//নাটক রিভিউ:-মায়া//
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-মায়া। আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। নাটক দেখার সময় যদিও না হয় কিন্তু একটা করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি।যেগুলো নাটক আমার কাছে ভালো লাগে। আমি সেগুলো নাটক আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি। আজকে আমি যেই নাটকটি আপনাদের মাঝে রিভিউ করবো আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আমার কাছে এই নাটকটি অনেক ভালো লেগেছে। তবে শেষের দিকে নাটক টি দেখে অনেক কষ্ট পাইছি।তো যাইহোক দেরি না করে আমি নাটকটির রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
নাটকের নাম | মায়া |
---|---|
অভিনয় | মুশফিক আর ফারহান,কেয়া পায়েল,আরো অনেকে |
পরিচালক | মোহাম্মদ মিফতাহ আনান |
মুক্তির তারিখ | ৭ জুলাই ২০২৪ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ | ৫৮:১৪ |
নাটকের শুরুতেই মুশফিক এবং কেয়া পায়েলের বিয়ে হয়। মুশফিকের তিনটি বন্ধু ছিল সেগুলো তার অনেক কাছের। যাইহোক মুশফিক বিয়ে করার পর তার সংসারটি অনেক সুন্দর ভাবে চলতে লাগলো। কিন্তু মুশফিক হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে।মুশফিক একটা গাড়ির ড্রাইভার,সে ড্রাইভিং করে তার সংসার চালায়।বিয়ে করার পর তাদের দুইজনের অনেক সুন্দর একটা সংসার গঠিত হয়েছিল।কিন্তু তার যে তিনটি বন্ধু ছিল তারা সব সময় তার বউয়ের সঙ্গে লেগে থাকত।দেখেন না গ্রামে সুন্দর একটি বউ আসলে অনেক ছেলে পেলে তাদেরকে দেখে থাকে সেরকম হচ্ছে এখানেও।কিন্তু মুশফিকের বন্ধু গুলো তার বউয়ের দিকে কুনজরে তাকিয়ে থাকতো।যাইহোক পরে মুশফিক সেগুলো অনেক সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করে সংসার চালায়।
তো একদিন অনেক রাত হয়ে গেলো কিন্তু মুশফিক বাসায় ফিরলো না।মুশরিক বাসায় না আসায় কেয়া পায়েল দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। কেয়া পায়েল সঙ্গে সঙ্গে তার হাসবেন্ড কে ফোন দিল। ফোন দিয়ে তার সঙ্গে কথা বললো।কথা বলে বললো যে সে অনেক ব্যস্ত।যেহুতু সে গাড়ির ড্রাইভিং করে সে জন্য তার বাসায় যেতে অনেক দেরি হবে। তা এইরকম কথা বলতে না বলতেই মুশফিকের গাড়ি সামনে অন্য একটি গাড়ি এসে পড়লো।আর সেই গাড়ি থেকে ঐ লোকটি মারা গেলো।এখন এই লোকটি মারা যাওয়ার কারণে মুশফিকের উপর পুরো দোষটি চাপানো হয়।
মুশফিকের উপর পুরো দোষটি আসার কারণে তাকে জেলে নেওয়া হলো।কারণ যে লোকটি মারা গেছে সে হচ্ছে নামকরা এক লোকের ছেলে ছিল।এরপর মুশফিকের বউ সব জায়গায় সাহায্য চাওয়ার জন্য ছড়িয়ে পড়লো।কিন্তু কোন ভাবেই তাকে সাহায্য করা হচ্ছে না। মুশফিক যে গাড়ি চালাত সে গাড়ির মালিকের কাছে গেলো,সেও ফিরিয়ে দিল। এমনকি কোন উকিল তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাচ্ছে না। পরে সরাসরি কেয়া পায়েল ওই লোকের কাছে গেলো।কিন্তু কোনো ভাবেই ওই লোকটির সাথে সে যোগাযোগ করতে পারল না। এখন অনেক কষ্টের পর একটি উকিলকে ম্যানেজ করতে পারছে।কিন্তু সে একটি কেস লড়তে গেলে তাকে প্রথম আদালতে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। কেয়া পায়েল তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে কেস টি লড়তে বললো।কিন্তু কোন ভাবেই তার জামিন হলো না।
যখন দেখা গেল তার কোন জামিন হলো না।এইদিকে কেয়া পায়েলের পেটে তার বাচ্চা ছিল।কিছুদিন পর কেয়া পায়েলের বাচ্চা হলো।এখন তার তো জামিন হওয়ার কোন উপায় নেই।সেই জন্য কেয়া পায়েল এবং তার মেয়েকে নিয়ে তার কাছে দেখা করতে আসলো।মুশফিক তার মেয়েকে দেখে অনেক খুশি হলো। কিন্তু যখন তার মেয়ে তাকে বলল, আপনি কে,,? আসলে এই কথাটা শুনে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। একটা মানুষ বুঝতে পারে যে বাবা ডাক শুনতে কতোই না ভালো লাগে। যদি সেই মেয়ে তার বাবাকে চিনতে না পারে তাহলে এই দুঃখ প্রকাশ করার মত না।আমার কাছে এই লাস্টের সিন টা খুবই খারাপ লেগেছে। এভাবেই পড়ে মুশফিক তার মেয়েকে না পরিচয় দিয়ে আবার জেলে চলে গেলো।
মুশফিককে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে সারাজীবন জেল খাটানো হলো।আসলে তার দোষ ছিল না। কিন্তু তার পরেও তার উপর দোষ চাপিয়ে জীবনটা নষ্ট করে দিলো।এমনকি তার বউ এবং তার মেয়ের ডাক শুনতে পারলো না। আমার কাছে পুরো নাটকটি ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে এই শেষের দিকে এসে নাটকটি দেখে অনেক খারাপ লেগেছে। আপনারা যারা এখনো এই নাটকটি দেখেন নাই। সবাই দ্রুত নাটক টি দেখে নিবেন।আশা করছি আপনাদের কাছে নাটকটি অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://x.com/Polashislam681/status/1810344498305851721?t=PwK-MczPkRwm719LMtzEsQ&s=19
মায়া নাটকের রিভিউ এর আগেও পরেছিলাম কোনো এক ইউজার করেছিলো হয়তো।আপনিও খুব সুন্দর করে গল্পটা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একটি মিথ্যা মামলা একটি পরিবারকে শেষ করে দেয়। গল্পের শেষটা সত্যি অনেক কষ্টের ছিল। মায়া নাটকে আমি আগে দেখিনি। তবে আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া নাম দিয়েছেন মায়া। আসলে ফারহান এবং কেয়া পায়েল এর নাটক। আমার কাছে ভীষণ প্রিয় আসলে বর্তমান ইয়াং পোলাপাইনরা ফারহান এবং কেয়াপায়েলকে অনেক বেশি পছন্দ করে এই নাটকগুলো। আশা করি নাটকটি সময় করে দেখে নেব ভাই অনেক সুন্দর একটি নাটক ধন্যবাদ এবং অনেক শিক্ষনীয় বিষয় লুকিয়ে থাকে এ নাটক গুলোর মধ্যে
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ফারহানের নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। নাটকটি আগে কখনো দেখা হয়নি সময় পেলে দেখার চেষ্টা করবো।অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য।