হঠাৎ অগ্নি সংযোগ ।।
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
আমার বাংলা ব্লগের প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সবার মাঝে। আজকের এই পোস্টটি হচ্ছে একটি জেনারেল রাইটিং। যা আমার চোখের সামনে ঘটে গিয়েছিল। আমি গত শুক্রবার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছি। তবে পেটে অনেকটাই ক্ষুধা লেগেছিল। যার ফলে আমি দ্যা প্যালেস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার এর পাশেই এক হোটেলে নাস্তা করতে বসেছিলাম। যেখান থেকে দ্যা প্যালেস রেস্টুরেন্টটা পুরোপুরি দেখা যাচ্ছিল । এবং দ্যা প্যালেস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে গত শুক্রবারে সকালে মিলন মেলার জন্য ওই রেস্টুরেন্টটা বুক করেছিল। সেখানে রীতিমত ভাবে মিলনমেলার সকল সদস্যের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
আমার নাস্তা করা প্রায় শেষের দিকে তখন হঠাৎই দেখতে পেলাম রেস্টুরেন্ট থেকে অনেক লোকজন বাহিরে চলে আসছে। তখন সময়টা ছিল সকাল সাতটা পঞ্চাশ মিনিট। তারোই দুই মিনিট পর দেখতে পেলাম দ্যা প্যালেস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার এর জানালা দিয়ে ধোয়া বের হতে। সাথে সাথে আমিও হাত টিস্যু পেপারে মুছে ঘটনা স্থলে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম যে রেস্টুরেন্টের নিচেই একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ছিল । আগুন যেন আর বৃদ্ধি না পায় সেই জন্য বেশ কয়েকজন লোক সিলিন্ডারগুলো দূরে নিয়ে যাচ্ছিল। তো আমিও মানবতার দৃষ্টি থেকে দুইটি সিলিন্ডার সড়িয়েছিলাম। এত সময়ে পাশেই ছিল একটি পুলিশ বক্স। সেখান থেকে দুইজন পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসে কল করেন। এবং সাথে সাথে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ বেশ কয়েকজন সদস্য এসে হাজির হন।
ফায়ার সার্ভিসের দল আসার পরে আমাদের সাধারণ জনগণ সবাইকে সরিয়ে দিয়ে তাদের কাজে লেগে গেল। এত সময়ে ভিতরের আগুন গুলো আরো দাউ দাউ করে জ্বলছিল। যা বাহিরে দিকেও দৃশ্যমান ছিল। যখন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসেছে তখন আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। যাইহোক তখন আমি দেখতে পেলাম কিচেনের পাস দিয়ে যে ভেন্টিনেটারগুলো ছিল সেইখান দিয়ে আগুন দেখা যাচ্ছে।
তো ফায়ার সার্ভিসের কিছু সদস্য তাদের পানিবাহী গাড়ি থেকে পাইপের সংযোগ দিয়ে কিচেনের পাশে নিয়ে গেল। এবং কিছু সদস্য পিঠে অক্সিজেন নিয়ে মাক্স পড়ে দ্যা প্যালেস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারের ভিতরে চলে গেল। এবং মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সমস্ত আগুন নিভিয়ে দিল। ততক্ষণ আমি অপেক্ষা করতেছিলাম আগুন লাগর কারণটি জানার জন্য। পরে আমি ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্যর কাছ থেকে জানতে পারলাম গ্যাস পাইপ লাইনের ফিটিং একটু ত্রুটিযুক্ত ছিল। আর সেখান থেকেই গ্যাস লিক করে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আর এই কারণটি জানার পরেই আমি আমার সিরাজগঞ্জের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি।
যেহেতু আমি এই ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো তাই ঘটনার সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি না জানা পর্যন্ত্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারছিলাম না। কাজেই দুই দিনের ছুটি শেষ করে ঢাকায় এসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটি জানতে পেরে অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আসলে ঐদিন গ্যাস লাইনের ত্রুটির জন্য যে অগ্নিসংযোগ টি হয়েছিল তাতে দ্যা প্যালেস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মত। কাজেই আমাদের যাদের এরকম ত্রুটিযুক্ত গ্যাস লাইন আছে তারা দুর্ঘটনা ঘটার আগেই গ্যাস লাইনগুলো ঠিক করে ফেলি । এতে করে জীবন এবং অর্থ সম্পদ দুটোই বেঁচে যাবে। তো বন্ধুরা আজকে তাহলে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে যে কোন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সবার মাঝে সে পর্যন্ত্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💗🙏💗।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং । |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
https://x.com/mahfuzur888/status/1868636886610465213?t=azKX-w4iTIX292rKZnQIdA&s=19
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ভাইয়া এমন অগ্নি সংযোগ অনেক বড় বিপদ আনতে পারে। আর আমাদের সবার মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত এই সকল কাজে।আপনি বেশ ভালো করেছেন তাদের সাহায্য করে।ধন্যবাদ আপনাকে।
নানান অনিয়মের কারণে অগ্নিসংযোগের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। ঢাকায় তো আরো অগ্নিসংযোগ বেশি হয়, বিনা কারণে অনেক মানুষের প্রাণ চলে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজেদের জীবন নিয়ে সতর্ক থাকা এবং অনিয়মগুলো ঠিক করে ফেলা। ভাইয়া আপনি খুব সাবধানে থাকবেন।
আগুন হঠাৎ করেই লাগে ভাই দুর্ঘটনা কখনো ঘটবে সেটা কেউ বলতে পারেনা। গ্যাসের আগুন গুলা অনেক বেশি ভয়ংকর হয়ে থাকে। দ্রুত সঠিক ব্যবস্থা না নিতে পারলে এর ভয়াবহতা আরো বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দশ মিনিটের মধ্যে আগুন নির্বাপন করতে সক্ষম হয়েছে বিষয়টা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে কারণ অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হলো অসচেতনতা।