বড়দিনের আলোকমালায় ভাসছে শ্রীরামপুর শহর৷ হেরিটেজ কার্নিভালের রোশনাই।
বড়দিনের আলোকমালায় ভাসছে শ্রীরামপুর
🙏 সকলকে স্বাগত জানাই 🙏
আজ বড়দিন। অর্থাৎ যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে মেতে উঠেছে কলকাতা শহর তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা। সেই উপলক্ষে সাজানো হয়েছে হুগলি জেলার অন্যতম শহর শ্রীরামপুর। অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম এবছর শ্রীরামপুরে হবে ক্রিসমাস কার্নিভাল। সেই উপলক্ষে নাকি সেজে উঠেছে সম্পূর্ণ শহর। আমি সেই কার্নিভাল দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলাম শ্রীরামপুর শহরে। গিয়ে দেখলাম সারা শহর জুড়ে সাজো সাজো রব। ক্রিসমাস কার্নিভাল উপলক্ষে আলোকমালায় সেজে উঠেছে শহর শ্রীরামপুর।
এক সময় এই শহরের নাম ছিল ফ্রেড্রিক্সনগর। আসলে এই শহরে ছিল ড্যানিশ উপনিবেশ। আর ডেনমার্কের রাজা ষষ্ঠ ফেড্রিক্স এর নাম অনুসারে এই শহরের নামকরণ হয়েছিল ফ্রেড্রিক্স নগর। আপনারা জানেন হুগলি জেলায় গঙ্গার তীর জুড়ে একসময় ঘাঁটি করেছিল ইউরোপিয়ানরা। আর নবাব আলীবর্দী খাঁর কাছ থেকে ব্যবসায়ের পরোয়ানা নিয়ে শ্রীরামপুরে আসেন ড্যানিশ বণিকরা। সেই থেকেই এই শহরের শ্রীবৃদ্ধি শুরু।
বর্তমানে শ্রীরামপুর হুগলি জেলার একটি অন্যতম শহর। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন দ্রষ্টব্য জায়গা। তার মধ্যে অন্যতম হলো সেন্ট ওলাভ চার্চ। এই গীর্জা ছিল ড্যানিশ সাহেবদের জন্য একমাত্র উপাসনারলয়। শ্রীরামপুরে উপনিবেশ তৈরি করার পর তারা এই গির্জায় উপাসনা করত। প্রায় ২২৫ বছর ধরে এই গির্জা শ্রীরামপুরে ড্যানিশ উপনিবেশের সাক্ষী দিয়ে আসছে। আজও গির্জার ভিতর ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নরদের নাম লেখা আছে। যার মধ্যে ক্যাপ্টেন ওলে বাই অন্যতম। আর এই সেন্ট ওলাভ গির্জা এবার সেজে উঠেছে একেবারে নতুন সাজে। আর তার আশপাশে সমস্ত রাস্তা ঝলমল করছে রঙিন আলোয়। যেন বড়দিন উপলক্ষে আলোয় ভাসছে ড্যানিশদের শহর শ্রীরামপুর। মঞ্চ করে চলছে কার্নিভালের অনুষ্ঠান। সান্তাক্লজ ঘুরে বেড়াচ্ছে আনাচে-কানাচে। আর এই হেরিটেজ ফেস্টিভাল জুড়ে চলছে গান বাজনা এবং আমার প্রমোদ।
কোন জায়গা আলো দিয়ে সাজালে তা দেখতে খুব ভালো লাগে। আর শ্রীরামপুর তো এখন ঝলমল করছে আলোকমালায়। প্রতিটি রাস্তার উপরে অসংখ্য আলো এবং তা ক্রিসমাসের ডিজাইনে সাজানো। এখান থেকেই চলছে গাড়ি ঘোড়া এবং হেঁটে যাচ্ছে মানুষ জন। তার সঙ্গে বসেছে অসংখ্য খাবারের স্টল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসে আছি দোকানিরা। সব মিলিয়ে একেবারে সাজো সাজো রব। আর তার মধ্যেই চলছে এই হেরিটেজ ফেস্টিভাল।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Daily Tasks-
https://x.com/KausikChak1234/status/1871993392902906159?t=b0GKv1MaEaJolWsf8cC1Hg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.