ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (সপ্তদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের ষোড়শ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে সপ্তদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম,আমরা রাত ১ টা পর্যন্ত সুগন্ধা বীচের আশেপাশে থেকে, তারপর হোটেলে ফিরেছিলাম। মানে রাতের বেলায় কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছিলাম। কারণ পরের দিন বেলা ১১ টার দিকে আমরা গাড়িতে উঠবো বাসায় ফেরার জন্য। স্লিপিং কোচের টিকেট আগেই কিনে রেখেছিলাম। যাইহোক সেদিন রাত প্রায় ২ টা বেজে যায় ঘুমাতে ঘুমাতে। কিন্তু ঘুমানোর আগে মোবাইলে এলার্ম সেট করে রেখেছিলাম ভোর ৫ টা বাজে ঘুম থেকে উঠবো বলে।
কারণ সেই ট্যুরে যে কয়দিন কক্সবাজারে ছিলাম, প্রতিদিনই ভেবেছিলাম ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সূর্যোদয় দেখবো। কিন্তু একদিনও ঘুম থেকে উঠতে পারিনি। যাইহোক ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলাম এলার্ম এর শব্দ শুনে। তারপর আমি আমার ওয়াইফকে বললাম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে রেডি হতে। কিন্তু কয়েকবার ডাক দেওয়ার পরেও সে ঘুম থেকে উঠছে না। আসলে রাত ২ টার সময় ঘুমিয়ে ভোর ৫টা বাজে ঘুম থেকে উঠা অনেক কষ্ট। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম একা একাই সুগন্ধা বীচে চলে যাবো সূর্যোদয় দেখার জন্য। তো আমি ফজর নামাজ আদায় করে সাথে সাথে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম এবং ৫/৬ মিনিটের মধ্যেই সুগন্ধা বীচে পৌঁছে গেলাম। ভোরবেলা সুগন্ধা বীচে গিয়ে মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে গিয়েছিল।
কারণ ভোরবেলার মিষ্টি বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দিয়েছিল। যদিও তখন ফেব্রুয়ারী মাস ছিলো অর্থাৎ শীতকাল ছিলো। তবুও বাতাসটা বেশ ভালো লেগেছিল। আমি বীচে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরেও সূর্যি মামার কোনো দেখা নেই। আসলে আমি আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম সেখানে। সেজন্য বেশ কিছুক্ষণ আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল সূর্যোদয়ের জন্য। শীতকালে তো সূর্যোদয় এমনিতেই দেরীতে হয় গরমের দিনের তুলনায়। যাইহোক আমি হাঁটাহাঁটি করতে করতে বীচের পানির একেবারে সামনে চলে গেলাম। তারপর সমুদ্রের পানিতে পা ভেজালাম এবং বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে করতে হঠাৎ খেয়াল করলাম সূর্যি মামা উঁকি দিচ্ছে। দীর্ঘদিন পর সূর্যোদয় দেখে যে কি ভালো লেগেছিল, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
আমি তো সূর্যি মামার বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,তারপর সূর্যি মামার ভিডিওগ্রাফি করা শুরু করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনাদের সাথে অনেক দিন আগেই সেই ভিডিওগ্রাফি আমি শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক মন ভরে সূর্যোদয়ের চমৎকার দৃশ্য দেখে, চিন্তা করলাম হোটেলে ফিরে যাবো। তবে যাওয়ার আগে হঠাৎ করে ভাবলাম আজকে যেহেতু কক্সবাজার ত্যাগ করবো,তাই যাওয়ার আগে আরও কিছুক্ষণ সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়ে নেই। তারপর হোটেলে ফিরে যাবো। তো যে-ই ভাবা সে-ই কাজ। খালি পায়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক তারপর আমি হোটেলে ফিরে গেলাম। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজার ট্যুরে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৫.৯.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি আপনার ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন আর ইতোমধ্যে বেশ কিছু পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। আজকের এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
আসলেই আপু ভ্রমণ করতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভোরবেলা স্নিগ্ধ পরিবেশ এবং সমুদ্র সবমিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সূর্যোদয় উপভোগ করেছেন। কক্সবাজার গিয়ে সূর্যোদয় দেখতে না পারাটা একটা ব্যর্থতা। আসলে অনেক রাত পর্যন্ত জাগন থেকে সকালে ওঠাটা কষ্টকর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। সুগন্ধা বিচে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং দারুন ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন।
আসলেই সেদিন সকালবেলা পুরোটা সময় ভীষণ উপভোগ করেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পরিবারের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেই ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আজকে আবারো আরো একটি পর্ব দেখতে পেরে অনেক কিছু দেখার সুযোগ মিললো এবং ধারণা পেলাম।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভোরবেলা মুক্ত হাওয়ায় সমুদ্র পাড়ে এভাবে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। আর এমন সূর্যোদয় দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন অনেক রাতে ঘুমালে সকালে উঠা সত্যি কষ্টকর।আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, সূর্যোদয় দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আজ আপনার কক্সবাজারে ভাবীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার যেই ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভোর বেলা কক্সবাজারে সূর্যোদয় দেখার এক অন্যধরনের অনুভূতি লাগে। আমিও অনেক আগে গিয়েছিলাম। আবারও যেতে ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে সূর্যটা হাতের মধ্যে নিয়ে ছবি তুললে ছবিটা দেখতে অনেক ভালো লাগে। ভাবীকে নিয়ে সমূদ্র ভ্রমণে বেশ ভালো উপভোগ করেছেন।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের ছবিগুলি খুব ভালো লাগলো। সঙ্গে বিবরণ পড়েও খুব আনন্দ পেলাম। কক্সবাজার আমি ঘুরে এসেছি কয়েক মাস আগে। ভীষণ মনোরম ও সুন্দর একটি জায়গা। চারদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন ছড়িয়ে রয়েছে মানুষকে ডেকে। আপনি সূর্যোদয়ের যে ছবি তুলেছেন তা অনবদ্য এবং নান্দনিক। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কক্সবাজার ভ্রমণের নতুন একটি পর্ব দেখে ভালো লাগলো ভাই। এর আগেও কক্সবাজার ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব দেখেছিলাম। জায়গাটি খুবই সুন্দর। যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে যাব ভাই। এখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি আমার।
সময় সুযোগ হলে অবশ্যই কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন ভাই। আমি মনে করি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হচ্ছে কক্সবাজার। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।