//লাইফস্টাইল:-NRBC ব্যাংকে কিস্তি দিতে যাওয়ার অনুভূতি//
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে লাইফস্টাইল:-NRBC ব্যাংকে কিস্তি দিতে যাওয়ার অনুভূতি আমি আপনাদের মাঝে সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু শেয়ার করার। তো আজকে ভাবলাম নিজের অনুভূতি একটু শেয়ার করি।আমার বাংলা ব্লগে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক দেরি না করে শুরু করা যাক।
আপনারা হয়তো অনেকে জানেন আমি একটি আমার ভাইয়ের দোকানে থাকি।দোকানে হচ্ছে গরুর খাদ্য এবং ওষুধ পাতি যা লাগে সব কিছু রয়েছে এখানে। তবে আমার ভাই দোকান কেন্দ্র করে এনআরবিসি ব্যাংকে কিছু টাকা লোন নেই।কারণ ব্যবসা করতে গেলে টাকা লাগে,আর টাকা সব সময় হাতে থাকে এমন না।এই জন্য অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা কিছু টাকা লোন করে ব্যবসা পরিচালনা করে।যাইহোক আমাদের দোকান থেকে আমরা এই এনআরবিসি ব্যাংক থেকে চার লক্ষ টাকা লোন করি।এবং আমি অনেক কয়েকবার এই ব্যাংক নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করছি।যাইহোক দোকানের বাইরের যত কাজ করার লাগে সেটা কিন্তু আমি করি,বিশেষ করে টাকার লেনদেন বেশি করি।কারণ টাকা লেনদেনটা এমন জিনিস যেটা সবার দাঁড়ায় হয় না।
কারণ এই ধরনের টাকা লেনদেন করতে গেলে বিশ্বস্ত লোক লাগে। আর এটা হচ্ছে আমার বড় ভাই,আমি শুরু থেকেই কিন্তু এই দোকানে থাকি এবং যত ধরনের লেনদেন করা লাগে আমি সবকিছু করি।এই জন্য প্রতি মাসের যেটা কিস্তি আসে সে কিস্তি কিন্তু আমি দিতে যাই।তো বেশ কয়েক মাস ধরে কিন্তু আমি কিস্তি দিতে যেতে পারি নাই। তো হঠাৎ করে এই মাসে আমাকে ফোন দিয়ে ডাক দিলো,দিয়ে বলে যে এই মাসের কিস্তিটা দিয়ে আয়।মাসের কিস্তি হচ্ছে ২৩ হাজার করে।তো আমাকে যখন ফোন দিলো আমি সঙ্গে সঙ্গে দোকানে আসলাম।দোকানে এসে আমাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিলো, এবং বলল যে এত টাকা এত কিস্তি দিয়ে চলে আয়।
তো সবকিছু দেওয়ার পরে আমি গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম। আমাদের বাজার থেকে পার্বতীপুর শহর হচ্ছে ২০ কিলোমিটার দূরে। হয়তো তারও একটু দুই এক কিলোমিটার কম হবে।যাইহোক আমরা ওখানে ৩০ মিনিটে পৌঁছে গেলাম।এখন এনআরবিসি ব্যাংকের কয়েকটা লোক আছে যারা সবাই আমাকে চিনে।তো সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করলাম এবং সবকিছু কাজ ওকে করলাম।আমার সঙ্গে আমার একটা ফ্রেন্ড ছিলো তাকে নিয়ে আমি গেছিলাম।মাঝে মাঝে যখন কিস্তি দিতে যাই আমি ওই ফ্রেন্ডকে সব সময় নিয়ে যাই।কারণ আমরা সিঙ্গেল মানুষ একাই যে গিয়ে ভালো লাগে না।এই জন্য সঙ্গী থাকলে বা ফ্রেন্ড থাকলে ভালো লাগে, অনেক মজা ও আড্ডা দিতে পারি।আবার যেতে যেতে বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে পারি। যাইহোক যাওয়া আসার দুই পথে সুন্দর একটি সময় উপভোগ করছি। কারণ বাইরে ঘুরতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে।
তো আমি যখন এনারবিসি ব্যাংকে পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে কিস্তির বইটি পূরণ করলাম। তার পর টাকা জমা দিয়ে সিল বসিয়ে নিলাম।আসলে আমি প্রায় এই ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসি,তবে এর আগে কয়েকটি লোক ছিলো যেগুলো এখন নাই। আমি ওখানে ঢুকে সর্বপ্রথম ওই মানুষ গুলোকে লক্ষ করি,কিন্তু এই মাসে গিয়ে তাদের দেখতে পাই নাই।কারণ তাদের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক ছিলো আমার,আমি ওখানে গেলে তাদের সাথে কথা বলে আসি।যাইহোক পরে শুনলাম তারা নাকি ট্রান্সফার হয়েছে। তো যতক্ষণ ছিলাম এবং তাদের সাথে পরিচয় হয়ে আরো বেশি ভালো লেগেছে। বলতে গেলে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করছি। তো আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মিলে গেল আজকে আমিও সাড়ে সাত হাজার টাকা কিস্তি দিয়ে আসলাম বাংলাদেশ বুড়ো অফিসে। কিন্তু পোস্ট করতে হবে এমন কোন ছবি ধারণ করি নাই। যাই হোক দ্রুত সকলের দেনা পরিশোধ হোক নিজের মতো চলার সুযোগ সৃষ্টি হোক।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ডেইলি টেক্স প্রুফ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে স্ক্রিনশট শেয়ার করার জন্য।
বাহ, আপনি যে ব্যাংক এ গিয়ে মানুষ গুলোর দিকে আগে খেয়াল করেছেন, তাদের না দেখায় খোঁজ নিয়েছেন- এই বিষয় টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই৷ আপনার উপর আপনার সেই ভাই এর এমন অগাধ বিশ্বাস এবং ভরসার জায়গাটা এমন ই থাকুক, সেই দোয়া। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
দোয়া করবেন,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এখন হতে প্রতিদিন নিয়ম করে এই টাস্কগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ওকে ভাই