জেনারেল রাইটিং // ১৬ ডিসেম্বর এস এস সি ২০২২ এর মিলন মেলা (জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়)
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৭-১২-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং // ১৬ ডিসেম্বর এস এস সি ২০২২ এর মিলন মেলা (জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়)। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের স্কুলে প্রোগ্রাম ছিল এই কারণে সত্যি বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। আসলে যেকোনো দায়িত্ব আমাকে নেওয়া লাগে এটা প্রথম থেকে আমি দেখে আসছি। তবে এবার দায়িত্ব থেকে প্রথম দিকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিলাম কারণ বাড়িতে গেস্ট এসেছিল এই কারণে আমি দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলাম না। কিন্তু আসলে ডিসেম্বরের দিন সকালবেলায় এসে আমাকে বাজার থেকে শুরু করে সবকিছু দায়িত্ব নেওয়া লেগেছিল। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বেশ কিছু কমেন্ট করেছিলাম আপনাদের মাঝে তারপরে একটু বাইরে বন্ধুদের সাথে আবারো আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম যেহেতু দুইদিন নারীদের বাসায় আছি। আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই এখানেই বড় হয়েছি। বাড়িতে এসে সকালের নাস্তা শেষ করে বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারেও জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে দেখে আসতেছি আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের বড় ভাইরা এভাবে স্কুলের মধ্যে একপাশে তারা নিজেরা অনুষ্ঠান করত এবং আনন্দ উদযাপন করত এবং সকলে মিলে বন্ধু-বান্ধব ১৬ ডিসেম্বরের দিন এক জায়গায় একত্রিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করত। তাই আমারও বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ১৬ ডিসেম্বর পালন করে আসছি। আসলে শুধুমাত্র আমাদের পক্ষে এত বড় পরিসরে পিকনিকের আয়োজন করা সম্ভব ছিল না। আমাদের পিছনে ছিল আমাদের প্রবাসী বেশ কিছু বন্ধু। তারা আমাদেরকে বেশ কিছু অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছিল পিকনিকের জন্য। আমাদের পিকনিকে বাজেট ছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু পিকনিকে আমারও শুধুমাত্র ১৭ জন অংশগ্রহণ করেছিলাম। আরো অনেক বন্ধুবান্ধব বাইরে এবং বিভিন্ন কাজে আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সকাল বেলায় বাজার শেষ করে এসে সকালে আমরা সকলে হোটেল থেকে খিচুড়ি কিনে নিয়ে এসে ফিল্ডের মাঝে বসে খেয়েছিলাম এবং ঝাল পেজ গুলো সবাই হাতে হাতে ছুলে নিয়েছিলাম তখনও আমি বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
সকাল দশটার দিকে আমরা নিজেরাই রান্নার কাজ শুরু করেছিলাম। সত্যি পিকনিকের দিন নিজেরা রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে ১৬ ডিসেম্বর পালন করার আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধার সময় যে সকল শহীদ ভাই বোনেরা আমাদের দেশের জন্য প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে তাদেরকে স্মরণ করা। এবং আমাদের সকল বন্ধু-বান্ধব এক জায়গায় মিলিত হওয়া এটাই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আসলে এক বছর পর একটা দিন আমরা যখন সকল বন্ধু-বান্ধব এক জায়গায় মিলিত হই সকলের মন আনন্দে ভরে ওঠে। দুপুরবেলায় সকলে বাড়ি থেকে গোসল শেষ করে এসে খাওয়া-দাওয়ার সময় আমি বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দুপুর বেলায় আমরা ব্যানার তৈরি করেছিলাম এবং ডেকোরেশন ভাড়া নিয়েছিলাম ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে সকলে বেশ দারুন ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি বন্ধু বান্ধব একসাথে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করার জন্য। আমি মনে করি ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে এভাবে একসাথে হওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। তবে বেশ কিছু বন্ধু আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গিয়েছে এটা ছিল সত্যি দুঃখজনক একটা ব্যাপার। তাদেরকেও আমরা সেই দিনে মনে করেছিলাম এবং মনটা বেশ খারাপ হয়েছিল। এভাবেই সব মিলিয়ে দিনটা পার করেছিলাম।
সবার শেষে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সন্ধ্যাবেলায় খুবই চমৎকারভাবে একটি সেলফি তুলেছিলাম বন্ধুদের সাথে। আপনারা সকলেই জানেন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ইউজার ছিল আমার বন্ধু বিপ্লব। বেশ কিছুদিন আগলে বিপ্লব নৌবাহিনীর চাকরির জন্য কনফার্ম হয়েছে। তাই হয়তো আমাদের সাথে কাজ থেকে কিছুটা হলেও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আমি বিপ্লবের সাথে কাজ নিয়ে সেদিন কথা বলেছিলাম বিপ্লব আমাকে বলেছিল ট্রেনিং শেষে আবারো তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। বিপ্লব চাকরি পেয়েছে এজন্য বিপ্লবের মুখের হাসি দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে সরকারি চাকরি আমার কাছে ভালো লাগে না তাই আমি কখনো কোন সরকারি চাকরির জন্য এপ্লাই করিনি শুধুমাত্র লেখাপড়াটা চালিয়ে গেছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত গিয়ে নিজের জীবনটা কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাতে পারি। চেষ্টা করব সব সময় ব্লগিং ক্যারিয়ারের সাথে জড়িত থেকে সামনের দিন অতিবাহিত করার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://x.com/kibreay001/status/1868892821073412587?t=EPUeMj4ryR143h-_AYdYzA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনারা এস এস সি ব্যাচের সকল বন্ধুরা সহ একত্রিত হয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে সকল বন্ধুরা সহ একত্রিত হতে বেশ ভালোই লাগে। আপনারা সকলেই বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন।আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেশ ভালোই লাগে।
সময়ের সাথে সাথে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর স্কুলের বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে সেভাবে দেখা হয়ে ওঠেনা। সবাই মিলে আবার একত্রিত হয়েছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাদের এই উদ্যোগ দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাদের বাজেট অনুযায়ী খুব কম সংখ্যক মানুষ পিকনিকে অংশ নিয়েছেন দেখছি।যাইহোক বন্ধুদের মাঝ থেকে কেউ হারিয়ে গেলে বা দূরে চলে গেলে খুবই খারাপ লাগে।তাছাড়া আপনার বন্ধু চাকরি পেয়েছেন এটা খুবই ভালো খবর।সবমিলিয়ে ভালো সময় পার করেছেন বলা চলে, ধন্যবাদ ভাইয়া।