লাইফ স্টাইল // সন্ধ্যাবেলায় ঝাজর কলে মাছ ধরার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৫-১২-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // সন্ধ্যাবেলায় ঝাজর কলে মাছ ধরার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাতমুখ ধুয়ে বেশ কিছু সময় গল্পে এবং আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম আমি রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু এবং সকলের প্রিয় নাশিয়া মনি। সকালবেলায় আড্ডায় এবং গল্প শেষ করে অল্প একটু হালকা নাস্তা খেয়েছিলাম আমাদের বাসায়। আসলে আজকে সকাল বেলায় রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু আমাদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবে বলে মনটা বেশ খারাপ ছিল। নাস্তা শেষ করে বেশ কিছু সময় গল্প শেষে খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়লাম ভাইয়া এবং আপুকে রাখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আসলে সেখানে গিয়ে আমরা একটি অটো দেখে রকি ভাই এবং সোনিয়া আপুকে তুলে দিয়েছিলাম এবং ভাইয়ের মেয়ে আমার গলা ধরে কি যে কান্না আমাকে না নিয়ে যাবে না। সত্যি বলতে রক্তের বাঁধন না থাকলেও আত্মা এবং একটা মায়ার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাদের সাথে আমার এটা কখনোই ভোলার নয়। আমি হয়তো আমার জীবনে এই মুহূর্তগুলো কখনোই ভুলতে পারবো না। আসলে আমিও ছোট্ট সোনামনির কান্না দেখে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ছোট্ট একটা ঘুম দিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়ে আবারো বাড়িতে ফিরে বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক...........
বেশ কিছুদিন আগে বিকেল বেলায় আমি এবং আমার গ্রামের কয়েকজন ছোট্ট ছেলেরা মিলে আমাদের বিলেতে সন্ধ্যাবেলায় ঝাজর কলে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে মাছ ধরার সময় বেশ কিছু ছবি আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম ভেবেছিলাম আপনাদের মাঝে ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করব। ছবিগুলো গ্যালারিতে চোখের সামনে ভাসতেই চলে আসলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আমার কাছে মনে হয় হয়তো আপনারা এখন পর্যন্ত অনেক ইউজার জানেন না ঝাজর কলে কিভাবে মাছ ধরতে হয়। আসলে আমাদের এলাকার মানুষ বিলের পানি শুকিয়ে গেলে ঝাজর কলে মাছ ধরে থাকে। আসলে বিলের মধ্যে গর্ত করতে সত্যি অনেক সময় প্রয়োজন হয়। সেই পানিগুলো আস্তে আস্তে হাঁড়ি দিয়ে ছাকতে হয় এবং হাড়ের মধ্যে এসে মাছ জমা হয় সত্যি এভাবে মাছ ধরতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আমি শুধু গ্রামের ছেলেদের সাথেই যাই কিন্তু কাদা পানিতে নামতে আমার ভয় লাগে আমি উপরে সব সময় ছবিগুলো ক্যামেরাবন্দি করি। দেখতেই পারছেন খুবই সুন্দর ভাবে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছিল তখনই আমি ছবি তুলেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন খুবই সুন্দর ভাবে। একটি হাড়ি দিয়ে গর্ত করা রয়েছে ওখানকার পানিগুলো তুলে ফেলা হচ্ছে। এবং একটি ঝাজর হাঁড়ির মধ্যে মাছগুলো এসে জমা হচ্ছে। তখন আমরা মাছগুলো হাড়ির মধ্যে থেকে তুলে আবারো একটি নির্দিষ্ট হাড়ির মধ্যে রেখেছিলাম। সত্যি সেই সন্ধ্যা রাতে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে মাছ ধরতে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে রাতের বেলায় যখন এই মাছগুলো ধরা হয় তখন বেশ আনন্দ উপভোগ করা হয় সকলের সাথে। আসলে পানি থাকার সময় শীতের মুহূর্তগুলো বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করা হয়। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা সময় কাটানো হয় সেখানে গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে। তবে সন্ধ্যা রাতে বেশ কিছু মাছ পেয়ে গিয়েছিলাম তাই আমরা দুজন বাড়িতে এসেছিলাম মাছগুলো রাখার জন্য। তখন প্রায় ছয় থেকে সাত কেজি পুটি মাছ আমরা পেয়েছিলাম। আসলে ছোট ছোট পুটি মাছ খেতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমি পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে মাছের ছবি শেয়ার করব। ছোট্ট পুটি মাছগুলো দিয়ে যদি সবজি রান্না করা যায় খেতে বেশ ভালো লাগে।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি এবার আপনাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে একটি হাড়ের মধ্যে অল্প কিছু পুটি মাছ রেখে একটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে এই ছোট্ট পুটি মাছ গুলো চচ্চড়ি করে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। বাড়িতে নিয়ে আসার পরে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছিল এ মাছ গুলো। আমরা সেদিন প্রায় রাত আটটা পর্যন্ত মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে মাছ ধরেছিলাম এবং সেই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://x.com/kibreay001/status/1868306884098470256?t=xfnoFS5-kP-9UTPILLK_aA&s=19
রকি ভাইয়ের পরিবারের সাথে কয়েকটি দিন ভালই তাহলে পার করেছেন। সেজন্যই ছোট্ট বাবুর সাথে এত মায়া মহব্বত তৈরি হয়েছে। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। যাইহোক, বিদায় বেলায় সত্যিই খারাপ লাগার । মাছ ধরার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিল অঞ্চলে এভাবে মাছ ধরা আগে কখনো দেখিনি । এই কৌশলটি খুবই সুন্দর ছিল ।ছোট ছোট পুটি মাছ দেখে ভালো লাগলো।
মাঠের মধ্যে এইভাবে মাছ ধরার দৃশ্য আমি আগে youtube ভিডিওতে দেখেছি। আর আজকে আপনার পোস্ট পড়ে জিনিসটা চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছি। সোনিয়া আপুরা বাড়ি ফিরে গেছেন, আশা করি আপনারা সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য আমারও মন খারাপ করছে পড়ে। আসলে ছোটদের মন তো অনেক নরম হয়।
মাছ ধরা সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। অনেক ছোট ছোট মাছ পেয়েছেন দেখলাম। এ জাতীয় ছোট মাছগুলো ভেজে খেতে খুবই ভালো লাগে। আশা করি অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল মাছ ধরার বেলা। এ জাতীয় পোস্টগুলো আমাকে মুগ্ধ করে আমিও মাছ ধরতে এবং মাছ ধরা দেখতে খুব পছন্দ করি। তবে বরশি দিয়ে মাছ ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর মাঝেমধ্যে জল দিয়ে মাছ ধরা গুলা কুড়িয়ে শান্তি পায়।
মাছ ধরার অনুভূতি সত্যি বেশ দারুণ হয়ে থাকে। আসলে মাছ খাওয়ার চেয়ে মাছ ধরার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। বেশ পুঁটি মাছ পেয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ঝাজর কলে মাছ ধরার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।