লাইফস্টাইল পোস্ট || কেএফসি তে গিয়ে ভাই ব্রাদারদের সাথে চিকেন ফ্রাই খাওয়ার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২ দিন আগে আমরা ৬ জন ভাই ব্রাদার কেএফসি তে সন্ধ্যার পরে গিয়ে, চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক সপ্তাহ খানেক আগে আমাদের শপিংমল প্রজেক্টে গিয়েছিলাম কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য এবং যারা যারা শপিংমলে শপ কিনেছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সেদিন উপস্থিত ছিলো এবং আমাদের মাঝে ছোটখাটো একটা মিটিং হয়েছিল। তো মিটিং শেষ হওয়ার পর,আমরা ৫/৬ জন বসে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিলাম। এমন সময় মোতালিব ভাই বললো যে, কেএফসি তে প্রতি মঙ্গলবার চিকেন ফ্রাই এর দারুণ অফার থাকে।
অফারটা হচ্ছে ৯৯৯ টাকায় ২০ পিস চিকেন ফ্রাই পাওয়া যায়। হট এন্ড ক্রিসপি ৮ পিস এবং উইংস ১২ পিস। তো আমরা ঠিক করলাম ৬ জন যাবো। ওরা বললো যে একটার দাম আমাকে দিতে অর্থাৎ ৯৯৯ টাকা এবং ওরা দু'জন একটার দাম দিবে। বাকি ৩ জন এমনিতেই সাথে যাবে। তো আমি বললাম ঠিক আছে আমি ১,০০০ টাকা দিবো। কারণ সবাই মিলে এভাবে খাওয়া দাওয়া করতে আমার খুব ভালো লাগে। তারপর শপিংমল প্রজেক্টে আরও কিছুক্ষণ থেকে বাসায় চলে এসেছিলাম। তো মঙ্গলবার মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে বাসা থেকে বের হয়ে, একটা মসজিদে নামাজ আদায় করে, তারপর আমরা ৬ জন চলে গেলাম নারায়ণগঞ্জের কেএফসি চাষাড়া শাখায়। তো আমরা কেএফসি তে প্রবেশ করেই দেখি যে প্রচুর ভিড় সেখানে। এমনিতেই সন্ধ্যার পর কেএফসি এর চাষাড়া শাখায় প্রচুর ভিড় থাকে।
আর মঙ্গলবার স্পেশাল অফার থাকে বলে,মানুষের ভিড় আরও বেড়ে যায়। যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর,চিকেন ফ্রাই আমাদের টেবিলে চলে আসলো। হট এন্ড ক্রিসপি দুই বাকেটে ৮ পিস করে ১৬ পিস এবং উইংস দুই বক্সে ১২ পিস করে ২৪ পিস। অর্থাৎ সর্বমোট ৪০ পিস চিকেন ফ্রাই আমাদের টেবিলে চলে আসলো। তো আমরা শুরুতে হট এন্ড ক্রিসপি চিকেন ফ্রাই খাওয়া শুরু করলাম। চিকেন ফ্রাই এর মধ্যে কামড় দিয়েই বুঝলাম যে,অফার হলেও চিকেন ফ্রাই এর মান খুবই ভালো। অর্থাৎ রেগুলার কেএফসি চিকেন ফ্রাই এর মতোই। যাইহোক হট এন্ড ক্রিসপি জনপ্রতি ২/৩ পিস করে খেলাম এবং তারপর উইংস খাওয়া শুরু করলাম। উইংস এর মধ্যে মসলা দেওয়া ছিলো বলে,খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। আমরা জনপ্রতি ৪ পিস করে উইংস খেয়েছিলাম। সবমিলিয়ে চিকেন ফ্রাই খেতে মনে হয় ১০ মিনিটের বেশি সময় লাগেনি আমাদের হা হা হা।
চিকেন ফ্রাই এর সাইজ এবং মান একদম পারফেক্ট ছিলো। অফার ছিলো বলে তারা চিকেন ফ্রাই এর মান খারাপ করেনি এবং সাইজেও ছোট করেনি। আমরা ভরপুর খাওয়া দাওয়া করার পর,পেটে জায়গা ছিলো না কারোরই। তারপর মোতালিব ভাই ৩/৪ পিস চিকেন ফ্রাই পার্সেল করে নিয়ে যায়। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে কেএফসি থেকে আমরা বের হয়ে গেলাম। বের হওয়ার পর বিল্লাল বললো যে,একটি বার্গার পার্সেল করে বাসায় নিয়ে যাবে। তো বার্গার নেওয়ার জন্য আমরা খানাস রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। খানাস রেস্টুরেন্ট কেএফসি এর একেবারে পাশেই অবস্থিত। তারপর অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, বার্গার পার্সেল নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। যাইহোক সবাই মিলে কেএফসি তে চিকেন ফ্রাই খেয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমাদের। তাছাড়া এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে। চাইলে আপনারাও মঙ্গলবার কেএফসি তে গিয়ে মজা করে চিকেন ফ্রাই খেতে পারেন।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৭.১১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
গতকাল জেনারেল চ্যাটে বলেছিলেন এই সম্পর্কে। আজকে পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। কেএফসিতে গিয়ে ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। কে এফ সির ফ্রাইড চিকেন আমার ভীষণ পছন্দ। ছোটখাটো একটা মিটিং করার পর খাওয়া-দাওয়া করেছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু আমরা কেএফসি তে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কেএফসি তে গিয়ে ভাই ব্রাদারদের সাথে আপনার চিকেন ফ্রাই খাওয়ার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ভাই বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে বসে যে কোন জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সেখানে যদি কেএফসিতে বসে চিকেন খাওয়া যায় তাহলে আনন্দের সীমা থাকে না। মাঝেমধ্যে আমাদেরকেও নিয়ে যাবেন, হা হা হা। ধন্যবাদ।
আপনি চাষাড়ার আশেপাশে তখন থাকলে আপনাকেও ডাকতাম ভাই হা হা হা। যাইহোক আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।