যুদ্ধ নয় শান্তি চাই (শেষ পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


চারদিকে গুলির আওয়াজ আর লাশের ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটা আমার দেশ নয়। এখন একটা জিনিসই কামনা করি। সেটা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এই আন্দোলনের একটা সমাধান আসুক। দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কোনো দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে যেনো তারা তাদের কর্তব্য পালন করে। কারণ খেয়াল করে দেখলাম আজ দেশের সাধারণ মানুষজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে বিবেচনা করছে। আর সরকারি দল সুকৌশলে এই ব্যাপারটা ঘটিয়েছে।


1000010307.png

যদি এমনই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে একসময় দেশের মানুষের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর থেকে তাদের ভরসা পুরোপুরি উঠে যাবে। যেটা একটা দেশের জন্য খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। সেই সাথে রাস্তাঘাটে আর্মি উপস্থিতি নিয়েও দেশের মানুষজন খুব চিন্তিত। আমাদের দেশের সেনাবাহিনী কখনো দেশের মানুষের বিপক্ষে দাঁড়ায়নি। কিন্তু এবার সরকারি দল চেষ্টা করছে তাদেরকেও জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে।

আর যদি সেটা হয় তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। যেটা কিছুতেই থামানো যাবে না। আর একবার দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে আমাদের দেশটা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না এই ঘটনাতে শুধু যে দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জড়িত তা নয়। আশেপাশের আরো অনেকেই তাদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করবে এই ঘোলাটে পরিস্থিতির ভেতরে। যার ফলে যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয় ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। তাই দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আকুল আবেদন যে আপনারা যতো দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করুন। দেশের মানুষকে শান্তিতে বাঁচতে দিন।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 3 days ago 

আমাদের দেশের যে একটা বাজে পরিস্থিতি হয়েছিল কিছুদিন আগে,সেটা কখনো ভুলবার মতো নয়। সবাই খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলো। যাইহোক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে,মানুষজন এখন অনেকটা স্বস্তিতে জীবনযাপন করছে।