শীতের অবস্থা!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের সাথে একটি ব্যাপার শেয়ার করি। যেটা খুব রিসেন্ট আমার সাথে ঘটেছে এবং ভাবলাম যে এটা আপনাদের সাথে শেয়ার করা উচিত। যাই হোক, আসলে ব্যাপারটি খুব সামান্য তাও শেয়ার করি। কারণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যাপার আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়।তো সে জায়গা থেকে আসলে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো এবং ভাবলাম যে এটা হয়তো আপনাদের জন্য কিছুটা হলেও কাজে লাগতে পারে।

ব্যাপারটি হলো বর্তমান এর পরিস্থিতি নিয়ে। অর্থাৎ এইযে শীত গ্রীষ্ম এই ব্যাপার গুলো নিয়ে আমরা যারা শহরের দিকে রয়েছি। আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে, আসলে শীত খুব একটা আছে নি শহরে। অন্তত চট্টগ্রাম শহরের যদি কথা আমি বলি। তাহলে সত্যিকারের শীতের প্রভাব সেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তার উপরে আসলে এখানে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। অর্থাৎ আমি নিজের ঘরের কথাই বলছি। কারণ সত্যিই এতো শীত এখনো আসেনি।

কিন্তু গতকাল আমি ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম অর্থাৎ প্রতিদিন ই যাই। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দুপুরে ফিরে আসা হয়।যেহেতু ক্লাস শেষ হয়ে যায়। কিন্তু গতকাল ক্লাস শেষ হতে প্রায় ৬.৩০টা বেজে গিয়েছিলো। তো তখন ই মাত্র বাস ছেড়েছিলো।কিন্তু তখন যেটার সম্মুখীন হলাম, সেটার জন্য একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না। আপনার এখানে অনেকেই জানেন যে, আমার ইউনিভার্সিটি একেবারে গ্রামের দিকে। অর্থাৎ অনেক বড় জায়গা জুড়ে যেহেতু এই ইউনিভার্সিটিটি করা হয়েছিলো। সেক্ষেত্রে আসলে শহরের দিকে করাটা সম্ভব ছিলো না। সাধারণতো যে কোনো বড় ইউনিভার্সিটিগুলো হয় ই শহরের বাইরে, সেটা সকলেই জানেন।আর আমাদের ইউনিভার্সিটির আবার পুরোপুরি ভাবে পাহাড়ের উপরে। যাই হোক, সেখানে যে এতো মারাত্মক শীত পরবে, এটার কোনো ধারনা আমার ছিলো না।

অর্থাৎ ক্লাসের মধ্যে বুঝতে পারছিলাম না। যেহেতু সবকিছু বন্ধ ছিলো। কিন্তু ক্লাস থেকে বের হয়ে যখন বাইরে পা রাখলাম। তখন আসলে পুরোপুরি মনে হচ্ছিলো যেনো শরীরের ভেতরের হাড় সহ কাঁপছে।অর্থাৎ আমি এ কারণেই এই পোস্টটি লিখলাম যাতে, কেউ যদি গ্রামে যান। তাহলে অবশ্যই শীতের কাপড় নিয়ে যাবেন। কারণ সেখানে কি পরিমান শীত যে পরছে। সেটা আমি আসলে সত্যি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। অর্থাৎ বলা চলে একেবারে হাড় কাঁপুনি শীত।শীতের সময় এ শহর আর গ্রামে যে এতো তফাৎ হতে পারে, সত্যি এটা মাথায় আসে নি। যাইহোক,এরপর আসলে অনেক কষ্টে বাড়ি এসেছিলাম। কারণ বাসে তো আরো অসম্ভব শীত। আর অনেক জোরে যেহেতু বাস চলে। সেক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন, কি পরিমান ঠান্ডা লেগে ছিলো সেদিন।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।