হঠাৎ পূর্বাচল। (পর্ব-০১) || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২১শে পৌষ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000105854.png

Canva দিয়ে তৈরি



২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ সময়টা আমরা বেশ কিছু কাজের জন্য গ্রুপের সবাই একসাথে ঢাকা গিয়েছিলাম। কাজগুলো শেষ হওয়ার পরবর্তী দিনে হুটহাট করে আমাদের প্ল্যানিং হল সবাই পূর্বাচল ঘুরতে যাব। মূলত আমাদের টার্গেট ছিল পূর্বাচল গিয়ে হাঁসের মাংসের সাথে রুটি খাব। এর আগে পূর্বাচলের এই হাঁসের মাংসের সাথে রুটি খাওয়ার বিষয়টি তানিয়া আপু বেশ কয়েকবার আমাদের সাথে শেয়ার করেছিল। তার পোস্ট দেখার পরেই ইচ্ছে হয়েছিল সেখানে গিয়ে হাঁসের মাংসের সাথে রুটি খেয়ে আসি কিন্তু সেরকম সময় হচ্ছিল না। যদিও বসুন্ধরায় মামাতো ভাই থাকে সেই সুবাদে মাঝেমধ্যে বসুন্ধরায় যাওয়া হয়। তবে সময় স্বল্পতার কারণে পূর্বাচল গিয়ে হাঁসের মাংস আর রুটি খাওয়া হয়নি। এবার যেহেতু আমরা সবাই একসাথে গিয়েছিলাম তাই আমাদের মধ্য থেকে সোহাগ ভাই সবকিছু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে বের হওয়ার কথা। মূলত এই বিষয়টা আমি কিছুই জানতাম না একবার সোহাগ ভাই বলেছিল তবে পরবর্তীতে আর গুরুত্ব দেইনি। কারণ এবার আমরা সবাই একসাথে ট্রেনে ঢাকা গিয়েছিলাম। মোহাম্মদপুর থেকে যদি পূর্বাচল যাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের যানজটের সম্মুখীন হতে হয়। আমরা বাইক নিয়ে গেলে মোহাম্মদপুর থেকে পূর্বাচল যাওয়াটা অনেকটা সহজ হয়ে যেত তবে যেহেতু বাইক ছাড়া গিয়েছিলাম সেহেতু আমাদের সবার জন্য একটা গাড়ি ঠিক করার দরকার পরেছিল।



20241228_192208.jpg

20241228_192249.jpg

20241228_192928.jpg

20241228_193054.jpg

20241228_193104.jpg

20241228_194200.jpg

20241228_194506.jpg

20241228_195214.jpg

20241228_195220.jpg



পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে বাসার বাইরে এসে ফোন থেকে উবার অ্যাপস এর মাধ্যমে গাড়ি ঠিক করার চিন্তা করছিলাম। অনেক সময় ধরে চা খাচ্ছিলাম আর গাড়ির অপেক্ষায় ছিলাম। দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী একটি গাড়ি পেলাম। গাড়িটা অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের কাছে চলে আসলো। গাড়িতে ওঠার আগেই বিস্তারিত কথা বললাম। মূলত আমরা মোহাম্মদপুর থেকে পূর্বাচল গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করব। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার আমাদেরকে মোহাম্মদপুর নামিয়ে দিতে হবে। গাড়ির যিনি চালক ছিলেন তিনি মোটামুটি ইয়াং বলা যেতে পারে। আমরা যেমন প্রস্তাব দিলাম তিনি তেমনভাবেই রাজি হয়ে গেলেন বলা চলে আমাদের মন মত। যেহেতু সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে রাস্তায় মোটামুটি ভালোই জ্যাম থাকে সেহেতু আমাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হবে এটা আগে থেকেই সবাই ভেবে রেখেছিলাম। ওইদিনে বন্ধু অংকনের পরীক্ষা ছিল যার কারণে পরীক্ষা শেষ করে তাকে আবার আসাদ গেটের সামনে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিছু সময় অপেক্ষা করতেই আমরা আসাদগেট পৌঁছে যাই আর সেই সাথে অঙ্কনকে সাথে নিয়ে আমরা পূর্বাচলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ফ্লাইওভারে ওঠার পরে টোল প্লাজায় গিয়ে কিছুটা সময় লেগেছিল কারণ গাড়িগুলোর টোল দিতে কিছুটা সময় লাগে।



20241228_200855.jpg

20241228_200844.jpg

20241228_200512.jpg

20241228_200353.jpg

20241228_200323.jpg

20241228_201430.jpg

20241228_202406.jpg

20241228_202740.jpg

20241228_203711.jpg



গাড়ির টোল দেওয়া শেষ হওয়ার পরে সামনের রাস্তাটা পুরোপুরি ফাঁকা ছিল খুব দ্রুতই আমরা কুড়িল বিশ্বরোড পার হয়ে সোজা পূর্বাচল ৩০০ ফিট পৌঁছে গেলাম। যেহেতু আমাদের প্রথম টার্গেট ছিল গিয়ে হাঁসের মাংস খাব। সেহেতু প্রথমে আর ৩০০ ফিট না দাড়িয়ে সবাই হাঁসের মাংস আর রুটি খাওয়ার জন্য পূর্বাচল নীলা মার্কেট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যিনি আমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিলেন অর্থাৎ আমাদের গাড়ির যিনি ড্রাইভার ছিলেন তিনি এর আগেও পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে বেশ কয়েকবার এসেছেন। তাকে আর বিস্তারিত কিছু বলতে হয়নি তিনি আমাদেরকে নীলা মার্কেটে নিয়ে গেলেন। গল্প গল্পে তিনি আমাদের সাথে এটাও শেয়ার করলেন যে এই নীলা মার্কেটে এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছে আর সেখানকার হাঁসের মাংস আর রুটি বেশ কয়েকবার খেয়েছে। বলা চলে তার সাথে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমাদের সাথে পরিচিত হয়ে ছিলেন বেশ ভালোই লাগলো। তার মন মানসিকতার সাথে আমাদের ভালোই মিল পড়ছিল।



20241228_203720.jpg

20241228_203738.jpg

20241228_203758.jpg

20241228_203820.jpg

20241228_203904.jpg

20241228_204023.jpg

20241228_204028.jpg

20241228_204035.jpg

20241228_204055.jpg



আমরা নীলা মার্কেটের মধ্যে প্রবেশ করার পর একটি চায়ের দোকানে বসলাম। গাড়ির ড্রাইভার ভাই আমাদের সাথে চায়ের দোকানে গিয়ে বসলেন। মোহাম্মদপুর থেকে সোজা পূর্বাচল আসার পরে চায়ের ফিলিংস টা মিস করছিলাম তাই প্রথমেই চায়ের দোকানে গিয়ে চায়ের অর্ডার দিলাম। সেই সাথে রাহুল বাইক নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হবে তাই রাহুলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমি অবশ্য একবার রাহুলকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করার পরে রাহুল বলল আমি পূর্বাচল পৌঁছে গেছি এখন নীলা মার্কেট দিকে আসতেছি। মূলত রাহুল আসলেই আমরা সেখানকার একটি হোটেলের মধ্যে গিয়ে কথাবার্তারা শেষ করে খাবার অর্ডার করবো। সেখানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা, সন্ধ্যার পরে এখানে মানুষের ভিড় বেশি হয়।

মোটামুটি চা খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাহুল চলে আসলো পরবর্তীতে রাহুল চা খেতে খেতে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সামনের দিকে গিয়ে আরো কিছু হোটেল দেখব তবে পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখার ইচ্ছে ছিল। আমরা সবাই ধীরে ধীরে হেটে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর আশপাশের পরিবেশটা দেখছিলাম সেই সাথে রাহুল বাইক নিয়ে ধীরে ধীরে আমাদের সাথে আসছিল। একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম সেখানকার প্রতিটা দোকানে শুধু হাঁসের মাংস রান্না হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পরে আর বুঝতে বাকি থাকে না জায়গাটার হাঁসের মাংসের জন্যই বিখ্যাত।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়জানুয়ারি,২০২৫



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  
 2 days ago 

1000105984.jpg

1000105985.jpg

1000105986.jpg

1000105987.jpg

1000105988.jpg

1000105993.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

অ্যাপসের মাধ্যমে গাড়ি ঠিক করেছেন বিষয়টা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হল। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে গেছে। যাহোক গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলেন এরপর গাড়িতে উঠলেন তারপর কাঙ্খিত স্থানের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো। বেশ অনেক ভালো লাগলো বিভিন্ন বিষয়গুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে পর্যায়ক্রমে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন দেখে।