্টে লেখা এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমার পরিচয়

1000059568.png

আমার নাম মোঃ জুবায়ের হোসেন। আমি বাংলাদেশের গাংনী থানার,মেহেরপুর জেলার,খুলনা বিভাগের মটমড়া ইউনিয়নের কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বেড়ে উঠেছি। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নরত রয়েছি। আমি বিভিন্ন সময়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন রয়েছে আমি বড় হয়ে কোন একদিন ফ্রিল্যান্সার হব। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার পরিচয় শেষ করলাম সকলকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

1000059906.png

1000059908.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

!upvote 15


Fantastico y en extremo divertido ese baño de lodo que recibieron tu y tus amigos.


💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven).

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 175%

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@xpilar.witness

We are the hope!

 4 months ago 

খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট। অসাধারণ ভাবে কাজ সম্পন্ন করেছেন এরপর আবার একটি জলজ প্রাণী ধরে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। যা অনেকদিন ধরে দেখা হয় না। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই পোস্ট দেখে।

 4 months ago 

ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

সত্যি ভাইয়া পুকুরের পানি ফেলে এভাবে অনেকগুলো মাছ একসাথে যখন থাকে তখন ধরার মজাটাই আলাদা। আমার তো পুকুরে ছিপ দিয়ে হোক বা জাল দিয়ে মাছ ধরা দেখতে এবং ধরতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে আপনি পুকুরের মধ্যে নেমেছেন আর তখন কিবরিয়া এসে অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি ধারণ করেছে। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পুকুরে পানি ফেলে দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতি জানতে পেরে ধন্যবাদ।

 4 months ago 

আপু সিপ দিয়ে মাছ ধরার থেকেও পুকুরের পানি ফেলে দিয়ে মাছ ধরতে বেশি মজা লাগে।

 4 months ago 

এটা সত্যি বলেছেন ভাই পুকুরের পানি ছেচে ফেলে দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা এমনটা অবশ্য ছোটবেলায় অনেকবার করেছি। আপনি একটা ভাল কাজ করেছেন ছোট কাছিমটা পাশের পুকুরে ছেড়ে দিয়েছেন। মাছ ধরার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 4 months ago 

কাছিমটা ধরার পরে কিছু সময় কাছিমের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম।