||ক্রিটিভ রাইটিং||গর্ভবতী গুরুর যত্ন নেওয়া উচিত||১০%@shy-fox এর জন্য
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবার
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে
আজ , শুক্রবার, নভেম্বর / ১৫ /২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে গর্ভবতী গরুর যত্ন নেওয়ার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের বাসায় দুইটা গর্ভবতী গরু আছে সেই গুরুকে আমি অনেক যত্ন নিয়ে থাকি। তাই আজকে ভাবলাম আমি আপনাদের সাথে সেই গর্ভবতী গরুর সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব কেননা সবারই জানা উচিত শুধু মানুষের নয় গরুদেরও গর্ভবতী অবস্থায় অনেক যত্ন নিতে হয়। অনেকেই গুরুদেব তেমন একটা যত নেয় না । গরু মাঠে চরে যেগুলো খাবার খাই শুধুমাত্র সেটুকুই তাদের দিন চলে যায়। অনেকে আবার শুকনো ঘর খেতে দেয় কিন্তু এটা উচিত নয়। গর্ভবতী গুরুদের সবসময় পেট পুরে খেতে দিতে হয়। মনে রাখতে হবে গর্ভবতী গরুদের ভাত খুব কম খেতে দিতে হবে ।কেননা ভাত খেলে অনেক সময় তাদের হজমের সমস্যা হয়ে থাকে ।তখন তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যায় অনেকগুলো গুরু আবার মারা যেতে পারে। তাই খাবারের দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে।
গর্ভবতী গুরূদের সব সময় বেশি বেশি করে পানি দিতে হবে ।বেশি বেশি করে পানি দিলে পেটের ভেতরেই বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং বাড়তে সাহায্য করবে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে ।বিশেষ করে ভাতের মার বা ঘাস ।ঘাসে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায় ।যা গর্ভবতী গরুর জন্য অনেক উপকারী । এছাড়াও অতিরিক্ত গরম পড়লে স্যালাইন খাওয়াতে হবে তাহলে গরুর শরীর অনেক ভালো থাকবে।অনেকে আবার ঘরের সাথে ছালমাখিয়ে অল্প একটু পানি দেয়। কিন্তু এটা করা মোটেও উচিত নয় ।গরুকে আলাদা করে পানি খাওয়াতে হবে ।গর্ভবতী গরুদের অল্প একটু পানি খেতে দিলে হবে না ।অনেক সময় পানির অভাবে গরুর পেটের ভেতর বাচ্চা লেগে যায়। অনেক সময় আবার পানির অভাবে রক্তপাতও হতে পারে ।সেজন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হবে পানির দিকে। যেন গর্ভবতী গরুর পানির কোন অভাব না হয়। যখন গরুগুলো গর্ভবতী হয় তখন তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের ঔষধ খাওয়াতে হবে ।তাহলে তাদের হাড়গুলো মজবুত হবে এবং বাচ্চা হওয়ার সময় তেমন একটা সমস্যা হবে না ।অনেক সময় পুষ্টির অভাবে বাচ্চা হতে যেয়ে গরু মারা যায়। গরুর হাত-পা পড়ে যায় এটা পুষ্টির অভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
যখন গরুর আট থেকে নয় মাস পড়বে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে । সব সময় খেয়াল রাখতে হবে গরুর যেখানে থাকে সেখানে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। নোংরা জায়গায় গরু রাখা যাবে না। কেননা অনেক সময় অনেক গরুর ৮ মাসেও বাচ্চা হয়ে থাকে। নোংরা জায়গায় গরু রাখলে বাচ্চা হওয়ার সময় সেখানে ডাক্তারের যেতে অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে। তাই সব সময় গরুকে পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে। গরু যেখানে থাকে সেখানে বাল্পেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেননা অনেক সময় গরুর রাতেও বাচ্চা হতে পারে। বাল্প না থাকার কারণে আপনারা তেমন একটা খেয়াল করে রাখতে পারবেন না ।গরুর ঘরে বাল্প থাকলে আপনারা দিনের মতো সবকিছু দেখতে পারবেন। তাই গর্ভবতী অবস্থায় খুব চোখে চোখে রাখতে হবে। যারা বাড়িতে গরু পালন করে থাকে তারা এগুলো খুব লক্ষ্য রাখে। তারা এটাও জানে কোন সময় গরুর বাচ্চা হতে পারে। তাই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শে যত্ন নিতে হবে এবং খাবার খাওয়াতে হবে। গুরু অসুস্থ হলে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াতে হবে তাহলে কোন সমস্যা হবে না।
আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে গরু যেন সব সময় সুস্থ থাকে। অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায় গরু গর্ভবতী অবস্থায় হয়তো দুই থেকে তিন মাস হয়েছে এই সময় গরুকে মাঠে মই দিতে নিয়ে যাওয়া হয় ।আমাদের গ্রাম অঞ্চলে গরুকে দিয়ে মই দেওয়া হয়। এমন সময় গরুকে দিয়ে মই দিলে গরুর বাচ্চা পড়ে যায় ।এই সময় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গরুকে দিয়ে কোন শক্ত কাজ না করানো হয়। অনেক সময় শরীর দুর্বল বা শক্ত কাজের জন্য গর্ভবতী গরু অসুস্থ হয়ে যায়। অনেকেই আবার গুরু চরাতে চরাতে গরুর পিঠে বসে থাকে। এটা করা মোটেও ঠিক না। মনে রাখতে হবে মানুষের যেমন পেটে বাচ্চা এলে যত্ন নিতে হয়। তেমন গরুদেরকে যত্ন নিতে হবে এবং বিশ্রামের জন্য সবসময় খেয়াল রাখতে হবে ।যেন কোন শক্ত বা ভারী কাজ গর্ভবতী গরুকে দিয়ে না করানো হয়। সবকিছু নিয়ম মেন্টেন করে চলে দেখবেন দিনশেষে আপনি অনেক সুন্দর ফুটফুটে গরুর বাচ্চা পেয়েছেন ।যেটা দেখে আপনার অনেক ভালো লাগবে। আমাদের বাড়িতে দুইটা গর্ভবতী গরু আছে হয়তো দুই এক দিনের মধ্যে অনেক সুন্দর ফুটফুটে দুইটা বাচ্চা জন্ম দিবে। এখন বেশিরভাগই মানুষ সচেতন হয়ে গিয়েছে। তাই আগের মতো আর গরুকে দিয়ে তেমন একটা পরিশ্রম করায় না ।ডিজিটাল মেশিন ওঠার কারণে সেগুলো দিয়ে বেশিরভাগই মাঠের কাজকর্ম করে থাকে। আশা করি আমার কথাগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে? কতটা ভালো লেগেছে আশা করি কমেন্টে জানাবেন?
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
ব্লগার | @mdemaislam00 |
---|---|
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | ক্রিটিভ রাইটিং |
আছে কিন্তু আপনি ব্যতিক্রম ধর্মী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুধু গরু বলে নয় প্রত্যেকটা গৃহপালিত পশু পাখিকে যত্ন নিতে হবে আমাদের। কোথায় আছে যত্ন করলে রত্ন মিলে। যত বেশি যত্নশীল হওয়া যাবে তত বেশি নিজেদের জন্যই ভালো।
ঠিক বলেছেন আপু যতো বেশি যত্ন নেওয়া যাবে তত বেশি নিজের জন্যই ভালো
আপনার এই তথ্যগুলো আমার বেশ কাজে আসবে আপু। কারণ আমার খামারেও গর্ভবতী গাভী আছে। তবে এটা ঠিক বলেছেন গর্ভবতী গাভীর অনেক দেখাশোনা করতে হয়। ধন্যবাদ আপু গর্ভবতী গাভী সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য।