।ভাতৃদ্বয়। ১০% লাজুক খেক -এর জন্য/

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার।
আমার বাংলা ব্লগের সকলকে ভাতৃদ্বয়ের প্রাতকালে শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ভালোবাসা জানাই।সকলেই নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন।
একটু একটু করে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।তাই মন খারাপের কোনো যায়গা নেই।
আগেই বলেছি যে ১২ মাসে ১৩ পার্বণ একটার পর একটা লেগেই থাকে।আজকে ভাইফোঁটা।এইটা এক অন্য রকম অনুষ্ঠান।শাস্ত্র অনুযায়ী ভাই বা দাদারা বোন বা দিদির থেকে ফোটাঁ নেয়।কিন্তু এই সব নিয়মের বেড়াজ্বাল এখনকার প্রজন্ম মানে না।
এখনকার যুগে এসব হল অবান্তর।যে যার মতো নিয়ম তৈরি করছে কেউ বাধা দেওয়ার নেই।সবাই স্বাধীনচেতা
মানুষ।এখন দেখছি বড় বোন ছোট বোনকে ফোটাঁ দেয়,রাখি পরায়।এমন কি এবার দেখলাম কুকুর,বিড়াল কেও ফোটাঁ দিচ্ছে।
যাইহোক যার যা ভালো লাগে তার নিজের ব্যক্তিগত ব্যপার।এখন কারো যদি ভাই না থাকে সে আর কিই বা করবে।অনেক বক বক করলাম।
আমি ছোট্ট বেলা থেকেই এই ফোঁটা দিয়ে আসছি।তখন আমি কিছু বুজতাম না।আমি আমাদের বংশের প্রথম মেয়ে তাই খুব আদরের ছিলাম।দাদা,ভাই সবাই লাইন করে বসতো আর আমি এক এক করে ফোঁটা দিতাম।আর দাদা,ভাই সবাই আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসতো।আসলে আমি খুব ভালোবাসি খেতে তাই।
আমি ছোট্ট বেলা থেকেই এই ফোঁটা দিয়ে আসছি।তখন আমি কিছু বুজতাম না।আমি আমাদের বংশের প্রথম মেয়ে তাই খুব আদরের ছিলাম।দাদা,ভাই সবাই লাইন করে বসতো আর আমি এক এক করে ফোঁটা দিতাম।আর দাদা,ভাই সবাই আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসতো।
আসলে আমি খুব ভালোবাসি খেতে তাই।

20221103_173726.jpg

বড়ো হয়েই খুব সমস্যা হয়ে গেছে।এখন সবাই নিজেদের মতো নিজকে গুছিয়ে নিয়েছে।মঝে মধ্যে কথা হয়।
যাইহোক আমার ১টা ভাই।আমি ওকেই ফোঁটা দিই।আমার ভাই আমার থেকে ৫ বছরের ছোট।ছোটো থাকতে মা সবকিছুই আয়োজন করতো।মা এখন নেই তাই আমাকেই সবটা দেখতে হয়েছে।গত বছর আমি বাপের বাড়ি গিয়েছিলাম ভাইকে ফোঁটা দিতে,এবছর ভাইকে আসতে বলেছি।তাই সকাল সকাল সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিয়ে বাজারে ছুটেছি।৫ রকম মিস্টি,মিস্টি দই,ধান,দূর্বা,তুলসি কাঠের মালা ও ঘুনসি নিয়েছি।এবার খাওয়া জিনিস নিতে হবে।
20221027_112402.jpg

20221027_112353.jpg
খাশির মাংস আর বাগদা চিংড়ি।তারপর বাড়িতে এসে আগে স্নান সেরে ভাইকে ফোঁটা দিতে বসলাম।আশন পেতে ভাইকে বসিয়ে ধান দূর্বা দিয়ে প্রদ্বীপ জ্বেলে বরণ করে নিলাম।তারপর তুলসির কাঠের মালা পড়িয়ে কোমরে ঘুনসি বা লাল কার পড়িয়ে দিয়েছি।তারপর প্রদ্বীপ শিখা থেকে কালি দিয়ে কাজল বানিয়েছি।নিয়ম অনুযায়ী কাজলের ফোঁটা,দইএর ফোঁটা এবং চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়।কিন্তু এইদিনে আমার ভায়ের জন্মবার হওয়ায় চন্দনের ফোঁটা দিইনি।ভাইকে দই এর আর কাজলের ফোঁটা দিয়েছি আর বলেছি 'ভায়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যমদুয়ারে পরল কাঁটা,যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।'

IMG-20221103-WA0003.jpg

IMG-20221103-WA0001.jpg

তারপর ভাইকে মিষ্টি খাওয়ালাম আর জল খাওয়ালাম।এরপর দুপুরে ভাত,খাশির মাংস,চিংড়ি মাছের মালাই কারি,দই, চাটনি আর পাপড় দিলাম।

           আসাকরি সকলের আমার এই ব্লগটি 

ভালোলাগবে ধন্যবাদ সকলকে।