দেশের শ্রমবাজারের উপর কুচক্রীদের কালো থাবা (শেষ পর্ব)
যে কাজের কথা বলে বা যে পরিমাণ বেতনের কথা বলে তাদেরকে বিদেশে নেয়া হয়। তারা বেশিরভাগ সময়ই সেই ধরনের কাজ বা বেতন পায় না। যার ফলে তারা যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে বিদেশে যায়। সেই কারণে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এখন এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। জনগণের ভেতর সচেতনতা তৈরি করতে হবে। দালালদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মানব পাচারকারী দলগুলোকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমূলে বিনাশ করতে হবে। আর সবচাইতে ভালো হয় যদি সরকার নিজের দায়িত্বে শ্রমিক রপ্তানি শুরু করে। তাহলে এখানে আর দালাল চক্রের দৌরাত্ম থাকবে না। তখন মানুষ খুব অল্প টাকায় বিদেশে যেতে পারবে।
বাংলাদেশের জন্য বিদেশের শ্রমবাজার ধরতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দেশের আয়ের অন্যতম বড় একটা উৎস হচ্ছে এই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এখন এই কুচক্রী মহলের কারণে যদি একে একে আমাদের শ্রমবাজারগুলো হাতছাড়া হয়ে যায়। তখন দেশ গভীর সংকটে পড়বে। দেশের অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য হলেও সরকারকে এখনই এই বিষয়ে তৎপর হতে হবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই সরকারকে এই ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নয়তো বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। তাছাড়া রেমিট্যান্স নিঃসন্দেহে অনেক কমে যাবে। যাইহোক দারুণ লিখেছেন। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।