ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের ষষ্ঠ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে সপ্তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা পলওয়েল পার্কের ভিতরে ঘুরাঘুরি করার পর,আবারও ওয়াচ টাওয়ারের দিকে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। কিন্তু তখনও প্রচুর মানুষ ছিলো সেখানে। তাই আমরা ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলে গেলাম আরেকটি ঝুলন্ত ব্রিজে। সেই ঝুলন্ত ব্রিজটা ওয়াচ টাওয়ারের একেবারে পাশাপাশি অবস্থিত। তো ঝুলন্ত ব্রিজে উঠে আমি চারপাশের দৃশ্য বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করার পর,বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। যদিও পলওয়েল পার্কের ভিতরে থাকা সেই ঝুলন্ত ব্রিজটা আমার কাছে ততোটা ভালো লাগেনি।
যাইহোক তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে,বোটে চড়ে শুভলং ঝর্ণার দিকে রওনা দিবো। কারণ পলওয়েল পার্ক থেকে বোটে চড়ে শুভলং ঝর্ণার দিকে যেতে বেশ ভালোই সময় লাগবে। তাছাড়া তখন সকাল ১০ টা বেজে গিয়েছিল। বোট চালক আমাদেরকে বলেছিল সেখান থেকে শুভলং ঝর্ণার দিকে যেতে প্রায় ১.৩০ ঘন্টা সময় লাগবে। আমাদের যেহেতু প্ল্যান ছিলো শুভলং ঝর্ণার পানিতে গোসল করে, সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাবো। তাই আমরা শুভলং ঝর্ণার দিকে একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করেছিলাম। তারপর আমরা ফিরে আসার পথে বেশ কিছু স্পটে নেমে ঘুরাঘুরি করবো। তবে শুভলং ঝর্ণা দুটি রয়েছে। বোটে চড়ে যাওয়ার সময় প্রথমে ছোট শুভলং ঝর্ণা, তারপর একটু সামনে গেলেই বড় শুভলং ঝর্ণা রয়েছে।
আমরা প্রথমে ছোট শুভলং ঝর্ণার দিকে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। যাইহোক বোটে চড়ে শুভলং ঝর্ণার দিকে যেতে যেতে, অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে। কারণ কাপ্তাই লেকের চারপাশটা পাহাড় এবং গাছগাছালি দিয়ে একেবারে ঘেরা। সেজন্য কাপ্তাই লেক দর্শনার্থীদের জন্য এক সেরা আকর্ষণ। বোটে চড়ে শুভলং ঝর্ণার দিকে যেতে যেতে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য। তাছাড়া আপনাদের সাথে শেয়ার করার ব্যাপারটা তো রয়েছেই। এককথায় বলতে গেলে, বোটে চড়ে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করেছিলাম। যাইহোক আমরা মোটামুটি ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মধ্যেই শুভলং ছোট ঝর্ণার দিকে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
তখন খুব সম্ভবত বেলা ১১.৩০টা বেজে গিয়েছিল। আমরা বোট থামিয়ে কোথাও নামিনি বলে,মোটামুটি তাড়াতাড়ি সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ সময় বোটের শব্দে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে গিয়েই মনটা একেবারে ভালো হয়ে গিয়েছিল। কারণ ছোট শুভলং ঝর্ণার চারপাশের দৃশ্যটা এককথায় দুর্দান্ত। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। তো আমরা বোট থেকে নেমে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম এবং সেখানকার চমৎকার দৃশ্য অবলোকন করলাম। সেদিন প্রচুর মানুষ ছিলো সেখানে। তাছাড়া একসাথে অনেকগুলো বোট থামানো ছিলো বলে দেখতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২০.১১.২০২৪ |
লোকেশন | রাঙ্গামাটি,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্টটা দেখে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন রাঙ্গামাটি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের চিত্রগুলো। আমারও ইচ্ছে রয়েছে এই সমস্ত জায়গা গুলো একদিন ঘুরতে যাওয়ার। জানিনা কবে সেই দিন আসবে সুযোগ আসবে।
এই পোস্টে শুধুমাত্র রাঙ্গামাটির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি ভাই। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ফটোগ্রাফি পরবর্তীতে দেখতে পাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জায়গাটি তো ভীষণ সুন্দর ভাই। চারিদিকে জল এবং তার চারপাশে সবুজের জঙ্গল। অসাধারণ এমন জায়গায় বেড়াতে যেতে সব সময় ভালো লাগে। আর তার মধ্যে যদি বোটিং করা যায় তবে তো কথাই নেই। আপনারা সবাই মিলে একটা সুন্দর সময় কাটিয়ে এসেছেন। জাফলং ঝর্ণায় যাওয়ার মুহূর্তটা নিশ্চয়ই খুব সুন্দর ছিল।
জাফলং না ভাই শুভলং ঝর্ণা। কাপ্তাই লেক আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভ্রমণ করতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আর এরকম পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে কিংবা সমুদ্রের পাড়ে ভ্রমণ করতে বেশি ভালো লাগে। রাঙামাটিতে অনেক আগে গিয়েছিলাম। আর পতেঙ্গাতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল অনেক দিন আগে। ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। রাঙ্গামাটি আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।