জানা অজানা মহাবিশ্ব
আমাদের এই মহাবিশ্বের কতই না রহস্যময় বিষয় রয়েছে। সেসব রহস্যময় বস্তু সম্পর্কে আমরা প্রতিনিয়তই জেনে আসছি এবং ভবিষ্যতে আরো নতুন তথ্য আমরা পাব। তবে এই যে বিষয়গুলো যে আমাদের সামনে আসছে এটা কিন্তু একদিন নিয়ে আসেনি। বরঞ্চ হাজার হাজার বিজ্ঞানীরা শত শত বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে এই আজকের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এসেছেন। সেসব বিষয়গুলো কিন্তু আমরা মাঝে মাঝেই ভুলে যাই। বর্তমানে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি কিন্তু। এই মোবাইল ফোন ব্যবহারের যে টেকনোলজি সেটা কিন্তু আমরা এখন বুঝতে পারি না। এটা এখন সাধারন হয়ে গেছে।
আমাদের এই সৌরজগতেই এমন অনেক রহস্যময় বস্তু রয়েছে যে, সে যেসব সম্পর্কে আমরাই বর্তমানে খুব বেশি একটা ধারণা রাখি না। কিন্তু সেসব বিষয়ে আমাদের ধারণা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন একটি ক্যালকুলেশনের ভুলের কারণে কিংবা আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জানার জন্য এই বিষয়গুলো আমাদের সম্পূর্ণ জানা দরকার। এই তো মাঝেমধ্যেই শোনা যায় এই পৃথিবীর অনেক পাশ দিয়ে কোন একটি বড় ধূমকেতু কিংবা বড়সড় পাথর চলে যায়। এই বিষয়গুলো আমরা কিভাবে জানতে পারি?
নাসার একটি প্রজেক্ট রয়েছে। প্রজেক্ট এর নামটা ঠিক মনে পরছে না। সেই প্রজেক্ট এর আন্ডারে পৃথিবীর আশেপাশের যত ধরনের বড় ধুমকেতু কিংবা পাহাড়-বরফের টুকরা রয়েছে সে সবগুলো পৃথিবীর বুকে আঘাত হানবে কিনা সেই বিষয়ে সব সময় তারা লক্ষ্য রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমাদের কাছে শেয়ার করেন। এছাড়াও কিছু কিছু ধূমকেত রয়েছে যেগুলো প্রায় কয়েক বছর পর পর আমাদের পৃথিবীর অনেক পাশ দিয়ে চলে যায়। তারমধ্যে হ্যালির ধূমকেতু অন্যতম।
বিজ্ঞানীরা কিছু বছর আগেই একটি গবেষণার রিপোর্ট পাবলিস্ট করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল আমাদের সৌরজগতের যে অবস্থান এ সেখানে পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মাঝখানে একটি গ্রহ থাকার কথা। যার কাল্পনিক নাম দিয়েছিল থিয়া গ্রহ। কোন এক সময় সেই থিয়া গ্রহ এবং পৃথিবী একসাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং এরই ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ সৃষ্টি হয়। এর কারণেই পৃথিবীর এবং চাঁদের মধ্যে অনেকটাই মিল পাওয়া যায়। যদিও চাঁদের মধ্যে তেমন কোন বায়ুমণ্ডল নেই তাই সেখানে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি প্রভাব ফেলে। সেখানের মাটি ও রেডিয়েশন যুক্ত হয়ে যায়। এর ফলে সেখানে হিলিয়ামের আইসোটোপ ৩ উৎপন্ন হয়েছে যা জ্বালানির জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেকটা নিউক্লিয়ার ফ্রিস্টনের মত কিন্তু আমরা জানি নিউক্লিয়ার ফিকশন এর মাধ্যমে রেডিয়েশনটা বের হয়। কিন্তু আমরা যদি এই হিলিয়ামের আইসোটোপ ৩ ব্যবহার করে থাকি সেক্ষেত্রে আমরা প্রচুর এনার্জি পেতে পারি তবে সেখানে কোন রেডিয়েশন বের হবে না। এটা আমাদের জন্য একটি আশীর্বাদস্বরূপ।
তাইতো ৫০ বছর পরে আবার চাঁদে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের মাধ্যে। মূলত এটাই তার মূল কারণ। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার পোস্টটি খুবই চিন্তাশীল এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি কথা বলতে, মহাবিশ্বের রহস্যময়তা আমাদের জন্য এক অজানা দিগন্তের মতো, যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য ও আবিষ্কার আমাদের সামনে আসে।
আপনি যে থিয়া গ্রহের কথা বলেছেন এবং চাঁদে হিলিয়ামের আইসোটোপ ৩-এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন, তা সত্যিই অবাক করার মতো। বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি ও প্রতিযোগিতা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করবে, বিশেষত জ্বালানি উৎপাদন ও মহাকাশে আমাদের উপস্থিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।
আপনার পোস্টটি আমাদের বিজ্ঞান ও মহাবিশ্বের প্রতি আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তোলে। অসাধারণ লেখা।