শোকের ছায়া।
আজ- ২২শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি : ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
নিঃসন্দেহে দাদা অত্যন্ত একজন ভালো মানুষ আর প্রতিটি সন্তান কিন্তু তার বাবার আদর্শ এবং গুণে গুণান্বিত হয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দাদার বাবা কেমন মানুষ তা আমাদের বলার আর অপেক্ষায় রাখে না। আসলে প্রতিটা ক্ষেত্রেই দেখেছি, ভালো মানুষগুলো পৃথিবী থেকে এভাবে খুব সহজে কাউকে কোন কষ্ট না দিয়ে নিরবে চলে যাই। গতকাল যখন দুপুরের দিকে নামাজ শেষে মোবাইলটা যখন হাতে নিয়েছি আর তখনই দেখছি এই দুঃসংবাদ। এখনো যেন বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে এভাবে মানুষটার চলে যাওয়া।
আসলে জন্ম এবং মৃত্যু দুটোই বিধাতার হাতে। কার কখন কোথায় কিভাবে মৃত্যু হবে সেটি কেউ জানে না। মৃত্যুই একমাত্র অনিবার্য সত্য । কিন্তু এ অনিবার্য সত্যটাই যেন মেনে নিতে সব থেকে বেশি কষ্ট হয়। এবং এই শোক সহজে ভুলবার নয়, বিশেষ করে প্রিয় মানুষ, কাছের মানুষগুলোর চলে যাওয়া যেন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কাছের মানুষগুলো চলে যাওয়ার যন্ত্রনা যে কতখানি যার যায় সে একমাত্র বুঝে। ওই সময়গুলোতে তার পরিবারের উপর দিয়ে কি ঝড় যায় তা বাহিরে থেকে পুরোপুরি আন্দাজ করা সম্ভব নয়।
আমরা হয়তো দূর থেকে দাদার কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারছি কিন্তু দাদার পরিবারের উপর দিয়ে যা যাচ্ছে , সেটা পুরোপুরি বোঝার সাধ্য আমাদের কারোই নেই। দাদা এবং দাদা পরিবার মানসিকভাবে কতটা জেগে ভেঙ্গে পড়েছে বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে এই যন্ত্রণাটা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি, কেননা আমার ও বাবা মারা গেছে ৭ বছর হয়ে এলো। প্রথম কয়েক বছর তো এই কঠিন সত্যটা যেন মেনে নেওয়ায় যাচ্ছিল না । সবাই বলতো সময়ের সাথে সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই ঠিক হয় না বরং যত সময় যেতে থাকে তত বাবা নামক মানুষটার অনুপস্থিত খুবই যন্ত্রনা দেয়। প্রতিটি কাজে তার না থাকাটাকে অনুভব করি। দিনশেষে যখন বাবার কথাগুলো, বাবার স্মৃতি গুলো মাথায় আসে তখন যেন খুব অস্থির অনুভব হয়।
আসলে সত্যি বলতে আমরা যতই বড় হয় না কেন , বাবাদের কাছে তার সন্তান সব সময় ছোট । প্রত্যেকটি বাবাই তার সন্তানকে বট বৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আগলে রাখে। বাবা যতোই বৃদ্ধ হোক না কেন সন্তানের কাছে বাবা মানেই একজন অভিভাবক। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তেই বাবা আমাদের সাথে থাকেন। আর এই বাবাকে হারিয়ে ফেলা প্রত্যেক পরিবারের সন্তানের জন্য অনেক কষ্টকর। আর বাবা না থাকার এই কষ্টটা মেনে নেওয়া একপ্রকার অসম্ভব ।
তবুও আমাদের মেনে নিতে হয় কারণ, ওই যে বললাম মৃত্যুই একমাত্র অনিবার্য সত্য । আমি আপনি প্রত্যেকটা জীবেরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। হয়তো কেউ আগে যাবে কিংবা পরে যাবে। তবে প্রত্যেকটা মানুষকে যেতেই হবে।
আমরা সকলেই যে যার ধর্ম মত প্রার্থনা করি। যেনো সৃষ্টিকর্তা দাদার পরিবারকে এই শোক কাটিয়ে তোলার শক্তি দেই। দাদা যেনো মানসিকভাবে একটু শক্ত থাকে। এমন প্রত্যেকটা মানুষকে যেন খুব ভালো রাখে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
গতকাল দুপুরের দিকে নিউজটি দেখতে পেয়ে অনেক খারাপ লাগলো।দাদা তার নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ হারিয়ে ফেললেন।যতই শান্তনা দেওয়া হোক না কেন যার হারাই সেই আসলে বুঝে আপনজন হারানোর দুঃখ।দাদার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কালকে এই খবরটি পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। কারণ তার আগের রাত্রেও হ্যাংআউট এ দাদা অনেক মজা করেছিল সবার সঙ্গে। হঠাৎ করে কি থেকে কি হয়ে গেলো। আসলে বিপদ কার কখন আসে তা বলা মুশকিল। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন ভাইয়া কিছু ক্ষতি সময়ের সাথে সাথেও পূরণ হয় না। যেমন বাবা মায়ের অভাব কখনোই অন্য কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। দাদাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা আসলে আমাদের কারোরই নেই।
সত্যিই খবরটা পড়ে শোকাহত হয়েছি।বিশ্বাস ই হচ্ছিল না আমার এই সংবাদটা পড়ে। খুব খারাপ লাগছিলো কাল।মনে হচ্ছিল বার বার একটু যদি দাদার কথা শুনতে পেতাম।কেউ ই আমরা চিরদিন বেঁচে থাকবো না।তারপরেও প্রিয় মানুষের চলে যাওয়াটা মানতে কষ্ট হয়।দাদার পরিবারের সবাই এই শোক কাটিয়ে উঠুক এটা ই চাই।দোয়া করি আল্লাহ সবার মনকে শান্তি করে দিন।
সত্যি ভাইয়া এটা আমাদের জন্য শোকের ছায়া। যতটুকু জেনেছি তিনি বেশ ভালো মনের একজন মানুষ ছিলেন। দোয়া রইল তার জন্য যেখানেই থাকুক তিনি ভালো যেন থাকেন।
আমাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু এমন হঠাৎ মৃত্যু আসলেই মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হয়। উনি সত্যিই ভীষণ পরোপকারী মানুষ ছিলেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যাতে দাদার পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দেন, সেই কামনা করছি। দোয়া করি ওপারে দাদার বাবা যেনো খুব ভালো থাকেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই অনূভুতি টা আমিও অনূভব করেছি ভাই। প্রথম দিকে খুব একটা কিছু মনে হতো না। কিন্তু যতই বয়স বাড়ল ততই বাবার অভাব টা অনূভব করতে শুরু করলাম। সৃষ্টিকর্তা উনাকে শান্তিতে রাখুক। দাদার পুরো পরিবার এখন শোকাহত। সৃষ্টিকর্তা যেন উনাদের এই শোক থেকে বের হয়ে আসার মতো শক্তি দেন সেই প্রার্থনা করি।