সোহাগের স্বপ্ন পূরণের গল্প (তৃতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তারপরেও সে একদিন সমস্ত লাজ-লজ্জা কাটিয়ে তার মায়ের কাছে আবদার করলো কিছু ক্রিকেট সরঞ্জাম কেনার জন্য। তার মা তাকে বুঝিয়ে বলে যে তাদের পক্ষে ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম কেনা খুবই কষ্টকর। কারণ সোহাগের বাবা একটা ছোট চাকরি করে। যে অল্প কটা টাকা সে বেতন পায় সেই টাকা দিয়ে তাদের চলতেই কষ্ট হয়। সোহাগ সবকিছু বুঝতে পেরে তার মাকে আর কিছু বলে না। কিন্তু সোহাগ জানে এই সরঞ্জাম গুলো ছাড়া তার পক্ষে সামনে আগানো মুশকিল হবে। একদিন কথায় কথায় সোহাগ তার সেই প্রতিবেশীর সাথে সরঞ্জামগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করে।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240823_000814_0000.png

তখন সোহাগের সেই প্রতিবেশী তাকে আশ্বাস দেয় তার ক্রিকেট খেলার জন্য কিছু সরঞ্জাম যোগাড় করে দেয়ার। কয়েকদিন পরে সোহাগের সেই প্রতিবেশী তার নিজের কিছু পুরনো সরঞ্জাম আর স্টেডিয়াম থেকে কিছু নতুন সরঞ্জাম এনে সোহাগ কে দেয়। যদিও সেগুলোর মান খুব একটা ভালো ছিলো না। তারপরেও সেগুলো পেয়ে সোহাগ খুবই খুশি হয়। সরঞ্জামগুলো পাওয়ার পরে সোহাগ নতুন উদ্যমে আরও পরিশ্রম করা শুরু করে। একটা সময় সে কোচের খুবই প্রিয় পাত্র হয়ে যায়। কারণ কোচ খেয়াল করে দেখেছে সোহাগের মতো পরিশ্রমী আর কোন ক্রিকেটার তার ক্যাম্পে নেই।

তাছাড়া সে আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছে। সোহাগের ভেতরে শেখার ইচ্ছাটা প্রবল। কিছুদিন কোচিং করার পরেই সোহাগ তার জেলার ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়ে যায়। তবে প্রথম বছরে তার পারফরমেন্স খুব একটা ভালো হয় না। সোহাগ জেলা দলে সুযোগ পাওয়ার পর অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করে দ্রুত কোনো বড় একটা দলে সুযোগ পাবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ

Sort:  
 4 days ago 

সোহাগ কোচের প্রিয় পাত্র হয়ে যায়,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া সোহাগ তার জেলার ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছে,এটা নিঃসন্দেহে খুবই ভালো একটা সুযোগ সোহাগের জন্য। আশা করি পরবর্তীতে সোহাগ ভালো পারফরম্যান্স করতে সক্ষম হবে। সোহাগের জন্য শুভকামনা রইলো।