^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

প্রথমে নাটকটি খুব সুন্দরভাবে শুরু হয়ে যাবে এবং নাটক শুরু হওয়ার পরবর্তী সময়ে নায়ক এবং নায়কের বন্ধুদেরকে দেখানো হয়৷ নায়ক তার বন্ধুদের সাথে একটি স্থানে ঘুরতে গিয়েছিল এবং সেখানে গিয়ে সকলে অনেক মজা করছিল। যখন তারা সেখানে গিয়ে পৌঁছায় তারা গুগলে ম্যাপ দ্বারা তাদের ভ্রমণের স্থানে যাওয়ার জায়গা খুজছিল৷ তবে তারা কোনভাবে সেখানে পৌঁছাতে পারছে না। তখন তার যে বন্ধু ছিল সে বলেছিল যে সব কিছুই চিনে৷ তবে সে এখন কোন কিছু চিনতে পারছে না। তাকে জিজ্ঞাসা করার পরে সে বলে যে এই ভিডিওটি যা দেখেছে কিভাবে যেতে হয়। এখন তার ভিডিওর সাথে কোনভাবেই মিল হচ্ছে না৷ তাই সে কিছুই বলতে পারছে না৷

এরপর সেখানে একজন লোক আসে এবং সেই লোককে তারা জিজ্ঞাসা করে৷ সে লোক ওই জায়গার স্থানীয় মানুষ ছিলেন ভভতাই তিনি সকল জায়গাগুলো চিনতেন৷ নায়ক এবং তার বন্ধুরা ঐ ব্যক্তিকে সাথে করে সামনের দিকে এগিয়ে চলে৷ সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল সেখানে নায়ক এবং নায়কের বন্ধুরা গিয়ে অবস্থান করে৷ সেখানে তারা দেখতে পায় যে সেখানকার কিছু স্থানীয় মেয়েরা সেখানে নাচ করছে৷ তখন সেখানে তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সেই বিষয়গুলো দেখছিল এবং নায়ক তার ক্যামেরা দিয়ে এদিক সেদিকের ছবি তুলছিল৷

সে হঠাৎ নায়িকাকে দেখতে পায় এবং নায়িকাকে দেখার সাথে সাথে সেই ছবি তুলতে শুরু করে৷ সেখানে নায়িকার ভাই এসে তাকে চড় মারে৷ এর পরবর্তী সময়ে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়৷ ঝামেলা অনেক বড় হয়ে যায়৷ এর ফলে নায়িকার ভাই নায়কের ক্যামেরা ভেঙে ফেলে৷ এর পরবর্তী সময়ে তাদের সকলকে একটি স্থানে জড়ো করা হয়৷ নায়কের ভাই, নায়িকার বাবা এবং অন্যান্য ব্যক্তি সেখানে ছিল এবং তার বিচার করছিলেন৷ তখন সেখানে নায়ক বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিল এবং নায়কের ভাইও বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিল।

এভাবে কথা বলতে বলতে নায়ক বলে যে তার ক্যামেরা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য৷ তখন নায়িকার ভাই বলে যে তার ক্যামেরা দিয়ে তার বোনের ছবি তোলা হয়েছে তাই ক্যামেরা কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হবে না৷ তখন নায়ক বলে সে ছবি তুলেনি৷ তখন তারা সব কিছু পরীক্ষা করে দেখে যে নায়িকার ছবি এখানে নেই৷ এরপর তাদেরকে ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং নায়কের বন্ধুদেরকে বলা হয় যেন তারা এখন এখান থেকে চলে যায়৷ এরপর তারা সেখান থেকে চলে আসে৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এরপর নায়কের যে বন্ধুরা ছিল সেই বন্ধুদের একজন ঐ নায়কের বান্ধবীর সাথে কথাবার্তা বলত৷ সেখানে গিয়েই তাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। এখনো তারা কথা বলে৷ এরপর নায়ক তার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করে এবং তার কাছ থেকে খোঁজখবর নিতে থাকে৷ এর পরবর্তী সময়ে তারা আবারও সেই স্থানে চলে যায়৷ সেখানে গিয়ে যখন তারা নায়িকার খোঁজ করতে থাকে। তখন কেউই তাদেরকে নায়িকার বাসার খোঁজ দিচ্ছিল না৷ সে কোথায় পড়াশোনা করে সেরকম কোনো খবর ছিল না৷

তখন তারা সেখানে একজন স্থানীয় লোককে দেখতে পায়৷ তাকে তারা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে সে কিছুই জানে না৷ তখন নায়ক অন্য একটি পন্থা অবলম্বন করে। এরপর যখন নায়ক তাকে টাকা দেয় এবং নায়েকের কথা জিজ্ঞাসা করে৷ সে সাথে সাথে সবকিছুই বলে দেয়৷ তাকে আরো একবার টাকা দেওয়ার কারনে নায়ক এবং নায়কের বন্ধুকে সেই ব্যক্তি নায়িকার কলেজের সামনে নিয়ে যায়৷ সেই কলেজের সামনে গিয়ে তারা অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকে৷ যখন নায়ক এবং নায়কের বন্ধু সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তখন নায়িকা এই তাদেরকে দেখে লুকিয়ে যায়।

তারা ভেবেছিল যে নায়ক এবং নায়কের বন্ধু তাদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আবার এখানে চলে এসেছে৷ তবে এর কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছিল তখন নায়ক তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে৷ তারা কথা বলার জন্য বিভিন্নভাবেই কৌশল অবলম্বন করে৷ এরপর তারা নায়িকার নাম জানতে পারে৷ তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের নামও নায়ক জেনে নেয়। এরপর রাতের বেলা তারা দুজনে কথা বলতে থাকে৷ এভাবে কথা বলতে বলতে তাদের সম্পর্ক অনেকটাই গভীর হয়ে যায়৷

এর পরদিন নায়ক নায়িকার বাড়িতে চলে আসে এবং তার বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব জানায়। তখন নায়িকার বাবা বলে যে তার মেয়েকে সে এতদিন যেভাবে দেখেছে তার মেয়ে কিন্তু এরকম নয়৷ সে কথা বলতে পারে না। যখন নায়ক এই বিষয়টি শুনতে পায় তখন সে একেবারে অবাক হয়ে যায়৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়ক বলে যে সে যেহেতু নায়িকাকে ভালোবেসে ফেলেছে এখন যদি নায়িকা বোবা হয় তাহলে তার কোন সমস্যা নেই। সে নায়িকাকেই বিয়ে করবে৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

নায়িকার প্রতি নায়কের এরকম ভালোবাসা যখন নায়িকার ভাই দেখতে পায় তখন সে একেবারে ভালো ব্যবহার করতে থাকে ৷ সে নায়ককে বলে যে তার বোন অনেক ভালো মানুষ৷ সে কখনোই কাউকে কোন ধরনের কষ্ট দেয়নি৷ সে অনেক ভালো ভাবে সকলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে এবং ভালোভাবে সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে তিনি বলেন যেহেতু সে নায়ক শহরে থাকে এবং নায়িকা যেহেতু কথা বলতে পারে না তাই যেন তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব ফিরিয়ে নেয়৷

যাতে করে কোন সমস্যা না হয়৷ এই কারণে যেন নায়ক এখান থেকে চলে যায়৷ তবে নায়ক কোন মতেই বুঝতে রাজি ছিল না৷ সে নায়িকাকে বিয়ে করবে তো করবেই৷ সে এরকম একটি চিন্তাভাবনা তার মাথার মধ্যে নিয়ে রেখেছিল৷ এরপর নায়ক তার মা-বাবাকে এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়৷ যখন সে তার মা-বাবাকে এই কথাটি বলে তখন ওনারা অনেক খুশি হয়ে যায়৷ ছবি দেখার পরে ওনারা নায়িকাকে অনেক পছন্দ করে ফেলেন৷ এর পরবর্তী সময়ে তারা যখন নায়িকার বাড়িতে আসে এবং নায়িকাকে কথা বলার জন্য বলে তখন নায়িকার বাবা বলে যে তার মেয়ে কথা বলতে পারে না এই বিষয়টির নায়ক কেন তার পিতা মাতাকে জানায়নি৷

তখন নায়কের বাবা সেখানে কিছুই বলেনা। এরপর উনারা সবাই বাসায় চলে আসে। বাসায় চলে আসার পরে নায়ককে জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে এরকম বোবা একজন মেয়ের সাথে সে কেন ভালোবাসা করেছে এবং ভালোবাসা করলেও এখন তার সাথে বিয়ে তারা কোনভাবে দিতে পারবে না৷ যখনই নায়ক এই বিষয়টি শুনতে পায় তখন নায়ক তাদেরকে অনেক ধরনের কথা বলতে থাকে এবং বলে যে সে নায়িকাকে বিয়ে করবে৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এরপর যখন নায়িকা এই বিষয়টি শুনতে পায় যে নায়ক এইখান থেকে চলে গিয়েছে এবং তার সাথে কোন মতেই তার বাবা বিয়ে দিবে না তখন নায়ক আবার এখানে চলে আসে৷ নায়েকের সাথে দেখা করে এবং তারা অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ নায়িকা বলে যে সে বোবা হওয়ার কারণে আর এখন বিয়ে হচ্ছে না৷ দুজনেই অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়ক বলে যেহেতু নায়িকা কথা বলতে পারে না এই কারণে নায়কের সাথে তার বিয়ে হচ্ছে না৷

তাই নায়ক এখন থেকে আর কথা বলতে পারবে না৷ তাই সে তার জিহ্বা কেটে ফেলে৷ সে বোবা হয়ে যায়। যখন কোন ধরনের কথাবার্তা বলতে পারেনা তখন সে নায়িকার বাসায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে নায়িকার যে ভাই রয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে ইশারার মাধ্যমে৷ সে জিজ্ঞাসা করে যে নায়িকা কোথায়৷ তখন সে বলে যে নায়িকার জন্য সে তার জিহ্বা কেটে ফেলেছে৷ তখন নায়িকার ভাই তাকে একটি কবরের সামনে নিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে বলে যে তার জন্যই যখন সে নায়ককে পায়নি এই কারণেই সেই আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে৷ নায়ক যখন সেখানে আসে তখন সে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে।

এর পরবর্তী সময়ে নায়িকার বাবা সেখানে আসে এবং নায়িকার বাবার সাথেও নায়ক অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে পরবর্তী সময়ে নায়িকার বাবা তাকে একটি ডাইরি দেয় এবং সেই ডাইরির মধ্যে অনেক কিছুই লেখা ছিল৷ নায়িকার সব কথাগুলো সেখানে লেখা ছিল৷ নায়িকা বলে যেহেতু সে নায়ককে পাবেনা তাই সে মাধবীলতা ফুল খেয়ে মারা গিয়েছে৷ নায়ক অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে এবং এভাবেই দুঃখের মাধ্যমে নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷

আমার ব্যক্তিগত মতামত।

খুবই সুন্দর একটি নাটক এটি৷ যখন প্রথমে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং তারা একে অপরের সাথে কথা বলে, প্রতিনিয়ত তারা কথা বলতে থাকে৷ যখন শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ে পর্যন্ত এই সম্পর্ক চলে যায় এর পরবর্তী সময়ে যখন নায়কের মা-বাবা বলে যে নায়িকার সাথে তার বিয়ে দিতে পারবে না তখন তারা দুজনেই অনেক কষ্ট পেতে থাকে৷ তখন নায়িকা এত বেশি পরিমাণে কষ্ট পায় যা বলে বোঝানো যাবে না৷ একইসাথে নায়কও অনেক বেশি কষ্ট পেতে থাকে। কারণ এরকম একটি ঘটনা তার জীবনে হয়ে যাবে সে কখনো এই বিষয়টি ভাবতে পারেনি৷ যেহেতু নায়িকা কথা বলতে পারে না এই কারণে তার সাথে নায়কের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷ তাই নায়কও নিজের জিহ্বা কেটে ফেলে৷ সেও বোবা হয়ে যায়৷

তারপরেও শেষ পর্যন্ত যখন সে নায়িকাকে পেল না তখন সে দুঃখ কষ্টে একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়৷ আসলে বাস্তবে জীবনেও এরকম অনেক ঘটনা দেখা যায় ৷ এর মাধ্যমে অনেক মানুষ অনেক দুঃখ কষ্টের স্বীকার হয়ে থাকে৷ যখন ভালোবাসার মানুষ একে অপরকে না পেয়ে অনেক দুঃখ কষ্টে ভুগতে থাকে তখনই তারা তাদের জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে থাকে৷ ঠিক এরকম অনেক ঘটনা রয়েছে যা আমরা দেখে আসছি৷ অনেক ঘটনা এরকম হয়েছে একজন আরেকজনকে না পাওয়ার দুঃখে দুজনেই আত্মহত্যা করে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে৷ আসলে এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে তা সেক্ষেত্রে আমাদেরকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে এবং যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।

৯.৮/১০