||লাইফ স্টাইল : অনেকদিন পর আবার দেখা ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট করব। অনেকদিন হলো আমার বান্ধবীর সাথে দেখা হয় না। এদিকে প্রায়ই তাকে কথা দিই তাদের বাড়িতে যাব, কিন্তু আর যাওয়া হয় না শেষ পর্যন্ত। তাই সে আমার উপর
অভিমান করেছিল, তাই হঠাৎ করেই কাল বিকেলবেলা একটু সময় করে তার সাথে দেখা করতে চলে গিয়েছিলাম। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
প্রায় ১০ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। ক্লাস সিক্স থেকে আমাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল, তাও আবার ঝগড়াঝাঁটির মধ্যে দিয়ে। অন্য বন্ধু-বান্ধবীর সাথে হয়তো মাঝে মধ্যে কথা হয়, কারো কারো সাথে আবার পুরোই কথা হয় না শুধুমাত্র দেখা হওয়া ছাড়া। তবে আমাদের বন্ধুত্বটা রয়েই গেছে। সেটা অবশ্য আমাদের দুজনেরই ইচ্ছের কারণে। কারণ যে কোনো সম্পর্কই যদি দুজনের ইচ্ছে না থাকে সেটা কখনোই থাকে না। এমন অনেক বন্ধু বান্ধবী রয়েছে, যাদের সাথে হয়ত যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা নতুন বন্ধু বান্ধবী পেয়ে ঠিকই ভুলে গেছে, কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব স্কুল লাইফ,কলেজ লাইফ শেষ হওয়ার পরেও রয়ে গেছে। এর কারণ দুজনেরই ইচ্ছে। ক্লাস ১০ থেকেই আমি অন্য আরেকটা স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন থেকেই দুজনের স্কুল আলাদা। তাই দেখা হওয়ার খুব একটা সুযোগ ছিল না। এদিকে দুজনের কারোরই পার্সোনাল ফোন ছিল না। কথা হতো মাঝে মধ্যে বাবা বা মায়ের ফোন দিয়ে।
স্কুল শেষ হওয়ার পর দুজন আবার আলাদা কলেজেও ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমি না গেলেও, প্রতি সপ্তাহে বান্ধবী একবার করে হলেও আমার সাথে দেখা করে যেত। আর মোবাইলে তো কথা হতোই। এইজন্যই হয়তো আমাদের বন্ধুত্বটা খুব ভালোভাবে আছে। সে এদিকে প্রায়ই আমার সাথে দেখা করতে আসে, কিন্তু আমি কোনদিনও যাই না। এজন্য তার খুব অভিমান হয়েছিল আমার উপর। প্রতিদিন যাতায়াত করতে করতে এতটাই বিরক্ত হয়ে গেছি যে,কোনো একদিন ছুটি পেলে ঘরে থাকতেই ভালো লাগে। তাই আর আমার তার সাথে কখনো দেখা করা হয় না। এদিকে আমি আবার দু'বছর মতো বাড়িতে থাকতাম না। তখন আমাদের তিন চার মাস পর পর দেখা হতো। বাড়িতে চলে আসার পর তার সাথে একদিনও দেখা করতে যাইনি তাই সেও আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে বুঝলাম তার খুব রাগ জমেছে আমার উপর। তাই সুযোগ করে গতকাল বিকেল বেলায় হঠাৎই চলে গিয়েছিলাম। তার সাথে সাথে তার মা-বাবা ও ভীষণ খুশি হয়েছিল। কিন্তু গল্প করতে করতে অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছিল। অনেকদিন পর দেখা হয়েছিল তো তাই।
সে আবার আমাকে কি খাওয়াবে তাই নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। অনেক বারণ করা সত্ত্বেও তখন আবার চাওমিন বানাতে বসলো। তবে চাওমিনটা খুব টেস্টি হয়েছিল। তারপর আবার অনেকদিন পর যেহেতু দেখা হয়েছিল দুটো একটা ফটো না তুললে ঠিক স্মৃতি থাকে না। তাই ঝটপট কয়েকটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম দুজন মিলে। প্রতিদিন ব্যস্ততা আর বাড়িতে থাকতে থাকতে আমার মনটাও ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল, তাই কাল একটু বেরিয়ে কখন যে একটা সুন্দর সময় পার করে ফেলেছিলাম বুঝতেই পারিনি । এই ব্যস্ততম দিনগুলোর মধ্যে থেকে যদি সামান্য একটু সময় বের করে নিজেদের খুশির জন্য ব্যয় করা যায়,তাহলে সেটা মানসিক শান্তিও এনে দেয়।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://x.com/GhoshPuja2002/status/1807821242558197839?t=JFZ3uMkz_EscieWSfCHvGA&s=19
১০ বছরের বন্ধুত্ব আপনাদের। ক্লাস সিক্স থেকে ঝগড়াঝাটির মধ্যে দিয়ে আপনাদের বন্ধুত্বটা হয়েছিল।এটা ঠিক দুজনের চেষ্টা ছাড়া আসলে বন্ধুত্ব জমে উঠে না।আপনাদের দুজনের প্রচেষ্টাতেই আজকের এই বন্ধুত্ব। আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। এরপর আপনার বন্ধু আপনার জন্য চাওমিন রান্না করলেন।তার স্বাদ খুবই টেস্টি হয়েছিল বললেন।আপনাদের বন্ধুত্ব এমনভাবেই আজীবন রয়ে যাবে এমনটাই কামনা করি।
আশা করি,আমাদের বন্ধুত্ব এভাবেই সারাজীবন থেকে যাবে আপু। পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।