শীতল আবহাওয়াতে বাড়ির পানে।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- বাড়ির পথে।
- ০৭,জানুয়ারি ,২০২৫
- মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।অনেকদিন হলো বাড়িতে যাওয়া হয়না সবসময় যেন মনটা কাঁদে বাড়িতে যাওয়ার জন্য। শীতের দিনে গ্রামে থাকা মজাই আলাদা। শীতের আসল রূপ এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় গ্রামে গিয়ে। তাইতো হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম দুই দিনের জন্য হলেও বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসব। আমি বাদে প্রায় সবাই বাড়িতেই অনেক মজা করছে চাকরির সুবাদে সময় হয়ে উঠে না জন্য যেতে পারি না।ঢাকাতে তিন দিন প্রচুর শীত পরছিল রোদের দেখায় মিলছে না। তার মাঝেও বাড়িতে যেতেই হবে।
দিনটা ছিল শুক্রবার কাজের চাপের জন্য সেই দিনও আমাকে অফিসে যেতে হয়। ভাবছিলাম কখন কাজ শেষ করবো আর কখন বাড়িতে দৌড় দিব। মোটামুটি কাজ শেষ করতে করতে তিনটা বেজে যায় এখনো রোদ বের হয়নি চারিদিকে কুয়াশাছন্ন শীতল পরিবেশ। যতই শীত পড়ুক না কেন বাড়িতে যাওয়ার জন্য মন উড়ু উড়ু করছে। মোটামুটি হাতের কাজ শেষ করে বাইক নিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। প্রথমে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলাম কোন দিক দিয়ে যাব।কারণ আকাশটা কুয়াশাচ্ছন্ন রোদের দেখা এখনো মেলেনি ভেবেছিলাম হয়তোবা ফেরি চলাচল করবে না। একবার ভাবলাম পদ্মা সেতু হয়ে ঘুরে যাই সে উদ্দেশ্যে রওনা ও করেছিলাম বটে। তবে গাবতলীতে গিয়ে বাস হেলপার এর কাছ থেকে জানতে পারলাম ফেরি চলাচল করছে তাই ফেরি পার হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
ফেরিতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। খুব ভয়ে ছিলাম যদি ফেরি চলাচল না কারে তাহলে আমাকে আবার ফিরে যেতে হবে কারণ ভিন্ন কোন রাস্তা নেই এদিক দিয়ে।যখন গিয়ে দেখি ফেরি চলাচল করছে তখন আর কোন টেনশন কাজ করছিল না। সাড়ে চারটায় বের হয়ে ছয়টার মধ্যে আমি ফেরিঘাটে পৌঁছাতে সক্ষম হই। ফেরি ছেড়ে দিলে পার হতে ৪০ মিনিট সময় লাগে। ফেরিতে উঠে বাইকের উপর বসে বসে অপেক্ষা করছি। মনে বেশ আনন্দ লাগছে অনেকদিন পর বাড়ি যাব সবার সাথে আড্ডা দিব। বাড়িতে গেলে আমি সব সময় বাইরেই ঘুরাঘুরি করি।ভালো লাগে সবার সাথে ঘুরাঘুরি করতে।আমাদের রাত সাড়ে আটটায় বাড়িতে একটা প্রোগ্রাম ছিল সবাই মিলে আমাদের বন্ধু রায়হানের বাড়িতে খেতে যাব মূলত সাড়ে আটটায় প্রোগ্রামটা আমি দিয়েছি কারণ আমার যেতে যেতে সাড়ে আটটা বেজে যাবে। ফেরি পার হয়ে বাইক নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
সাধারণত বাইক নিয়ে যার দ্বারা সময় আমার ব্যাগ পিছনে ঝুলানো থাকে এবার ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। তবে হঠাৎ করেই দেখি পিছনে ব্যাগটা নেই তখনই তো চিন্তা বেড়ে গেল। আমি আইডিয়া করেছিলাম যেখানে বেশি ঝাঁকি লেগেছে সেখান থেকে হয়তো ব্যাগটা পড়ে গিয়েছে। কিছুদূর যাওয়ার পরে যখন পিছনে হাত দিয়ে দেখি ব্যাগটা নেই তখনই বাইকটা ঘুরিয়ে ফেলেছি। কারণ একটু লেট করলেই ব্যাগটা আমি আর পাব না। ব্যাগটা যেখানে পড়েছেন সেটা অতিক্রম করে মাত্র ২০০ মিটার এসেছিলাম। ঘুরে যেয়ে দেখি ব্যাগটা ওখানে আছে তারপরে ব্যাগটা এবার কাধে ঝুলিয়ে এবার যাত্রা শুরু করে রাতের অন্ধকারে। রাতের বেলা বাইক রাইড এর সময় বাইকের আলো কম হলে বেশ ঝামেলা হয়। যাতে এই ঝামেলায় পড়তে না হয় সেজন্য আসার আগে ফগ লাইট লাগিয়ে এনেছি। ফগ লাইটটা উপহার দিয়েছে আমার বন্ধু অংকন অন্য একটি পোস্টে শেয়ার করব।
আমি বাড়িতে পৌঁছানোর টাইম দিয়েছি সাড়ে আটটায় সে অনুযায়ী বাইক ড্রাইভ করে যাচ্ছে। তবে যেটা টাইম দিয়েছি তার থেকে বিশ মিনিট আগেই আমি পৌঁছে গিয়েছি। গিয়ে দেখি সবাই বাজারে দাঁড়িয়ে আছে অনেকদিন পর এভাবে এলাকাতে সবার দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। তারপর আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বন্ধু রায়হানের বাড়ি। তাদের বাড়িতে আমাদের দাওয়াত ছিল বেশ ভালো লাগছিল মুহূর্তটা। শীত যতই পড়ুক বাড়িতে যাওয়ার কথা কিংবা বাড়িতে যাচ্ছি এই কথা ভাবলেই যেন সব শীত উধাও হয়ে যায়। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি এবং একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।