বিয়েবাড়িতে কাটানো কিছুটা সময়ের অনুভূতি।
বিয়েবাড়িতে কাটানো কিছু ভালো মুহূর্ত
আজ আপনাদের সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে কাটানো কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। এই সময়টা আমার বেশ ভালই কাটলো। আসলে আজ আমার স্কুল কলিগের এক বিয়ে উপলক্ষে আমন্ত্রণ ছিল কলকাতায়। আর বিয়েবাড়ির আসরটি বসেছিল একেবারে কলকাতার মধ্যে অবস্থিত সল্টলেকে নিকো পার্কের একটি ব্যাংকোয়েট হলে। আপনার অনেকেই কলকাতার বিখ্যাত নিকো পার্কের নাম শুনেছেন। শিশু বিনোদন পার্ক হিসেবে এই পার্কটি সারা ভারতে খুব বিখ্যাত। আর সেখানেই আজ বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রণ ছিল আমার।
সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে আমি যথাসময়ে বাড়ি থেকে বের হলাম। বাইক নিয়ে আমার বাড়ি থেকে নিকো পার্ক যেতে এক ঘন্টা মত সময় লাগে। তাই বাইক চালিয়ে যথাসময়ে উপস্থিত হলাম বিয়ে বাড়িতে। দুর্দান্ত সাজানো গোছানো একটি ব্যাংকোয়েট হলে আজকের বিয়েবাড়িটি অনুষ্ঠিত হলো। ঢুকে দেখলাম সুসজ্জিত দরজায় পাত্র পাত্রীর নাম লেখা রয়েছে। আর তার পাশ দিয়েই আমি প্রবেশ করলাম। রাস্তায় জুড়ে ফুলের সাজ দিয়ে অসাধারণ মণ্ডপ সজ্জা করা হয়েছে। পুরো জায়গাটা একেবারে গমগম করছিল বিয়ে বাড়ির জন্য।
বিয়ে বাড়িতে ঢোকার পর প্রথমেই ছিল বিভিন্ন স্টাটার খাবারের আয়োজন। সেখানে বিভিন্ন রকম পদের সঙ্গে ছিল কাবাব কাউন্টার। অর্থাৎ বিভিন্ন রকম চিকেন কাবাব এবং চিকেন ড্রামস্টিকের আয়োজন ছিল। তারপর ছিল মেইন কোর্স। মেইন করছে অনেক রকম খাবারের আয়োজন ছিল। সেখানে নিরামিষ এবং আমিষ উভয় রকম কাউন্টারই ছিল। বিভিন্ন রকম খাবারের মধ্যে মটন কাবাব, চিকেন ড্রামস্টিক, ভেটকি মাছের পাতুরি, ভেটকি মাছের ডায়মন্ড ফ্রাই, মাটন বিরিয়ানি, রাইস, চিকেন মশালা ইত্যাদি পদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের খাবারের পদ সেখানে ছিল। আমি তার মধ্যে সামান্য কয়েকটি জিনিস খেয়ে এবং একটি মিষ্টি খেয়ে খাবারের পাট শেষ করি। এখন আর বেশি খেতে পারি না আমি। বিয়ে বাড়ি যাই, খেতে ভালবাসি, কিন্তু খাবার পরিমাণ খুব যত্সামান্য। বেশি খেলে শরীরও আর সঙ্গ দেয় না। তাই সব দিক থেকেই খাবার পরিমাণ খুব কমিয়ে দিয়েছি।
তবে আজকের বিয়েবাড়িটি সাজ সজ্জা এবং খাবার-দাবারের দিক থেকে বেশ উল্লেখযোগ্য বলা যায়। বর এবং কনেকেও আজ সেজেগুজে দারুন ভালো লাগছিল। তারা ব্যস্ত থাকা সত্বেও কিছু পরিমাণ কথাবার্তা এবং ভাব বিনিময় হয়। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ঘরের গন্তব্যে।
আজ দিনটি বিয়েবাড়ির মধ্যে দিয়ে বেশ ভালোই গেল। বিয়েবাড়ি হলে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়। যদিও এ কোন আত্মীয়র বিয়ে নয়, তবু স্কুলের কলিগ হওয়ায় বেশ কিছু কলিগের সঙ্গে দেখা হলো। আর সকলে মিলে কয়েকটি কথা বললাম।
আজ বিয়ে বাড়ির অনুভূতি আপনাদের সকলের সঙ্গে শেয়ার করলাম। আপনাদের সার্বিকভাবে কেমন লাগলো নিশ্চয় জানাবেন।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1868366093536137449?t=n_xFiu6qCCCtafR2o1AzaQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Today's task-
অনেক বড় আয়োজন করা হয়েছে দেখছি। বেশ ধুমধামেই বিয়ে হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে পুরো জায়গাটা সুসজ্জিত করা। বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ডেকোরেশন সবকিছু ভালো লাগছে দেখতে। দারুন হয়েছে আপনার ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সবদিক থেকে ডেকোরেশন দারুন সুন্দর করেছিল। সেই জন্য আমি বিশেষ করে ছবি তুলে এনেছি আপনাদেরকে দেখাবো বলে। পোস্ট দেখে এত সুন্দর কমেন্ট করবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।