বাজার করার অনুভূতি
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আমার সকল স্টিমিট বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি। তবে চলুন আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বাজার করার অনুভূতিমূলক একটি পোস্ট। আজকে সকাল থেকেই কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা করে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। তারপর কিছুক্ষণ পর আব্বু এসে বলল ঈদের কিছু বাজার করার বাকি আছে। তখন আমি বাইক নিয়ে বাজারে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপর বাজারে গিয়ে মনে পড়ল আমারও কিছু কেনাকাটা বাকি আছে। তখন আমি আমার কেনাকাটা শেষ করে নিয়েছিলাম। বাড়িতে আসার সময় অনেক রকম মিষ্টি, দই, ও রান্নার কিছু সরঞ্জাম নিয়েছিলাম। বাজার শেষ করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। অনেকক্ষণ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসেছে রাতের খাওয়া দাওয়া করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যায়.....
আপনারা ওপরে দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটা হলো সবজি বাজারে যখন বাজার করতে গিয়েছিলাম তখন এই ছবিটি তুলেছিলাম। আসলে আমাদের এই বাজারে একদিকে সবজি বাজার এবং অন্যদিকে পানের বাজার বসে। আমাদের থানায় সবচেয়ে বড় হাট বামন্দিতে অনুষ্ঠিত হয়ে। অনেক বছর আগে থেকেই এই হাট শুক্রবার এবং সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে অনেক জমজমাট হয়ে থাকে। অন্যদিকে আবার এই হাট পশু হাটের জন্য অনেক বিখ্যাত। দূর দূরান্ত থেকে পশুপাখি বিক্রি করার জন্য ক্রেতা এবং বিক্রেতা এই হাঁটে এসে থাকে।
আপনারা ওপারে দিখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও সুন্দরভাবে দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটা হলো বেগুন,পটল এর ছবি। আমি যখন বেগুন এবং পটল ক্রয় করতে ছিলাম তখন এই ছবিটি তুলেছিলাম। তখন আমার কাছ থেকে বেগুনের দাম নিয়েছিল ৫০টাকা কেজি এবং পটলের দাম নিয়েছিল ৩০ টাকা কেজি। আপনারা দ্বিতীয় ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পাকা লাল টমেটো ছবি। কাঁচা
পাকা টমেটো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি যখনই বাজারে যাই তখনই টমেটো ক্রয় করি। আসলে টমেটোগুলা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমার কাছে টমেটোর দাম রেখেছিল ৬০ টাকা কেজি।
আপনারা আবারো উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সুন্দরভাবে দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি প্রথম ছবিটি হলো পাকা আম এর ছবি। আসলে আমগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমগুলো পেকে অনেকটা হলুদ রঙ ধারণ করেছিল। এখানে প্রতি কেজি আমের মূল্য ছিল ১২০ টাকা করে। আমাদের বাড়িতেও অনেকগুলা আমের গাছ ছিল। তবুও বাজার থেকে ২ কেজি আম নিয়েছিলাম আমি। আপনারা আবার দ্বিতীয় ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন জামের ছবি। আসলে জামগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের বাড়ির পাশে অনেক গুলা জাম গাছ আছে কিন্তু গাছে উঠে জামপাড়া অনেক কষ্টকর হয়ে । তাই সেখান থেকে ১ কেজি জাম ১২০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম।
আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটি হল লিচুর ছবি। আসলে এখন লিচুর সিজন প্রায় শেষের দিকে। তাই এখন লিচুর সিজন শেষ হাওয়াই লিচুর দাম ও অনেকটা বেশি। ১০০টি লিচুর দাম প্রায় ৬০০ টাকা করে বিক্রেতা বিক্রি করছি। আসলে লিচুর সিজন শেষ হাওয়াই লিচুর দাম অনেকটা বেশি ছিল। আপনারা আবারো দ্বিতীয় ছবিটির দিকে লক্ষ্যে দেখতে পারবেন তরমুজের ছবি। তুলনামূলক তরমুজের মূল্য অনেকটা কম ছিল। এখানে প্রতি পিস তরমুজ ২৫ টাকা করে বিক্রেতা বিক্রি করছে। এখান থেকে আমি চারটি তরমুজ নিয়েছিলাম।
আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও সুন্দর ভাবে একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বাজার শেষে বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তখন দেখি পাশে অনেকগুলো ইলিশ মাছ বিক্রেতা বসে আছে। আমার কাছে ইলিশ মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। আসলে ইলিশ মাছের দাম যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ইলিশ মাছ কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে। দিন ক্রমে ইলিশ মাছের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখান থেকে একটি ইলিশ মাছ কিনেছিলাম আমি। এই ইলিশ টির ওজন হয়েছিল এক কেজির কিছুটা বেশি। তারপর ইলিশ মাছ কিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
১০০টি লিচুর দাম ৬০০ টাকা শুনে মনে হচ্ছে অনেকটাই বেশি। আমাদের এদিকে ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ভাইয়া। কি আর করার আজকাল সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। বাজার করার বিভিন্ন মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
জ্বী ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। দিন দিন সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে।
ভাইয়া গ্রামে তো আমের দাম ১০০ টাকা কেজি কিন্তু আপনি বাজার থেকে ১২০ টাকা কেজি আম। বাজার করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আপনার বাজার করার অনুভূতি জানতে পারি ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো আমি লস খেয়ে গেছি আপু।
বাজার করার খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। বাজারে গেলে তরতাজা জিনিস গুলো দেখতে ভালোই লাগে। শাকসবজির পাশাপাশি ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও খুবই ভালো লাগলো। ইলিশ মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে মাছগুলো একদমই তাজা। ভালো লাগলো আপনার বাজার করার অভিজ্ঞতা দেখে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
বাজার করা সুন্দর অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই অনুভূতি দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার। যেখানে বিভিন্ন ফল সবজির ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের দেখিয়েছেন। আর এই সমস্ত ফল সবজির ফটো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
বাজার করা খুব সুন্দর একটি অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আজকে আমি লিচু কিনেছি ৫০০ টাকা শ। প্রত্যেকটা ফলের দামি বেশি এখন। আর প্রতিনিয়ত কমবেশি এই সেই ফল কিনতেই আছি। তবে যাই হোক খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
তাহলে তো আমি লিচু কিনে লস করে ফেলেছি ভাইয়া।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার বাজার করার অনুভূতি। সত্যি আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বামুন্দি বাজার থেকে আপনি বাজার করেছেন জানতে পারলাম। আসলে তুলনামূলক দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি কাকা প্রতিনিয়ত এই জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি আজকে বাজার করা নিয়ে আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে গ্ৰাম অঞ্চলে সপ্তাহে দুইদিন অনেক বড় হাট বসে। আর সেদিন বাজারে প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে এখন বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটাই বেশি। যাই হোক ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া আমাদের এই হাট তুলনামূলক অনেক বড়। আমাদের থানার ভিতরের সবথেকে বড় হাট।
আর আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিনিয়তই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে।