আমরা রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশন থেকে টিশার্ট গিফট পাওয়ার অনূভুতি।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ রাত্রি 🌃
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমরা রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশন থেকে টিশার্ট গিফট পাওয়ার অনূভুতি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
লোকেশন:- উত্তরখান,ঢাকা, বাংলাদেশ।
আলহামদুলিল্লাহ আমার মেয়ের বয়স এখন ১৪ মাস চলে। আপনাদের দোয়ায় আমার মেয়ে জান্নাতুল লিয়া আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার ওয়াইফ যখন প্রেগন্যান্ট তখন থেকে আমার এক ছোট ভাইকে বলে রেখেছিলাম রক্ত দেওয়ার জন্য। কারন আমার ওয়াইফ এর শরীরে রক্তের পয়েন্ট কম ছিলো। এর পরে প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার করে আমার ওয়াইফ কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ এবং চেকাপ করাতাম। প্রথম থেকেই সব কিছু ভালো ছিলো। এর পরে সময় শেষের দিকে চলে আসে। আমরা পরিবার সবাই মিলে আমার ওয়াইফ কে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সব কিছু নরমাল ছিলো। তবে আমার ওয়াইফ মনে হয় ভিতরে ভিতরে টেনশন করে ছিলো। তার প্রেশার হাই ছিলো। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ইনজেকশন এবং টেবলেট খাওয়ার পর ও তার প্রেশার কমাতে পারেনি। এর পরে ডাক্তার বলে এমন প্রেশার নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাতে গেলে রিস্ক রয়েছে। আমরা রিস্কে না গিয়ে সিজার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিলাম। বিকেল চারটার দিকে আলহামদুলিল্লাহ আমরা মেয়ে জান্নাতুল লিয়া পৃথিবীতে আসলো। তখন আমি নিচে গিয়েছিলাম ঔষধ আনার জন্য। আমার ছোট বোনের জামাই ভিডিও ফোনে আমার মেয়ে কে দেখায় আমি তো তখন ভীষণ খুশি হলাম। এর পরে আমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে আসলাম।
লোকেশন:- উত্তরখান,ঢাকা, বাংলাদেশ।
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বলতেছে রক্ত লাগবে। তখন আমি একজন ডোনার রেখেছিলাম তাকে আস্তে বললাম এর পরে আসলে তার ব্লাড চেক করে দেখে রক্তের গ্রুপ হলো AB+ আর আমার ওয়াইফ এর ব্লাড গ্রুপ হলো A+ ছেলেটির ব্লাড গ্রুপ এর কাগজে লেখা A+ আমি তখন আর তার রক্ত দিতে না করলাম। তখন আমার এক পরিচিত ভাইকে ফোন দিলাম। তখন সে আমাকে আমরা রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এর এডমিন কে ফোন নাম্বার দিলেন। এর পরে আমি ফোনে যোগাযোগ করলাম। আমাকে বললেন কিছুক্ষণ এর মধ্যে ব্লাড ডোনার নিয়ে আসবেন। সত্যি আমি অনেক টেনশন এ ছিলাম। আল্লাহর রহমতে তারা কিছুক্ষণ পর এসে রক্ত দিয়ে আমার মেয়ের জন্য দোয়া করেন। এর পরে আমি তাদের গ্রুপে এড হই। তাদের রক্ত দেওয়া দেখে আমি উৎসাহ পাই। এর পরে থেকে আমিও রক্ত দেওয়ার চেষ্টা করি। আমিও আমরা রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এর একজন সদস্য। গতকাল আমাকে ফোন দিয়ে আমরা রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এর এডমিন দেখা করতে বলেন। আমি অফিস ছুটি হলে তার সাথে গিয়ে দেখা করি। এর পরে আমাকে তাদের পক্ষ থেকে একটি টিশার্ট গিফট করেন। আমি তো ভীষণ খুশি হলাম। এর পরে দুজন মিলে চা নাস্তা খেলাম এর পরে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে আমি টিশার্ট খুলে দেখলাম। তখন আমার মেয়ে পাশে ছিলো বার বার টিশার্ট টি দেখতেছে। এর পরে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। রক্তযোদ্ধাদের সকলে এর দান কে কবুল করুক আমিন 🤲 আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ 💞
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | আমরা রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশন থেকে টিশার্ট গিফট পাওয়ার অনূভুতি। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
https://x.com/HouqeLimon/status/1873744951856734617?t=tc60TI6XJlkOHKKecwDdMg&s=19
জান্নাতুল লিয়া মামনি সুস্থ আছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেন নেক হায়াত দান করেন। আপনি রক্তযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সদস্য জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার ওয়াইফের জন্য সঠিক সময়ে রক্ত পেয়েছিলেন এই ফাউন্ডেশন থেকে, সত্যি মহৎ কাজ। ইমারজেন্সি সময়ে এক ব্যাগ রক্তে একজন মানুষের প্রাণ বেঁচে যায়।এই ধরনের ফাউন্ডেশনে আমিও অনেকদিন যাবৎ যুক্ত আছি। যাইহোক ফাউন্ডেশন থেকে দেওয়া নতুন টি-শার্ট খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে গিফট পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ তোমার টি শার্টটা তো খুব সুন্দর হয়েছে।
আসলে এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী সংগঠনগুলোর জন্যই অনেক সময় অনেকের প্রাণ বেঁচে যায়। আর তারা তোমার বিপদের সময় বেশ ভালই সহযোগিতা করেছে শুনলাম। যাই হোক তোমার তোমাকে এই গেঞ্জিটা পরে বেশ ভালোই দেখাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ তোমার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।