হঠাৎ কেনাকাটার মূহুর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

হঠাৎ কেনাকাটার মূহুর্ত

1000013704.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটু কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন ধরে দাঁতের কাজ করছি। আর দাঁতের কাজ অনেক সময়ের ব্যাপার তাই মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।তাই গতকাল ও ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে দেখি ডাক্তার আসতে আরো ঘন্টা খানেক সময় লাগবে।তারপর ডাক্তারকে ফোন করলাম তখন ডাক্তার বললো আরো আধা ঘণ্টা পরে আসবো।এদিকে অনেক গরম আবার চেম্বার বন্ধ পড়লাম মহা বিপদে।তারপর পাশেই রয়েছে নিউ মার্কেট তাই ভাবলাম মার্কেটে একটু ঘুরে আসি। আসলে মার্কেটে গেলে কোন জিনিস পছন্দ হলে না নিয়ে পারা যায় না। যদিও আমার কেনার তেমন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু এমন কিছু জিনিস পছন্দ হলো না কিনে আর পারলাম না।তবে হঠাৎ কেনায় আমার মনে হয় বেশি ভালো লাগে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000013704.jpg

1000013705.jpg

প্রথম গিয়ে দাঁড়ালাম বাচ্চাদের গেঞ্জি প্যান্ট এর দোকানে। আসলে নতুন কিছু দেখলে কিনতে মন চায়।যদিও ঈদে বাচ্চাদের জন্য নতুন সব কিছু কেনা হয়েছে। আসলে আমি প্রথমে দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখতে গিয়ে পছন্দ হলে আর না কিনে পারা যায় না। তারপর কয়েকটি গেঞ্জি প্যান্ট পছন্দ হলে তখন আমি দাম বললাম কতো করে। দোকানার ২০০ টাকা করে বললো কিন্তু ঈদের আগে একই ধরনের গেঞ্জি আমি কিনেছিলাম ২০০ টাকা করে। তারপর আমি ১২০ টাকা বলাতে দোকানদার দিয়ে দিল। তখন আমি আবার চারটি গেঞ্জি কিনলাম। আসলে ঈদের আগের দাম আর পরের দাম অনেক ডিফারেন্স। তারপর দুটি প্যান্ট কিনলাম।

1000013456.jpg

1000013455.jpg

1000013457.jpg

তারপর ভাবলাম অনেক গরম তাই নিজের জন্য কিছু গজের কাপড় কিনেছি। আসলে বয়েল জামা গুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি সব সময় পছন্দ অনুযায়ী গজের কাপড় কিনি বাসায় পড়ার জন্য। আমার কাছে মনে হয় গরমে এই সুতি জামার বিকল্প নেই। তারপর পছন্দ অনুযায়ী কয়েক ধরনের গজের কাপড় নিলাম। আসলে মার্কেটে গেলে যা হয় আরকি। যদিও কেনাকাটার কখনো শেষ হয় না। তবে টাকা থাকলে পছন্দ অনুযায়ী সকল কিছু কেনা যায়। যদি ও আমার অনেক দামী জিনিস কেনার সামর্থ্য নেই তবে টুকিটাকি জিনিস নিজের পছন্দ মতো কিনতে পারি।

1000013459.jpg

1000013458.jpg

তারপর আবার আমার বোন বললো তারজন্য দুটি গেঞ্জি আনতে। কি আর করা তারপর আবার ঘুরে অন্য দোকানে গিয়ে দুটি গেঞ্জি কিনলাম। আসলে মার্কেট অনেক ফাঁকা ছিল বিধায় সব কিছু তারাতাড়ি কিনতে পেরেছি। তবে ঈদের পর দেখে হয়তো মার্কেট অনেক ফাঁকা। আবার ঈদের আগের থেকে দাম একটু কম।

1000014327.jpg

1000014329.jpg

1000014328.jpg

1000014330.jpg

তারপর আমার মেয়ে স্যান্ডেল কেনার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছে। আসলে বাচ্চাদের যতই স্যান্ডেল থাক না কেন স্কুলের নতুন একজনকে দেখলে তারমতো কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আসলে তার বান্ধবী এমন ধরনের স্যান্ডেল কিনছে তাই সেই স্যান্ডেল কেনার জন্য ঘুরছে। আসলে ঈদের আগে এবার স্যান্ডেল কেনা হয়নি। তাই ভাবলাম ২ জোড়া স্যান্ডেল কিনে দেই।আসলে স্যান্ডেল পছন্দ হলেও সাইজ হচ্ছিল না। তবে আমার মেয়ে সেই স্যান্ডেল নেবে যেটা পায়ে লাগে না। তারপরে একই ধরনের স্যান্ডেল অন্য কালার নিলাম। দাম যাইহোক স্যান্ডেল গুলো বাচ্চাদের পছন্দ মতো কিনতে পেরেছি।

1000013700.jpg

1000013698.jpg

1000013702.jpg

তারপর আরো কয়েক দোকান ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সত্যি বলতে কিনতে না গিয়ে ও অনেক কিছু কিনতে হলো।তবে এবার অনেক আরামে কেনাকাটা করেছি। যেমন পছন্দ মতো জিনিস পেয়েছি তেমনি মার্কেটে কোন ভীর ছিল না। যাইহোক না কিনতে গিয়েও বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। একদিকে সময় ও পার হলো অন্য দিকে কেনাকাটা ও হলো।যাইহোক হোক বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 days ago 

দাঁতের সমস্যা হলে সহজে ঠিক হতে চায় না। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রিটমেন্ট করতে হয়। আর কিছুদিন পরপর ডক্টর দেখাতে হয়। আপনি আপনার শপিং করার মুহূর্তগুলো সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।

 9 days ago 

জি ভাইয়া বারবার যেতে হয় আরকি,ধন্যবাদ আপনাকে।

 10 days ago 

যতটুকু জীবন অতিবাহিত করেছি ততটুকু জীবনের মধ্যে বাধা-বিপত্তি এবং অসুস্থতা অতিক্রম করে এসেছি। তবে দাঁতের ব্যথার মতো যন্ত্রনা অন্য কোন ব্যথায় নেই, এই বিষয়টি আমি ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। তারপরও দাঁতের ডাক্তার দেখাতে গিয়ে হঠাৎ করেই শপিং করলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো, আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।

 9 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু দাঁতের ব্যথার মতো সমস্যা আর কিছুতেই নেই। ধন্যবাদ আপু।

 10 days ago 

দাঁতের চিকিৎসা অনেক সময় সাপেক্ষ আপু।ডাক্তার না আসায় আপনি মার্কেটে ঘুরে ঘুরে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখছি। বাসায় ব্যবহারের জন্য আমিও সবসময় গজ কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেই। আপনার কেনাকাটার মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনার কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 9 days ago 

সত্যি আপু আমার কাছে ও গজ কাপড়ের জামা গুলো বেশ ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।

 10 days ago 

আপনার কেনাকাটার মুহূর্তটা বেশ দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই কেনাকাটার মুহূর্তে বুঝতে পেরে। বাচ্চারা বাজারে গেলে একটু এক্সাইটেড বেশি থাকে। তাদের আনন্দে নিজের আনন্দ। যাই হোক বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন দেখি অনেক ভালো লাগলো।

 9 days ago 

জি ভাইয়া বাচ্চাদের আনন্দ নিজের আনন্দ, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 9 days ago 

অনেকদিন ধরে দাঁতের কাজ করছি।

আপনি দাঁতের কাজেও নিযুক্ত রয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।যাইহোক কেনাকাটা করতে অনেক ভালো লাগে আমারও।বাচ্চাদের জিনিসগুলো অনেক আকর্ষণীয় দেখতে লাগে।আর দামাদামি করে জিনিস কিনলে কমেও কেনা যায়।অনেক কিছু কিনেছেন দেখছি, ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 days ago 

জি আপু বাচ্চাদের জিনিস গুলো অনেক আকর্ষণীয় থাকে, ধন্যবাদ আপু।

 9 days ago 

আপু দাঁতের সমস্যা জলদি ঠিক হয় না। আপনি দেখতেছি ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ভালই কেনাকাটা করেছেন। তবে ঈদের সময় থেকে ঈদের পরে সব কিছু দাম একটু কম থাকে। আর আপনি সেই সুবাদে ভালই কেনাকাটা করেছেন। তবে হঠাৎ করে কেনাকাটা করতে আমি নিজে খুব পছন্দ করি। যাইহোক খুব সুন্দর করে কিনা কাটা মহত্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 8 days ago 

ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।