পদ্মাসেতু দিয়ে প্রথম ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
পদ্মাসেতু দিয়ে প্রথম ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। সত্যি নতুন নতুন পোস্ট লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ এসেছি একটা অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। মনের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সত্যি পদ্মাসেতু তৈরি থেকে ইচ্ছে ছিল পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকায় যাব।তবে সব ইচ্ছে তো আর সব সময় পূরণ করা সম্ভব নয়। আসলে ঢাকা যাব বললেই তো আর যাওয়া হয় না। ঢাকা যেতে হলে সময় আর টাকার প্রয়োজন হয়। তবে এবার মনে মনে ইচ্ছে ছিল ঢাকায় যাবোই। তারপর বাচ্চাদের পরীক্ষা হলো এদিকে আমাদের ধান কাটা ও শেষ। তাই ভাবলাম একটু ঘুরে আসি। যেহেতু পদ্মাসেতু দিয়ে যাব তাই আনন্দটা একটু বেশি ছিল। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের গাড়ি যখন ফরিদ পুর থেকে ছেড়ে দিল তখন থেকেই বাচ্চারা পদ্মাসেতুতে কখনো চড়বে সেই সময় গুনতে লাগলো।আসলে আমরা গাড়িতে অনেক লোক ছিলাম। আর গাড়ির ভিতরে আমার এক ভাতিজা আমার মেয়েকে বলছে আমরা যখন পদ্মাসেতুর ওপরে উঠবো ঠিক তখন বাজি ফুটাবো।আসলে সবাই পদ্মাসেতু দেখার জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে বাসে বসে আছে। আমরা গাড়িতে যখন উঠলাম থেকে বাচ্চারা বাইরে তাকিয়ে আছে পদ্মাসেতু দেখার জন্য। তবে ফরিদ পুর থেকে পদ্মাসেতু যেতে প্রায় এক ঘন্টা লাগে। আর এই এক ঘন্টা সময় বাচ্চাদের অপেক্ষা করতে বেশ কষ্টকর।
তারপর আমরা যখন পদ্মাসেতুর অনেক কাছে তখন গাড়ির ভিতর থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। তবে পদ্মাসেতুর পাশ দিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। সত্যি কি অপরূপ আর মনোরম দূশ্য। নিজে না দেখলে বুঝা মুশকিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তারপর আমরা যখন পদ্মাসেতুর ওপরে তখন বাসে থেকে এদিকে ওদিক তাকিয়ে বেশ আনন্দ অনুভব হয়েছিল। তবে আমার কাছে মনে হয়েছিল বাচ্চারা অনেক আনন্দ পেয়েছে। যদিও আমার ও অনেক ভালো লেগেছিল।সত্যি প্রিয় জায়গা দিয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা।
যাইহোক অনেক দিন পরে হলেও নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে তারজন্য সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে যেকোন স্বপ্ন যদি পূরণ হয় তাহলে সত্যি আনন্দের শেষ থাকে না।তবে পদ্মাসেতু দিয়ে যেতে অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে প্রথম কোথাও গেলে তার অনুভূতি অনেক ভালো লাগে। আমার মনে হয় শুধু আমি না প্রথম কোন কিছু করলে সবার কাছে ভালো লাগবে। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি সেই দিন। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | পদ্মাসেতু |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1873704914083516512?t=yFOvVMpiOLBIDtui1g32Pw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পদ্মা সেতু তে ওঠার সময় সবাই বেশ এক্সাইটেড ছিল তাহলে। আপনাদের অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো। ওই সময়টা তে খুব চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
কয়েকদিন আগে শুনেছিলাম আপনি ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। আর ঢাকায় যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পেরেছে এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। পদ্মা সেতুর ব্রিজ সত্যি দেখতে অনেক সুন্দর। আপনার অনুভূতিটা অনেক সুন্দর ভাবে প্রকাশ করছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্রিজটি দেখতে সত্যি অসাধারণ আপু,ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঢাকায় যাওয়ার পথে আপনি পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছিলেন যার কারনে প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে ওঠার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পদ্মা সেতুটি সত্যিই অনেক সুন্দর আমার ইচ্ছা আছে একবার হলেও পদ্মা সেতুতে উঠার।
জি ভাইয়া আসবেন অনেক ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি পদ্মাসেতু দিয়ে প্রথম ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে আমার প্রথম পদ্মাসেতু দিয়ে যাওয়ার অনুভূতি গুলো মনে পরে গেলো। আমার ও ভীষণ ভালো লেগেছিল।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
অবশেষে আপনিও পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে প্রথম ঢাকা আসার অনুভূতি পরে অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। পদ্মা সেতু আমাদের দেশের অহংকার। ধন্যবাদ।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে আপু পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। আসলে পদ্মা সেতু এমন একটি সেতু অনেকে চায় এই সেতুর উপর দিয়ে ভ্রমণ করতে। আর যেহেতু আপনার বাচ্চারা এই সেতুর উপর দিয়ে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে তাহলে তো খুব আনন্দের বিষয়। ধন্যবাদ সুন্দর করে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার আনন্দ মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।