লাইফ স্টাইল পোস্ট - এত ব্যস্ততার মাঝেও যখন ট্রিট পাই || Written by @maksudakawsar||
কেমন আছেন সবাই? আশা করবো যে যেখানে থাকেন না কেন বেশ ভালোই আছেন। মানুষের জীবন সব সময় এক রকমের যায় না। এই ভালো তো এই মন্দ। আর ভালো মন্দের জোয়ার ভাটায় জীবনটাই হয়ে পড়ে নিস্তেজ। কিন্তু তাতে কি মানুষে বেচেঁ থাকার জন্য প্রতিদিন যুদ্ধ করে যেতে হয়। নিজেকে বির্সজন দিতে হয় অভিনয়ের কারাগারে। সারাক্ষণ ভালো থাকার মেকি হাসিতে যে কত মানুষ বেঁচে আছে তার হিসাবে নেই।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। সত্যি বলতে ভালো মন্দ যাই লিখি না কেন, চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। জানিনা কতটুকু আমার লেখা গুলো আপনাদের কে ছুঁয়ে দিতে পারে। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।আজ চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে একটি কবিতা শেয়ার করতে।
বেশ কিছুদিন হলো ব্যস্ততায় সময় পার করছি। জানিনা কবে এই ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পাবো। আমার মনে হয় ব্যস্ততা বেশ ভালো করে বুঝে গেছে যে আমাকে যেমন খুশি তেমন করে নাচানো যায়। তাই হয়তো আমার পিছু ছাড়তে নারাজ। আর আমিও কেন যেন ব্যস্ত জীবন কে ভয় পাই না। যাই হোক কেন ব্যস্ত আর কি কারনে ব্যস্ত সেটা না হয় অন্য দিন শেয়ার করবো। তবে এই ব্যস্ততার মাঝে রাত আট টা নয়টার দিকে কিন্তু আমার বেশ ক্ষুধা পায়। আর যখন ক্ষুধা পায় তখন বেশ খারাপও লাগে। প্রতিদিন কিছু না কিছু খেতেই হয়। তো এরই মাঝে একদিন বেশ বায়না ধরলাম একটু ভিন্ন কিছু খাবো। যদিও আমার বায়না রাখার মত কেউ নেই তাই নিজে নিজে একা একা বায়না মেটানোর জন্য চলে গেলাম আমাদের বাসার পাশের ফুড ভ্যানুতে।
আমি সেখানে যেয়ে অর্ডার করার আগেই চলে আসলো আমার সব সাঙ্গু আর পাগু। মনে মনে ভাবলাম বেশ ভালোই হলো। বিল তো তাহলে আর আমায় দিতে হবে না। খাবো আর চলে যাবো। তাই আমি চিকেন উইংস থাই স্যুপ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করলাম। আর সেই সাথে ছিল ড্রিংকস্ ফ্রি।কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসলো ওদের খাবার। আমি বেশ মজা করেই খেলাম। শুধু আমি একা নয়। সবাই বেশ মজা করেই খেয়ে নিলো যার যার মত করে ক্ষুধা মিটানোর জন্য। আমি তো মনে মনে ভাবছি যে খাবো আর যাবো। বিলের ধারে আমি নেই। ভাবছি আর মনের আনন্দে খাচ্ছি। পরের টাকায় খেতে যে কি স্বাদ সেই আনন্দটাও আমি উপলব্ধি করছি।
হায় রে কপাল আমার। পরের টাকায় খাওয়ার মত কপাল কি আর আমার আছে? বিল দিবে আমার সাঙ্গু পাঙ্গু। সবাই তো খেয়েই দৌড়। কোথায় পাই আর তাদের কে। যেহেতু অর্ডার আমি করেছিলাম তাই বিলটাও আমাকেই দিতে হবে সেটা এতক্ষনে বুঝে গেছি। তাই মনের কষ্ট নিয়ে বিলের জন্য ডাকলাম। ওমা সব মিলিয়ে বিল আসলো ১০৫০/-টাকা। এত টাকা আমি কোথায় পাই? বেশ মেজাজ গরম হলো। কিন্তু মেজাজ গরমে আর কি হবে? বিল তো দিতেই হবে। চিন্তায় পড়ে গেলাম। একদিকে লজ্জার বিষয় আর অন্য দিকে নিজের কাছে টাকাই নেই। হঠাৎ মনে হলো বিকাশে তো টাকা আছে সেখান থেকে বিলটা পে করে সম্মান তো বাঁচাই। তাই করলাম নিজের বিকাশ হতে বিলটা পেমেন্ট করে দিয়ে বের হয়ে চলে আসলাম মনের দুঃখ নিয়ে। ভুলে গেলাম খাবারের সব স্বাদ।
শেষ কথা
শেষ কথা
আশা করি আমার আজকের পোস্টটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে। আপনাদের মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আহারে আপু আপনার জন্য আফসোস হচ্ছে। নিজের ট্রিট নিজেই নিয়ে নিলেন। আপনি যেটা ভাবছিলেন আপনার সাঙ্গু পাঙ্গু আপনার থেকে অনেক ড্রিগি বেশী। ভাগ্যিস বিকাশে আপনার টাকা ছিল। অনেক সুন্দর করে পোস্টি শেয়ার করেছেন আপু। পড়ে মজা পেলাম হিহিহি।
হিহি হি করেন কেন? সেদিন তো ঐ দলে আপনিও ছিলেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু সময় যেমনি যাক না কেন ট্রিট পেলে সেটা কখনোই মিস করা যাবে না। তবে অন্যের টাকার খাওয়া মজাই আলাদা। কিন্তু সেসব বিলটা আপনারই দিতে হলো এই কথাটা শুনে একটু মনটা খারাপ হয়ে গেল। তবে খাওয়ার সময় কিন্তু আপনি বেশ মজা করে খেয়েছেন ভাবছিলেন বিলটা ওরাই দিবে। যাইহোক বিল দেবার সময় যে আপনার কাছে টাকা ছিল না কিন্তু বিকাশ থেকে বিলটা দিয়েছেন। বিকাশ কিন্তু আমাদেরকে অনেক সময় ভীষণ সাহায্য করে। তাই আমার মনে হয় সব সময় আমাদের বিকাশে টাকা রেখে দেওয়া উচিত। বলতে পারেন অসময়ের সঙ্গী। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে একটু দুঃখ পেলাম অনেক খুশি ও হলাম আবার অনেক মজা ও পেলাম। ধন্যবাদ আপু।
যাক আপু আমিও খুশি হলাম এই ভেবে যে আমি এক পোস্টের মাধ্যমেই আপনাকে সুখ দুঃখ সব কিছুই দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য্যের জন্য।
অন্যের টাকায় খাওয়ার মজাটা আসলেই আলাদা হয়। কিন্তু যখনই দেখা যায় বিল নিজেকেই দিতে হবে, তখনই খাবারের স্বাদ যেন চলে যায় দৌড়ে পালিয়ে। তবে সাঙ্গু আর পাঙ্গুটা কে, এটাই তো বুঝতে পারলাম না?? তবে শেষ পর্যন্ত যে বিল আপনাকে দেওয়া লেগেছে এটা জেনে খারাপ লাগলো। ভাগ্যিস বিকাশে টাকা ছিল, না হলে তো মান সম্মান সব ওখানেই আপনার শেষ হয়ে যেত। যাই হোক আপনার খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত ভালো লাগলো দেখে।
আমার যে কত সাঙ্গু পাঙ্গু আছে সেটা কি করে বুঝিয়ে বলি? যাই হোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ধন্যবাদ।
শেষ পর্যন্ত তাহলে বিলের দায়িত্ব আপনার কাঁধে পড়লো দেখছি। আপনার সাথের সবাই তো বেশ ভালোভাবেই পার পেয়ে গেল। তবে খাবারগুলো খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। মনে হচ্ছে অনেক আনন্দ করে সবাই মিলে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হুম সেটাই তো কষ্ট ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিল যেহেতু শেষমেশ আপনি দিলেন, ট্রিট আর পেলেন কোথায়, বরং ট্রিট তো দিলেন। এমন সাঙ্গ পাঙ্গ সাথে থাকলে ট্রিট আর পাওয়া লাগবে না, বরং ট্রিট শুধু দিয়েই যেতে হবে 😂। যাইহোক বেশ মজা করে খাবার খেয়েছেন তাহলে। ভাগ্যিস বিকাশ ওয়ালেটে টাকা ছিলো, নয়তো কি হতো আপনার সেটাই ভাবছি হা হা হা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও সেটাই ভাবছি কি হতো তখন? হয়তো গন পিটুনীই খেতে হতো। হি হি হি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।