লাইফস্টাইল পোস্ট || জরুরী কাজ শেষ করে ওয়াইফকে নিয়ে সন্ধ্যার পর ক্যাফে তে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আপনারা অনেকেই জানেন মে মাসের ১৬ তারিখে আমার ওয়াইফ এর অপারেশন করা হয়েছে। যাইহোক অপারেশন এর সেলাই কাটতে ২৬ তারিখে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নারায়ণগঞ্জ শাখায় বিকেল বেলা গিয়েছিলাম। ডক্টর বিকেল ৪ টা বাজে হসপিটালে আসার কথা থাকলেও, রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত ৫.৩০ টার পর ডক্টর আসে। এরপর ডক্টর দেখিয়ে হসপিটাল থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম কি খাবে। সে কিছু খেতে চাইলো না। এমনিতেই সে খাওয়া দাওয়া খুব কম করে, এর মধ্যে ডক্টর বলেছে বাহিরের খাবার কম খেতে।
যাইহোক আমি তাকে বললাম চিকেন বটি কাবাব এবং লুচি খাওয়ার কথা। তারপর ওয়াইফ আমার সাথে একমত পোষণ করার পর, আমরা চলে গেলাম নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনারের পিছনে অবস্থিত ছোট একটি ক্যাফে তে। চাষাড়া শহীদ মিনারের পিছনের দিকে কাচ্চি ভাই সহ বেশ কয়েকটি নামি-দামি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেহেতু সন্ধ্যার নাস্তা করবো,তাই রেস্টুরেন্টে না ঢুকে ক্যাফে তে ঢুকলাম। তাছাড়া বিকেল বেলা থেকেই শহীদ মিনারের পিছনে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড বিক্রি করা হয়। আগে বন্ধু বান্ধবদের সাথে গিয়ে প্রায়ই সেখান থেকে স্ট্রিট ফুড খাওয়া হতো। তবে এখন ব্যস্ততার জন্য তাদের সাথে সেভাবে যাওয়া হয় না। যাইহোক ওয়াইফকে নিয়ে ক্যাফে তে ঢোকার পর, চিকেন বটি কাবাব দেখে মনে হলো খেতে দারুণ লাগবে।
তারপর দুজনের জন্য চিকেন বটি কাবাব এবং লুচি অর্ডার করলাম। একটু পরেই আমাদের টেবিলে চিকেন বটি কাবাব এবং ৬ টা লুচি দিয়ে গেলো। সাথে বিভিন্ন ধরনের সস ছিলো। লুচি এবং চিকেন বটি কাবাব মুখে দেওয়ার পর খুবই ভালো লেগেছিল। কারণ চিকেন বটি কাবাবের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তাছাড়া সস গুলো খেতেও দারুণ লেগেছিল। যাইহোক লুচি শেষ হওয়ার পর, আরও তিনটা লুচি অর্ডার করলাম। আসলে খাবারের স্বাদ ভালো হলে খেতে সময় লাগে না। লুচি এবং চিকেন বটি কাবাব খাওয়া শেষ করে, আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার কথা। তারপর সে বললো চকোলেট মিল্ক শেক খাবে। তো তার জন্য চকোলেট মিল্ক শেক এবং আমার জন্য ম্যাংগো মিল্ক শেক অর্ডার করলাম।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের টেবিলে চকোলেট মিল্ক শেক এবং ম্যাংগো মিল্ক শেক দিয়ে গেলো। কিন্তু ম্যাংগো মিল্ক শেক এর কালার দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবুও ম্যাংগো মিল্ক শেক এক চুমুক খেয়ে দেখলাম। খাওয়ার পর সেটা কোনো ভাবেই আমার কাছে ম্যাংগো মিল্ক শেক মনে হয়নি। খেতে কিছুটা লাচ্ছির মতো লেগেছিল। যাইহোক ওয়েটারকে ডেকে বললাম এটা তো ম্যাংগো মিল্ক শেক একেবারেই হয়নি। তারপর সে ম্যাংগো মিল্ক শেক এর গ্লাস ভিতরে নিয়ে গিয়ে ম্যাংগো মিক্সড করে দিলো। তারপর খেতে মোটামুটি ভালো লেগেছিল। কিন্তু ওয়াইফ এর অপারেশনের পরের দিন সকালে, আমি সেখানকার অন্য একটি ক্যাফে তে ম্যাংগো মিল্ক শেক খেয়েছিলাম। সেই ম্যাংগো মিল্ক শেক খেতে দারুণ লেগেছিল।
যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে আমরা ক্যাফে থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর রিকশা নিয়ে চলে গেলাম কালী বাজারে। সেখানে গিয়ে একটা দোকান থেকে, আমার ওয়াইফ ঝটপট দুটি থ্রি পিস কিনলো তার আত্নীয়কে গিফট করবে বলে। আসলে সেদিন রাতে প্রচুর বাতাস ছিলো। কারণ পরের দিন রেমাল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে বাংলাদেশে,এমনটাই শুনেছিলাম সেদিন। তাই তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ ঝড় বৃষ্টি কখন শুরু হয়ে যায়, তার কোনো ঠিক নেই। তাই তাড়াহুড়া করে থ্রি পিস দুটি কিনেছিলাম। এরপর আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই বাসায় চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে, ওয়াইফ এর সাথে ক্যাফে তে খাওয়া দাওয়া করে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন। তো এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৪.৭.২০২৪ |
লোকেশন | চাষাড়া,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের রাতে আপনার ওয়াইফ কে সাথে এতো সুন্দর ভাবে আড্ডা দিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে প্রিয় মানুষ কে সাথে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর আপনারা দেখছি ক্যাফে গিয়ে বেশ কিছু খাবার খেয়েছেন, এবং সেই খাবার খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই, ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে এভাবে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাবীর অপারেশনের কথা অনেক বার শুনেছি। যাই হোক আপনারা দুজন ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে খাবার খেয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে। খাবারের আইটেম তো দেখছি অনেক বেশি ভালো ছিল। আর খাবার গুলো দেখেই বুঝতে পারতেছি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রিয় মানুষের সাথে কিন্তু মাঝে মধ্যে এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। পুরোটা আমার কাছে পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু প্রিয় মানুষের সাথে বাহিরে গিয়ে খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাবী এখন অনেকটা সুস্থ রয়েছে আশা করি। অপারেশনের কথা শুনেছিলাম আগে। যাই হোক খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। ক্যাফেটা তো দেখছি খুবই সুন্দর। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আমার ওয়াইফ এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ক্যাফে টা মোটামুটি সুন্দর ই বলা যায়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই ভাবি আশা করছি এখন অনেক বেশি সুস্থ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষে দুজনে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন দেখে তো ভালোই লেগেছে। খাবার গুলো দেখেই তো অনেক সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে। আমার তো দেখেই খুব ভালো লেগেছে। ভাবিও নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছিল খাবারগুলো। এই ক্যাপে টা অনেক সুন্দর। নিশ্চয়ই ক্যাপের খাবারগুলো ও খুব ভালো ছিল। অনেক সুন্দর করে আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখেই তো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাই আপনাদের ভাবী এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছে। খাবারের স্বাদ আসলেই খুব ভালো ছিলো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডক্টর দেখানোর শেষ করে দুজনে মিলে মজার মজার সব খাবার খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। চিকেন বটি কাবাবের টেস্ট ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো। অবশেষে ফেরার সময় ভাবির আত্মীয়র জন্য থ্রি পিস কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ আপু চিকেন বটি কাবাব খেতে এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।