ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (চতুর্থ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের তৃতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সীমার মা বাবা যখন রতনের বাসায় যায়, তখন রতনের মা সীমার মা বাবাকে অনেক কথা শোনায়। এককথায় বলতে গেলে মুখে যা আসে তাই বলে। সীমার কুকর্মের জন্য তার মা বাবাকে অপমানিত হতে হয়। সীমাকে যখন সবকিছু জিজ্ঞেস করা হলো,তখন সে সবকিছু স্বীকার করলো। এমনকি তার পরকীয়া প্রেমিকের নাম এবং কবে থেকে সম্পর্ক সবকিছুই বললো। সীমা এবং সীমার মা বাবা রতনের মায়ের কাছে এসবের জন্য ক্ষমা চায়। এক পর্যায়ে রতনের মা বলে যে রতনকে ফোন দিয়ে কথা বলতে।
রতন যদি এসবকিছু জানার পর সীমার সাথে সংসার করতে রাজি হয়,তাহলে তার কোনো আপত্তি নেই। রতনকে ফোন দেওয়ার পর রতন অনেক চিৎকার চেচামেচি করে এবং রতন বলে যে, সে কিছুতেই সীমাকে মাফ করবে না। অনেক চেষ্টার পরেও যখন রতন এবং রতনের মা সীমাকে মাফ করেনি,তখন সীমাকে তার মা বাবা বাড়িতে নিয়ে চলে যায়। এদিকে সীমা তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর,তার বয়ফ্রেন্ডকে ফোন দিয়ে বলে যে,তাকে বিয়ে করতে। কারণ সে রতনকে ডিভোর্স দিবে। কিন্তু সীমার বয়ফ্রেন্ড তাকে বলে যে তার কোনো চাকরি নেই অর্থাৎ বেকার, তাই সে সীমাকে এখন বিয়ে করতে পারবে না। এসব নিয়ে সীমা এবং তার বয়ফ্রেন্ড এর মধ্যে অনেক ঝগড়াঝাটি হয়। আসলে সীমার বয়ফ্রেন্ড কখনোই তাকে বিয়ে করবে না। সে শুধুমাত্র সীমার সাথে টাইম পাস করে।
কারণ সীমার হাসবেন্ড রতন তো বিদেশে থাকে। আসলে কিছু কিছু ছেলেরা সীমার মতো এমন মেয়েদেরকে টার্গেট করে শুধুমাত্র টাইম পাস করার জন্য এবং টাকার লোভে। যাইহোক সীমা তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিলো। তারপর সীমা বেশ কিছুদিন অনেক ভেবেচিন্তে দেখলো, রতনকে যেভাবে হোক ম্যানেজ করতে হবে। তো সীমা রতনকে ইচ্ছেমতো ফোন দিতে থাকে এবং ফোন দিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে রতনকে কনভিন্স করার চেষ্টা করে। তাছাড়া সীমা সবকিছুর জন্য রতনের কাছে বারবার মাফ চায়। এক পর্যায়ে রতনের মন গলে যায় এবং সে সীমাকে মাফ করে দেয়। আসলে রতন তো সীমাকে অনেক ভালোবাসতো। তাই শেষ পর্যন্ত সীমাকে মাফ করতে বাধ্য হয়। সীমা এবং রতন আগের মতো করে নিয়মিত কথা বলতে থাকে।
সীমা রতনকে ফোন দিয়ে ভালোমন্দ খোঁজ খবর নিতো এবং অনেক কেয়ার করতো। এতে করে রতন ভাবে যে,সীমা মনে হয় সত্যিই তাকে অনেক ভালোবাসে এবং সে হয়তো ফাঁদে পড়ে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে গিয়েছিল। যাইহোক রতন তার মা'কে ফোন দিয়ে বলে যে, সে সীমাকে মাফ করে দিয়েছে এবং তাদের বাসায় গিয়ে যেনো সীমাকে বাসায় নিয়ে আসে। রতনের মা আর আপত্তি করলো না। রতনের মা সীমার বাসায় গেলো সীমাকে নিজেদের বাসায় নিয়ে আসার জন্য। তখন সীমা এবং সীমার মা বাবা গ্যারান্টি দেয় যে,সীমা পরবর্তীতে আর কখনোই এমন বাজে কাজ করবে না। অর্থাৎ সে কখনোই অন্য কোনো ছেলের সাথে আর কথা বলবে না। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৯.১১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। যদিও এর আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সীমা খুবই খারাপ কাজ করেছে, শুধু সীমা কেন বাস্তবেও এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের স্বামী বিদেশে থাকে আর তারা এদিকে পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত থাকে। আমার মনে হয় সীমা যে ভুল করেছে পরবর্তী রতন সীমার মন ভুলানো কথায় গলে গিয়ে ক্ষমা করে হয়তো ঠিক করেনি। দেখা যাক রতনের জন্য আর কি অপেক্ষা করছে। পরবর্তীতে পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আগের পর্ব গুলো সময় পেলে পড়ে নিবেন আপু। যাইহোক গল্পটা পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে একটা সম্পর্ক এই ধরনের বিষয়গুলোর কারণেই ভেঙে যায়। সীমার একেবারেই উচিত হয়নি বিয়ে হওয়ার পর এরকম কাজ করার। এখন তো সে বুঝতে পেরেছে। আর তার হাজবেন্ড তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে দেখছি। এখন কি আবার নতুন করে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হবে, নাকি সীমা নিজের স্বামীর বাড়িতে ভালো থাকবে এটাই দেখার বিষয়। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
আসলে সীমার মতো মেয়েরা কখনোই ভালো হয় না। যাইহোক গল্পটা পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব টা পড়তে। সীমা কিন্তু অনেক খারাপ একটা কাজ করেছে। আসলে মানুষ সুখের মর্যাদাটাই ভালোভাবে বোঝে না। এখনতো তার হাজবেন্ড তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আর আবারো সে সংসার শুরু করেছে, দেখা যাক কি হয়।
সীমা নিঃসন্দেহে খুবই জঘন্য কাজ করেছে। যাইহোক গল্পটা পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।