ছিলাম উদ্দেশ্যহীন। || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১৬ই পৌষ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000105094.png

Canva দিয়ে তৈরি



অনেকের কাছেই শীতের মৌসুম ভালো লাগে আবার অনেকের কাছেই শীতের মৌসুম ভালো লাগেনা তবে আমার কাছে শীতের মৌসুমটা বেশি ভালো লাগে। মাঝে মাঝে যখন হতদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করি তখন তাদের শীতের কষ্ট দেখে মনে হয় যদি এই শীতের মৌসুমটা না আসতো তাহলে বোধ হয় বেশি ভালো হতো। কিন্তু প্রকৃতির ধারাবাহিকতায় সব ঋতুর সামঞ্জস্য মিলেই আমাদের এই বাংলাদেশ তাই প্রকৃতির এই বিদ্রুপ পরিবর্তন সবাইকে মেনে নিতে হবে। শীত গরম বর্ষা সবগুলো মিলে যেন আমাদেরকে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়। এখন যেহেতু শীতকাল সেহেতু শীতের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ গরম কাপড় সহ সব ধরনের শীত নিবারনের মাধ্যম ব্যবহার করছে। শীতের প্রায় অর্ধেকটা সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে কুয়াশার প্রভাব অনেকটাই কম সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে যেমনটা কুয়াশা ঘেরা আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায় এ বছরে এখন পর্যন্ত সেরকম অবস্থা হয়নি।

শীতকালে সকালবেলা একটু কুয়াশা দেখা যাবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় তবে দু এক ঘন্টা পরেই আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যায় রোদের দেখা পাওয়া যায়। হ্যাঁ অন্য অঞ্চলে ভিন্ন রকম কিছু দেখলেও দেখতে পারেন তবে আমাদের এলাকায় খুব একটা কুয়াশা নেই বললেই চলে। আজকে সকাল বেলা যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন লক্ষ্য করলাম মোটামুটি ভালোই কুয়াশা পড়েছে। কুয়াশার প্রকোপ দেখে বুঝলাম হয়তোবা আজকে থেকেই এ বছরের শৈত্য প্রবাহ শুরু হচ্ছে। প্রচন্ড কুয়াশা থাকার কারণে ভাবলাম আজকে আর বোধহয় রোদের দেখা পাব না দিনটা এভাবেই পার হয়ে যাবে। আবহাওয়া খারাপ দেখে রীতিমত শীতের পোশাক পড়ে বাসা থেকে বের হলাম তবে অন্যান্য দিনের মতোই বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাইক নিয়েই বের হলাম।



20241211_074631.jpg

20241211_123134.jpg

20241211_123132.jpg

20241211_122441.jpg

20241211_122439.jpg

20241211_122437.jpg

20241211_122435.jpg

20241211_122430.jpg

20241211_122427.jpg



এরকম আবহাওয়া হলে সবার মাঝেই গরম কিছু খাওয়ার ইচ্ছে জাগে ঠিক আমারও একইভাবে মনে হচ্ছিল এই আবহাওয়াতে যদি এক কাপ চা খেতে পারতাম সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। যেমন চিন্তা তেমন কাজ সোজা বাইক নিয়ে আমাদের বাজারের মধ্যে নামকরা ওমর চাচার চায়ের দোকানে চলে গেলাম। সবার সাথেই কমবেশি যোগাযোগ হচ্ছে পর্যায়ক্রমে আমাদের গ্রুপের সবাই চায়ের দোকানে চলে আসলো। চারটা বাইক নিয়ে আমরা আটজন একসাথে একত্রিত হলাম। চায়ের আড্ডায় মোটামুটি কিছুটা সময় কাটল কিন্তু এমন আবহাওয়ায় সারাদিন কিভাবে পার করব সেটাই চিন্তা করছিলাম। সপ্তাহে দুইদিন পুরোপুরি ফ্রি থাকি তার মধ্যে আজকেও পুরোটা সময় ফ্রি ছিলাম তাই সবাই মিলে প্ল্যান করলাম নদীর পাড়ের দিকে যাওয়া যাক।



আমাদের মধ্যে থেকে একজন আবার বলে উঠলো যে শীত পড়ছে আর আবহাওয়া যে খারাপ নদীর পাড়ে গেলে তো বেশি শীত লাগবে। হুট করে আবার বলে উঠলাম আরে এই জুয়ান বয়সে আবার শীত কিসের?? তুমি কি এখন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছো নাকি? এখন শীত দেখে ভয় পাচ্ছো হা হা হা। যাই হোক আমার এই কথা শোনার পরে তার বোধহয় একটু রাগ হলো সে বলল চলো আজকে প্রয়োজনের নদীতে গিয়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করব তাও নদীর পাড়ে যাবই। তার কথা শুনে আমরা আবার সবাই হেসে উঠলাম। ধীরে ধীরে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল তখন সকাল দশটা বাজে চার পাশের পরিবেশটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছিল কুয়াশা কেটে সূর্যের আলো যেন চারি পাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। চিন্তা করছিলাম সকাল বেলা যে পরিমাণে কুয়াশা ছিল আর এখন হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গেল সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির কি অপরূপ পরিবর্তন।



20241211_122417.jpg

20241211_122338.jpg

20241211_122252.jpg

20241211_122249.jpg

20241211_122238.jpg

20241211_122225.jpg

20241211_122214.jpg



আমরা প্রথমে সোজা বাইক নিয়ে নদীর পাড়ে পৌঁছে গেলাম এখানে আমরা মাঝে মাঝেই ঘুরতে আসি তবে সেটা বিকেল বেলায় বিশেষ করে গরমের দিনে এই জায়গাটায় বেশ স্বস্তি পাওয়া যায়। সূর্য যখন অস্ত যায় তারপরে গরমের আবহাওয়া এই জায়গাটায় মনে হয় এসির বাতাস উপভোগ করতে এসেছি। যাই হোক আমরা সেখানে বাইক থামিয়ে সোজা নিচের দিকে নামতে শুরু করলাম। যে দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছেন এটা পদ্মার এক শাখা নদী মূলত পর্দার শাখা নদীতে এই সময়ে খুব একটা পানি থাকে না তবে আসল পদ্মায় এখনো ভরপুর পানি। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম পানি কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই বরশি দিয়ে মাছ ধরতে এসেছে মজার বিষয় হলো সেখানে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে গেলে শুধু ছোট ছোট পুঁটি মাছ ছাড়া অন্য কোন মাছের দেখা আর পাবেন না। তবে মাছ ধরা তো মূল বিষয় না মূলত শখের বসে যারা মাছ ধরতে আসে তারাই এখানে সময় পার করে।



জায়গাটা বেশ ভালই পরিচর্যা করা হচ্ছে কিছুটা অংশ জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে সেই সাথে তার পাশ দিয়ে সবজি চাষ হচ্ছে আর নিজের অংশে মাছ চাষ। নদীর পানি কমে যাওয়ার কারণে যেখানে একটু খাল মত জায়গা আছে সেই জায়গাগুলোতে কৃত্রিমভাবে খনন করে মাছ চাষের উপযোগী করা হয়েছে আর উপরের অংশগুলোতে সবজি চাষের কাজ চলছে। একসময় এই জায়গাটা শুকিয়ে থাকতো আর এখন এই জায়গাতে মাছ চাষ হচ্ছে সেই সাথে সবজি চাষ হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের যেমন চাহিদা বেড়েছে ঠিক তেমনি কর্মসংস্থান একের পর এক তৈরি হচ্ছে এটা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন এটা অনেক বড় একটি এরিয়া একসময় এই বড় এরিয়াটি পরিত্যক্ত পড়ে থাকত। যাইহোক নদীর পারে বেশ বাতাস ছিল তাই খুব বেশি সময় সেখানে থাকতে পারিনি কিছু সময় বরশি দিয়ে মাছ ধরা দেখলাম তারপর আবার উপরের অংশে এসে চায়ের অর্ডার করে চা খেয়ে দুপুরের পরে বাসায় ফিরেছিলাম।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়ডিসেম্বর,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120723-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  
 6 days ago 

1000105138.jpg

1000105133.jpg

1000105130.jpg

1000105131.jpg

1000105139.jpg

1000105132.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 days ago 

শখে বসে মাছ ধরতে কিন্তু আমারও খুব ভালো লাগে। যে জায়গাতে গেছেন আপনারা অপূর্ব দেখতে লাগছে। বৃদ্ধ বয়স বলুন বা যুবক, শীত যাকেই হোক পেতে পারে। বয়সটা তো সংখ্যা বুড়ো হয়ে যাওয়াটা মনের। তবে আপনারা যে চটজল দিয়ে বেরিয়ে পড়লেন আবহাওয়া কে তোয়াক্কা না করে এই বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো।