ইন্টারনেট

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ইন্টারনেট সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে আগে মানুষ কখনো নিজেদের সমাজের বাইরের অন্য কিছু সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। কারণ এক দিক থেকে তাদের সমাজের থেকে বাইরে যেতে হলে অনেক দূর পথ অতিক্রম করতে হতো এবং তারা কিন্তু তাও অন্যান্য জায়গা সম্পর্কে তেমন কোন সঠিক ধারণা কখনো পেতো না। কারণ তখনকার সময়ে আধুনিক বিজ্ঞানের এতসব আবিষ্কার তখনো হয়নি। আসলে আধুনিক বিজ্ঞানের এইসব আধুনিক আবিষ্কারের ফলে যে কতটা ভালো তা আমরা বর্তমানে বুঝতে পারছি। কিন্তু আগেরকার সময় আপনার একটা জিনিস দেখেছেন যে মানুষ মানুষের সাথে কমিউনিকেশন করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ছিল। তার মধ্যে একটি মাধ্যম হলো চিঠি। আসলে সেই কবে শেষ চিঠি দেখেছিলাম তাও এখন আমাদের মনে নেই।


কারণ বর্তমান সময়ে মোবাইলের মত এত সুন্দর একটা যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে সারা পৃথিবীতে যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আসলে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেটের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের বিভিন্ন দেশের সকল তথ্য অনায়াসে জানতে পারি। আসলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তো কল করা যায় এবং যদি মোবাইল ফোনের সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয় তাহলে তো কল করার পাশাপাশি আমরা যে কোন ব্যক্তিকে যে কোন জায়গায় তার ভিডিও দেখতে পাই। অর্থাৎ আমি এখানে ভিডিও কলের কথা বলছি। আসলে ইন্টারনেটের আবিষ্কার বিজ্ঞানের সবথেকে অন্যতম একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার।

এছাড়াও এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যেকোনো কাজ অনেক দ্রুত অল্প সময়ে করতে সক্ষম হচ্ছে। কারণ একজন ব্যক্তি তার ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কাজ করতে পারতে এই ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে। আসলে একটা অবাক করার মত বিষয় না। আমাদের আগের যারা রয়েছেন অর্থাৎ আমাদের ঠাকুর দাদা, ঠাকুর মা উনারা কিন্তু এইসব ইন্টারনেটের ব্যবহার মোটেও বুঝতে পারেন না। এছাড়াও তারা যখন তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনে বাইরের কোন কিছু দেখতে পায় তখন তারা সত্যিই অবাক হয়ে যায়। কারণ সেই সময় তাদের এই মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছিল না অর্থাৎ মোবাইল ফোনের আবিষ্কার তখন হয়নি।


আর মোবাইল ফোনের পরপর এই ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষকে আরো অনেক গুণ সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। প্রতিটা জিনিসের যেমন ভাল দিক রয়েছে আবার তেমনি খারাপ দিক কিন্তু রয়েছে। আসলে আমার মনে হয় যে আমরা যদি এই খারাপ দিকগুলো ত্যাগ করি তাহলে প্রতিটা জিনিসের ভালো দিকের ব্যবহার করে আমরা জীবন লাভ করতে পারব। আসলে এই ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম করতে বর্তমান সময়ে। এই ইন্টারনেট মাধ্যমে বিভিন্ন অপসংস্কৃতি প্রবেশ করেছে সমাজের মাঝে। আসলে কোন কোন দেশে যে জিনিসটাকে অপসংস্কৃতি বলা হয় না সেই সব জিনিসগুলো আমাদের দেশে অপসংস্কৃতি হিসেবে ধরা হয়।


আসলে মানুষের দেশ ভেদে মানুষের পোশাক-আশাক এবং সংস্কৃতি আলাদা ধরনের। আর এর ফলে বর্তমান সময়ের বাচ্চারা এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন খারাপ জিনিস শিখছে। আসলে এই জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের অভিভাবকদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কারণ ইন্টারনেটের এই খারাপ মাধ্যম গুলো সারা জীবন থেকে যাবে। আর আমরা যদি এই খারাপ মাধ্যম গুলো অ্যাভয়েড করতে চেষ্টা করি তাহলে হয়তোবা এইসব বাচ্চাকাচ্চারা এসব ইন্টারনেট থেকে ভালো জিনিস গুলো দেখে ভালো জিনিস শিখবে। আর এরা নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবে এই ইন্টারনেট থেকে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।