ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (নবম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


অষ্টম পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের অষ্টম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে নবম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সীমা তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে কক্সবাজার গিয়ে বেশ মজা করছে। আর এদিকে তার ছোট্ট মেয়েটা ভীষণ কান্নাকাটি করছে সীমাকে কাছে না পেয়ে। রতনের মা রতনের ছোট্ট মেয়েটাকে খাওয়া দাওয়া করানোর চেষ্টা করলেও, সেভাবে পেরে উঠছে না। এদিকে রতন বারবার ভাবে যে, হঠাৎ করে তার জীবনটা একেবারে এলোমেলো হয়ে গেলো। তাছাড়া রতন তার মেয়ের জন্য অনেক দুশ্চিন্তা করছে। সবমিলিয়ে রতন কিছুটা অসুস্থ হয়ে গেলো। তারপর রতনের সাথে কাজ করে,তার এক বন্ধুর সাথে রতন সবকিছু শেয়ার করে।


treason-6971578_1280.jpg

Source


তারপর রতনের বন্ধু রতনকে বলে যে, এক সপ্তাহের জন্য কোম্পানি থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় একটু রেস্ট নিতে। তারপর শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার উন্নতি হলে,আবারও কাজে জয়েন করতে। তো রতন সেটাই করলো। রতন বারবার ফোন দিয়ে তার মেয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। তাছাড়া রতন তার মা'কে বলে যে,জোর করে তার মেয়েকে খাইয়ে দিতে। এভাবেই চলছিলো রতন এবং তার ছোট্ট মেয়ের দিনগুলো। এদিকে সীমা তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কক্সবাজারে কয়েকদিন ঘুরাঘুরি করে, তারপর তার পরকীয়া প্রেমিকের বাসায় চলে যায়। সেই ছেলের পরিবার ছিলো অদ্ভুত টাইপের। তাই সীমাকে নিয়ে বাসায় যাওয়ার পর, সেই ছেলের মা বাবা তেমন কিছু বলেনি। এরপর সীমা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক উকিলের কাছে গিয়ে, ব্যাক ডেট দিয়ে অর্থাৎ পিছনের তারিখে রতনের সাথে সীমার ডিভোর্সের কাজ সম্পন্ন করিয়ে,রতনের বাসায় ডিভোর্সের পেপার পাঠিয়ে দেয়।


তারপর সীমা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক বিয়ে করে ফেলে। আসলে সীমা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অনেক স্বর্ণ গহনা এবং টাকা পয়সা নিয়ে বের হয়েছিল বলে,সেই লোভে তার পরকীয়া প্রেমিক এবং তার পরিবার সীমাকে গ্রহণ করে। যাইহোক সীমা তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সংসার করা শুরু করে। এদিকে রতনের মায়ের কাছে যখন সীমার পাঠানো ডিভোর্স পেপার পৌঁছায়,তখন রতনকে ফোন দিয়ে সবকিছু বলে রতনের মা। রতন এটা শুনে আরও ভেঙে পড়ে। এরপর রতন বলে যে আর কখনোই সে দেশে ফিরবে না। আসলে রতন সীমাকে ভীষণ ভালোবাসতো। তাই এমন আঘাত রতন সহ্য করতে পারেনি। রতন তারপর সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে সৌদি আরব থেকে ইতালি চলে যাবে সারাজীবনের জন্য। আসলে রতনের তখন মাথা ঠিক ছিলো না। তাই কি করবে না করবে সেটা বুঝতে না পেরে হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।


তবে রতন এটাও জানতো,রতনের মা রতনের ছোট্ট মেয়েটাকে ভালোভাবে দেখেশুনে রাখবে। একমাত্র সীমার কারণে পুরো পরিবার একেবারে তছনছ হয়ে গেলো। সীমা আসলেই খুব হারামি টাইপের একটি মেয়ে। তবে সীমা যে পরিবারে এইবার গিয়েছে, সেখানে সীমাকে প্রচুর অশান্তিতে থাকতে হবে,সেটা সবাই বলাবলি করছিলো। যাইহোক সীমার মা বাবা তাকে বাসায় ফেরানোর জন্য অর্থাৎ রতনের পরিবারে ফেরানোর জন্য, সীমার সাথে দেখা করে এবং তাকে অনুরোধ করে। কিন্তু সীমা তার মা বাবার অনুরোধ রাখে না। তাছাড়া সীমা বলে যে, এখন তো সে বিয়ে করে ফেলেছে, তাই এটা আর কখনোই সম্ভব না। এমনকি সীমার মা যখন সীমাকে তার ছোট্ট মেয়েটার কথা বলে,তখনও সীমার মন নরম হয় না। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ১৪.১২.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 5 days ago 

ডেইলি টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20241214_111631886.jpg

 5 days ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

সত্যি বলেছেন ভাইয়া কিছু মেয়ে কখনো মা হবার যোগ্য নয়।আসলে বাচ্চার জন্য মানুষ যেকোন কিছু করতে পারে।তবে সীমা দেখছি সম্পূর্ণ বিপরীত।বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 days ago 

আসলে সীমার মতো মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না। এমন মেয়েরা পরবর্তীতে খুবই বাজেভাবে পস্তায়। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 days ago 

দেখতে দেখতে আপনি নবম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেললেন।কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া। একটা মেয়ে আর কিছু পারুক বা না পারুক তার সন্তানকে কখনও ফেলতে পারেনা।কিন্তু সীমার ক্ষেত্রে দেখছি একদমই উল্টা। আসলেই তার মা হওয়ার যোগ্যতা নাই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

আসলে সীমার চরিত্র একেবারেই খারাপ ছিলো বলে এমনটা করতে পেরেছে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।