লাইফস্টাইলঃ জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন ব্যবহার কারণে জেলা শহরে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গত কয়েকদিন যাবত খুবই ঝামেলার মধ্যে ছিলাম আর এই কারণেই আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হতে পারেনি। গত কয়েকদিন যাবত ছেলে অসুস্থ ছিল আর তাকে নিয়েই ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করার প্রয়োজন হয়েছিল। আসলে সমস্যা যখন আসে একসাথে যেন আসে। এমনিতেই ছেলে অসুস্থ তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তেই আমিও কিছুটা অসুস্থ হয়ে গেলাম। আসলে এটাকে অসুস্থতা বলা হয়তো বা ভুল হতে পারে। আমি একটা দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে গেলাম যেই দুর্ঘটনাতে বিড়ালের আঁচড় খেতে হয়েছে আমাকে। এই বিষয়টা সম্পর্কে আমার খুব একটা বেশি ধারণা ছিল না পরবর্তী সময়ে আমি যখনই অন্যান্য মানুষের কাছ থেকে বিষয়টা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে শুরু করলাম তখন ভুলতে পারলাম যে এটা হয়তোবা অনেকটাই ভয়াবহ একটা বিষয়। সকলের সাথে মতামত করার পরে আমি বুঝতে পারলাম বিড়ালের এই আঁচড়ের কারণে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। যখনই বিষয়টা সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম তখনই যেন মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেল। সকলের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করলাম করনীয় বিষয় নিয়ে। আর সকলের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করার পরেই সিদ্ধান্ত নিলাম পরের দিন সকালেই ভ্যাকসিন নেবার জন্য জেলা শহরে যাব।
সিদ্ধান্ত যেমনটা নিয়েছিলাম কাজেও ঠিক তেমনটাই করেছি। সকালেই জেলা শহরের দিকে রওনা দিলাম। কারণ এই রোগের ভ্যাকসিন শুধুমাত্র জেলা শহরেই পাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের এলাকা থেকে জেলা শহর বেশ কিছুটা দূরে তাই আমার সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে নয়টা অতিক্রম করে গিয়েছিল। আর সেখানে উপস্থিত হবার পরে আমি যা দেখলাম তা দেখে তো রীতিমতো আরো ভয় পেয়ে গেলাম। আপনারা উপরের ছবিগুলো লক্ষ্য করলেই বলতে পারবেন আমার ভয় পাওয়ার কারণটা কি ছিল।
অনেক সময় অপেক্ষা থাকার পরে অবশেষে প্রথম দিনের মতো ভ্যাকসিন এবার কাজ শেষ করতে পেরেছি। আরো দুইদিন আমাকে এই ভ্যাকসিন নেবার জন্য জেলা শহরে উপস্থিত হতে হবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে বিপদ যখন আসে তখন সবদিক থেকেই আসে।
আপনার ছেলে অসুস্থ ছিল জেনে খারাপ লেগেছে।
আবার আপনিও বিড়ালের আঁচড় খেলেন, যাইহোক সঠিক সময়ে টিকা দিয়েছেন এটাই বড় বিষয়।