রেসিপি-টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আচার খেতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। তাই আজকে আমি টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আশা করছি আমার রেসিপি সবার ভালো লাগবে।
টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার:
টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। এই আচারগুলো খুব সহজেই তৈরি করা যায়। আর এই সময় জলপাই খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে মজাদার জলপাইয়ের আচার তৈরি করে ফেলেছি। আচার খেতে যেমন মজা হয়েছিল তেমনি টেস্ট অনেক ভালো হয়েছিল। টক-ঝাল এবং মিষ্টি ফ্লেভারের আচারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর জলপাইয়ের আচার এভাবে টক ঝাল মিষ্টি ফ্লেভারের তৈরি করলে খেতে আরো বেশি টেস্ট হয়। আমার তৈরি করা জলপাইয়ের আচার খেতেও অনেক টেস্ট হয়েছিল। খুব সহজভাবেই এই জলপাই আচার তৈরি করা যায়। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
জলপাই | ১ কেজি |
চিনি | পরিমান মত |
গুড় | পরিমান মত |
সরিষার তেল | ২৫০ গ্রাম |
রসুন | ১/২ চামচ |
পাঁচফোড়ন গুঁড়া | ৩ চামচ |
পাঁচফোড়ন | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
শুকনা মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপসমূহ:
ধাপ-১
জলপাইয়ের আচার তৈরি করার জন্য প্রথমে জলপাই ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। এরপর সিদ্ধ করে নিয়েছি। এবার জলপাই গলিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
জলপাইয়ের কিছু বিচি রেখেছি আর কিছুই ফেলে দিয়েছি। এরপর রোদে শুকিয়ে নিয়েছি। যাতে করে আচার সংরক্ষণ করলে বেশিদিন থাকে।
ধাপ-৩
এবার মসলাগুলো প্রস্তুত করে নেওয়ার জন্য প্রথমে কড়াইয়ের মধ্যে হালকা ভাবে ভেজে নিয়েছি। এরপর গুড়ো করার জন্য প্রস্তুত করেছি।
ধাপ-৪
সুন্দর করে মসলাগুলো প্রস্তুত করেছি। আচারের মসলা খুবই দরকারি। না হলে আচার খেতে একদম ভালো লাগেনা।
ধাপ-৫
এবার একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী সরিষার তেল দিয়েছি। এরপর পাঁচফোড়ন এবং শুকনো মরিচ দিয়েছি।
ধাপ-৬
কিছুক্ষণ সময় মসলাগুলো ভেজে নিয়েছি আর সুন্দর ফ্লেভার তৈরি হয়েছে। এরপর রসুন দিয়ে সুন্দর করে নাড়াচাড়া করেছি। এবার জলপাই গুলো দিয়েছি।
ধাপ-৭
জলপাই ভুনা করে নেওয়ার জন্য তেলের মধ্যে দিয়েছি। আর কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করে ভুনা করেছি।
ধাপ-৮
জলপাই যখন তেলের মধ্যে ভুনা হয়েছে তখন এর মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী চিনি দিয়েছি আর গুড় দিয়েছি। চিনি এবং গুড় দুটো ব্যবহার করলে আচার খেতে বেশি ভালো লাগে। আর কালারটাও সুন্দর আসে।
ধাপ-৯
এবার সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়েছি। এবার কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করে সুন্দর করে মিক্স করে নিয়েছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে।
ধাপ-১০
যখন আচার অনেকটা হয়ে গেছে তখন মসলার গুঁড়ো গুলো এর মধ্যে দিয়েছি। মশলার গুঁড়ো দেয়ার সাথে সাথেই সুন্দর ফ্লেভার তৈরি হয়েছে।
শেষ ধাপ
এভাবে কিছুক্ষণ সময় নেড়েচেড়ে নিয়েছি আর ধীরে ধীরে এই মজার আচার তৈরি হয়েছে। অনেকটা সময় চুলার উপর রেখে হালকা ভাবে নেড়েছি আর তৈরি করেছি এই মজাদার জলপাই আচার।
উপস্থাপনা:
টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার খেতে অনেক মজার হয়েছিল। এই আচার খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। টক ঝাল মিষ্টি ফ্লেভারের যে কোন আচার খেতে ভালো লাগে। আর জলপাই আচার খুব সহজেই তৈরি করা যায় এবং খেতেও ভালো লাগে। আমি বেশ কিছু আচার তৈরি করেছি। যাতে করে পরবর্তীতে সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং মাঝে মাঝে খাওয়া যায়। জলপাই আচার খেতে দারুন ছিল। আশা করছি আমার এই রেসিপি সবার ভালো লেগেছে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আপনার আচার গুলো দেখে তো জিভে জল চলে এলো আপু। আচারের কালারটা অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। টক ঝাল মিষ্টি আচার দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
এই আচারগুলো খেতে সত্যি অনেক মজার হয়েছিল আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/Monira93732137/status/1862392981879398774?t=hdXeO1Xe1JzjX22Fx0lIxw&s=19
আহ্ এত সুন্দর আচার রেসিপি দেখেই তো মন ভরে গেল। জলপাইয়ের আচার আমি ভীষণ পছন্দ করি কয়েকদিন আগেও কিনে খেলাম। অনেক সুন্দর ভাবে জলপাইয়ের আচার রেসিপি, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই রেসিপি দেখে আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই খুশি হলাম। কেনা আচারের থেকে বাড়ির তৈরি আচার খেতে বেশি ভালো লাগে ভাইয়া।
এখন তো পুরো জলপাই এর ভরা মরশুম! জলপাই এর আচার বানানো তুলনামূলক সহজ বলে আমার মতো ফাঁকিবাজ মানুষ ও শুধুমাত্র এই জলপাই এর আচার টাই বানায় প্রতি বছর। আর খেতেও তো মজা!! আপনার মতোন চিনি এবং গুড় দুটোই ব্যবহার করি আমিও। এতে স্বাদ ও দারুণ হয় আবার কালারটাও! আপনার আচারের ফাইনাল লুক কিন্তু মারাত্মক এসেছে আপু!
সত্যি আপু এই সময় জলপাই অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আর সুযোগ পেয়ে আমিও কিছু আচার বানিয়ে ফেলেছি।
এখন জলপাইয়ের মৌসুম।শীতকাল আসলেই জলপাইয়ের আচার করার ধুম পড়ে যাই। জলপাইয়ের আচার খেতে দারুন লাগে। খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার তৈরি রেসিপিটি দেখি লোভ লেগে গেল। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি রেসিপি শিখে নেওয়ার সুযোগ হলো। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু।
শীতকালে জলপাই অনেক বেশি পাওয়া যায়। আর যখন জলপাই বেশি পাওয়া যায় তখন আচার বানালে বেশ ভালো হয় আপু।
কথা হলো এমন মজার আচার কয় বোতল বানিয়েছেন? এক বোতল নাকি দু বোতল? আমার বতোল টা তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিয়েন তো আপু। দেখেই তো জিভে জল টলমল করছে। দারুন মজার একটি রেসিপি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এমন দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি যেকোনো সময় চলে আসেন। আপনাকে পুরোটাই দিয়ে দিব। সব তো আপনার জন্য বানিয়েছি আপু।
জলপাই মরসুম, তাই আচার খেতেও দুর্দান্ত হয়েছে আশা করি। রেসিপি দেখে তো বেশ ভালোই লাগছে৷ আমি যদিও খাইনি কোনদিন জলপাই এর আচার৷ শুনেছি মাত্র।
যে সময় যেই ফল পাওয়া যায় সেই সময় গুলো কাজে লাগানো উচিত। তাইতো আমি জলপাইয়ের আচার বানিয়ে ফেলেছি আপু। একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের আচার দেখেই তো আমার জিভে জল চলে আসলো। দেখেই বুঝতে পারছি এই জলপাইয়ের আচার খেতে দারুন লেগেছিল। জলপাইয়ের আচার আমার নিজেরও খুবই পছন্দের। আমার জন্য কিছুটা আচার পাঠিয়ে দিতেন। একা একা খেলে তো পেট ব্যথা করবে আপু। নিশ্চয়ই এটা খেতে খুব ভালো হয়েছে।
টক ঝাল মিষ্টি আচারগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর জলপাইয়ের আচার খেতেও দারুন হয়েছিল আপু।
এই মজাদার রেসিপিটা যে দেখবে তারই জিভে জল চলে আসবে। আপনি আজকে যে রেসিপিটা তৈরি করেছেন এটা আমার অনেক ফেভারিট। কয়েকদিন আগেও এই মজাদার রেসিপিটা আমার খাওয়া হয়েছিল। আর এখন তো আপনার কাছে দেখে আবারো খেতে ইচ্ছে করছে। এই রেসিপিটা যারা তৈরি করতে পারে না, তারা সহজে আপনার উপস্থাপনা দেখে তৈরি করে নিতে পারবে।
আচার দেখলে সত্যিই জিভে জল চলে আসে। আর খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমার তৈরি করা আচার খেতেও দারুন হয়েছিল ভাইয়া।