আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটু কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে। কিনতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি।তবে কিনতে হলে সত্যি টাকা পয়সা প্রয়োজন। আর বর্তমান সবকিছু যে দাম তাতে প্রয়োজন ছাড়া শখের জিনিস কেনা বড় কষ্টকর। আর যতই কষ্টই হোক না কেন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই হয়। এখন সব জায়গায় কম বেশি শীত পড়ে গিয়েছে। আসলে আমরা গরমের সময় কিছু না লাগালেও শীতের সময় মুখ বা শরীরে একটু কিছু না দিলে ভালো লাগে না। কয়েক দিন ধরে অনেক ব্যস্ত থাকার জন্য আর বাজারে যেতে পারিনি। তবে গতকাল শনিবারে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ ছিল তাই সকাল সকাল প্রাইভেট পড়িয়ে মার্কেটে গিয়েছিলাম শীতের জিনিস কেনার জন্য। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আসলে প্রথমে আমি গিয়েছিলাম আমার এক পরিচিত ভাইয়ের দোকানে। পরিচিত বলতে সব সময় তার দোকান থেকে কেনাকাটা করি সেই পরিচয়ে পরিচিত। শুধু শীতের জিনিস বললে ভুল হবে বাচ্চাদের অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য গিয়েছি।আসলে সামনে আমার দুই মেয়ের পরীক্ষা। আর পরীক্ষার সময় বাইরে যাওয়া অনেক মুশকিল। তারজন্য বাচ্চাদের যা যা প্রয়োজন তাই কিনতে গিয়েছি।আসলে দাম নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। যেখানে আলুর দাম ৮০ টাকা সেখানে আর কি বলার আছে বলুন? তবে বেঁচে থাকতে হলে কিনতে হবে এটাই স্বাভাবিক। দাম হলেও প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো না কিনে পারা যায় না। তারপর ভাইয়ের কাছে খাতা,কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল, রঙ পেন্সিল ইত্যাদি কিনলাম। আসলে সব কিছুর তো আলাদা করে ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয় না।আসলে বাচ্চাদের এমনিতে যতই কিনে না কেন পরীক্ষার সময় সব আবার নতুন কিনতে হয়।শুধু বাচ্চাদের বললে ভুল হবে আমি ও ছোট বেলায় পরীক্ষার সব নতুন কিনতাম। আসলে এই ভাইয়ের দোকানে সব কিছু আছে।শীতের ক্রিম গ্লিসারিন ইত্যাদি দেখলাম। আসলে এগুলো অনেক দাম চায়।তাই ভাইয়াকে বলে চলে গেল অন্য জিনিস কিনে আনবো।তারপর আবার আপনার দোকানে আসবো।

অন্য দোকানে যাবার সময় আমার মেয়ে গাড়ি দেখে কেনার বায়না ধরলো।তারপর কি আর করবো অনেক বুঝিয়ে মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছেলাম অন্য দোকানে। যাবার সময় আবার খাবারের দোকান তখন তাদেরকে দুটি বার্গার কিনে দিলাম। আসলে বার্গার পেয়ে তখন গাড়ির কথা ভুলে গিয়েছে। আসলে তাদের বুঝাতে পারি না গাড়ি তাদের জন্য নয় ছোট বাচ্চাদের জন্য। যদিও ছোটবেলায় তাদের গাড়ি ছিল কিন্তু আবার কিনবে।এমনিতে তেমন কিছু বলে না তবে গাড়ি দেখলে অস্হির হয়ে পড়ে।

এখন বাচ্চাদের চোখে পড়লো কসমেটিকস। আসলে ছোট ছোট ক্লিপ গুলো কতো কেনা হয় কিন্তু পরবর্তীতে আর পাওয়া সম্ভব হয় না। তারপর বাচ্চাদের ও নিজের জন্য টুকিটাকি কিছু কিনলাম।তবে এগুলো ব্যবহার করতে বেশ ভালোই লাগে তাই এখান থেকে আমি মাঝে মাঝে কিনি।

কয়েকটি দোকান দেখলাম সব দোকানে একই দাম। আসলে এত দাম কসমেটিকস এর বলার মতো নয়। কাপড় চোপড়ের থেকে অনেক বেশি। জিনিস এর মতো জিনিস নয় কিন্তু টাকা অনেক। কি আর করা তারপর চলে আসলাম আবার ভাইয়ার দোকানে। আসলে কথায় আছে না চাঁদ উঠলে সব জায়গায় উঠে।তারপর লোসন, ক্রিম ভেজলিন ইত্যাদি কিনলাম। আমার জন্য একটা ফেয়ার এন্ড লাভলী আয়ুর্বেদিক স্নো কিনলাম। আসলে আমি আবার ক্রিম ব্যবহার করতে পারি না সব সময় স্নো লাগে।

এখন কসমেটিকস কেনা হয়ে গেল।তারপর বাচ্চাদের জন্য কিছু বিস্কুট ও জেলি পাউরুটি ইত্যাদি কিনলাম । সত্যি জিনিস তেমন বেশি নয় তবে অনেক টাকা লেগেছে। টাকা লাগলে ও জিনিস গুলো অনেক ভালো। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।