বিজয় দিবস নিয়ে কিছু কথা।
আমি থাকি ঢাকার মোহাম্মদপুরে। মোহাম্মদপুর স্যার সৈয়দ রোড হল আমার বাসস্থান। মানিক মিয়া এভিনিউ আমার বাসা থেকে হেঁটে যেতে খুব বেশি হলে ১০ মিনিট সময় লাগবে। আমার পরিবারের উদ্দেশ্য ছিল রাত ঠিক ১২ টায় মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করবে। যেমন প্ল্যানিং তেমনি কাজ। রাত ঠিক পৌনে বারোটায় আমরা মানিক মিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আমি আমার স্ত্রী আমার শালিকা আমার মেয়ে আমার ছেলে। মোট সদস্য সংখ্যা ৫ জন। মেয়েদের সংখ্যা বেশি হওয়াতে আর আমার ছেলের বয়স সাড়ে চার বছর হওয়াতে আমরা হেঁটে না গিয়ে গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম। ভুলটা ছিল এখানেই। বাসা থেকে বের হয়ে মেইন রোডে উঠেই আটকে গেলাম। অনেক যানজট অনেকগুলো রাস্তা পুলিশ ব্লক করে দিয়েছে আর মানিক মিয়া এভিনিউতে গাড়ি নিয়ে ঢোকার তো প্রশ্নই আসে না। এমন অবস্থায় কি করনীয়!! বউ আমার শখ করলো বিজয় দিবস উদযাপন করবে অথচ যানজটের মধ্যেই ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে।অনশেষে বউকে আমি বললাম আমি গাড়িতেই বসে থাকি তোমরা হেঁটে হেঁটে মানিকমিয়া এভিনিউ চলে যাও । বউ আমার উত্তরে বললো তুমি কি পাগল হয়েছো,আমরা এতগুলো মেয়ে মানুষ এত রাতে হেঁটে হেঁটে মানিকমিয়া এভিনিউ যাব?? কি আর করব যানজট যখন একটু কমলো তখন গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য পথে চলে গেলাম। অনেক রাত পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করলাম রাতের ঢাকা উপভোগ করলাম। তারপর গভীর রাতে আবারো আসলাম মানিক মিয়া এভিনিউ যাব বল। হলো না।তখনো মানিক মিয়া এভিওনিতে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না । পারিনি আমরা ১৬ই ডিসেম্বর রাতে মানিক মিয়া এভিনিউতে বিজয় দিবস উদযাপন করতে। পেরেছি তার পরের দিন।
স্থান ঃ মানিক মিয়া এভিনিউ ঢাকা
ছেলেকে কোলে নিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করছে মা
স্থান ঃ মানিক মিয়া এভিনিউ ঢাকা
শিল্পীর শৈল্পিক সৌন্দর্য রঙ্গিন আলোয় আলোকিত।
স্থানঃমানিক মিয়া এভিনিউ ঢাকা।
ওরাও মা ছেলে।তবে উদ্দেশ্য ভিন্ন। ওরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেনি এসেছে পেটের তাগিদে চুড়ি বিক্রি করতে।
মানিক মিয়া এভিনিউতে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর বাচ্চাদের আবদার মেটাতে নিয়ে গেলাম রেস্টুরেন্টে। যে রেস্টুরেন্টে প্লে জোন আছে বাচ্চারা সেখানেই যাবে। সবাই মিলে আমরা গেলাম Chicking restaurant এ। এখানে এসে আমার ছেলে তো মহাখুশি।
স্থানঃ Chicking restaurant, Dhanmondi.
এখানেই আমরা সবাই রাতের খাবার সেরে নিলাম।
এটা রেষ্টুরেন্টের দেয়ালের ছবি, আমার ক্যামেরায় তুলেছি তাই আপলোড দিলাম।
বিজয় দিবস সম্পর্কে কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো তাই নিজের গল্পটায় তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে আমার লেখা টা পড়ার জন্য।
আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ হাফেজ।
আপনার লিখাগুলো ভালো হয়েছে।
তবে আমার কিছু সাজেশন রয়েছে,
ধন্যবাদ ভালো পরামর্শ দেয়ার জন্য। আমি এডিট করে ১০% সাই ফক্স কে দিয়েছি।
আপনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
এই লিংকটিতে গেলে বুঝবেন,
https://steemit.com/hive-129948/@hafizullah/or-or-how-to-add-beneficiary-or-or-amarbanglablog-tutorial
আর নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকলে সব সহজেই বুঝে যাবেন।
ধন্যবাদ। আপনার লিংকটা আমার অনেক উপকারে এসেছে। আমি বুঝতে পেরেছি। বুঝে নতুন একটা পোস্টও করেছি। আশাকরি আমি পেরেছি।