ফটোগ্রাফি পোস্ট :সুন্দর ছয়টি ফুলের ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৯ শে ডিসেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।সেদিন বাড়ির ছাদবাগান থেকে বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রাকৃতিক যেকোনো দৃশ্য ও ফুলের ফটোগ্রাফি করতে সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি আজকে আপনাদের সাথে ছয়টি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আমি আশা করছি আমার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
গাঁদা ফুলের সাথে কম বেশি সবাই আমরা পরিচিত। শীতকালে এই সময়টাতে গাঁদা ফুলের দেখা পাওয়া যায়। তোর গাঁদা ফুল দেখতে পেলেও গাঁদা ফুল মূলত এই সময় ফুটে থাকে। চারিদিকের বিভিন্ন বাগান গুলো একেবারে গাঁদা ফুলে সেজে ওঠে। ফুলে ফুলে ভরে যায় চারিপাশ। ফুলের গাছে বোটায় ভোটায় গাঁদা ফুল দেখতে অপূর্ব লাগে। সেদিন ছাদে গিয়ে দেখি এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর গাঁদা ফুল ফুটে রয়েছে সেখান থেকে এই ছবি ক্যাপচার করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
কাটা মুকুট ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। একটি গাছে অনেকগুলো কাটা মুকুটফুল ফুটে থাকলে দেখতে অপূর্ব লাগে। এই ফুলগুলো একসাথে অনেকগুলো ফুটে থাকে। ফুল গুলো দেখতে অবশ্য অনেক ছোট ছোট তবে এর সৌন্দর্য কিন্তু অনেক। ছাদের এক কোণে একগুচ্ছ সৌন্দর্য নিয়ে ফুটেছিল এই ফুলগুলো দেখতে ভারী মিষ্টি লাগছিল। সেই মিষ্টতা থেকেই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
শিম গাছে ফটো শিম ফুল। এই ফুলগুলো আমরা প্রায় সকলেই চিনি। এই ফুলের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। শিম গাছে শিম হওয়ার আগে গাছ জুড়ে শিম ফুলে ভরে যায়। কিছু ফুল নষ্ট হয়ে যায় আর বাকি ফুলগুলো থেকে শিম হয়। যেগুলো আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে। ছাদ বাগানে বেশ অনেক ধরনের গাছ রয়েছে। অনেক শিম গাছ রয়েছে। সেখানে অনেক ফুল ফুটেছিলো সেখান থেকেই এই একগুচ্ছ ফুলের ফটোগ্রাফি আমি ধারণ করেছিলাম আমার ফোন ক্যামেরায়।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
গাঁদা ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তার মধ্যে হলুদ গাঁদা একটি অত্যন্ত সুপরিচিত রং এবং ফুল। এই ফুলগুলো অনেক দেখা যায়। আমায় গাঁদা ফুলের দুটি রঙ দেখেছি কমলা এবং হলুদ। এই দুটি রং আমার বেশ ভালো লাগে। ছাদ বাগানে খেয়াল করে দেখলাম কমলা রঙের গাঁদা ফুলের থেকে হলুদ রঙের গাঁদা ফুলের সাইজ বেশ বড়। ফুল গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিলো।দুপুরের উজ্জ্বল রোদে ফুলগুলো আরো উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছিল। এই সুন্দর দৃশ্য দেখে ফুলগুলো ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
কসমস ফুলের সাথে আমরা অনেকেই ভীষণ পরিচিত। ছাদে বা বাগানে এ ধরনের ফুল লাগালে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। এই মিষ্টি ফুলগুলো যেমনি সুন্দর তেমনই মুগ্ধতা ছড়িয়ে থাকে। ফুলের সৌন্দর্য তো অতুলনীয়। এই সুন্দর মিষ্টি ফুলগুলো ছাদের এক কোণে ফুটেছিল। ফুল গুলো অনেক মিষ্টি তাই না। সুন্দর কসমস ফুলগুলো ছাদবাগান থেকে ক্যাপচার করেছি।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
বেগুন গাছে বেগুন হওয়ার আগে এই সুন্দর ফুলগুলো লক্ষ্য করা যায়। আমি দুই ধরনের বেগুন ফুল দেখেছি একটি সাদা অন্যটি বেগুনি রংয়ের। দুটি ফুল ভীষণ সুন্দর। এ ফুলের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। বেগুনের গাছে এই ফুল হয়ে থাকে বলে একে বেগুনি ফুল বলা হয়। মিষ্টি বেগুনি ফুলটি কিন্তু অসাধারণ লাগছে। সূর্যি মামার হাসির ঝলকে ফুলগুলো যেন হাসি ফিরিয়ে দিচ্ছে। অসাধারণ একটি বেগুনি ফুল।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আজকের টাস্কসমূহ
বাড়ির ছাদ বাগানে দেখছি অনেক ধরনের ফুলের সমারোহ। এরকম ছাদে ফুল থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনি আজকে চমৎকারভাবে সেই ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। সবগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আরো অনেক ধরনের ফুল রয়েছে সাথে অনেক রকম সবজির গাছ।ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু।
আপনার ফটোগ্রাফির হাত বেশ ভালো। গাদাঁ ফুলের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে । শীতের সিজনটাতে এ ফুলগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে এ ফুলের ঘ্রাণ আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,শীতকালের সিজনে ফুল বেশি দেখা যায়। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আমার কাছেও গাঁদা ফুলের ঘ্রাণ অনেক ভালো লাগে।
খুবই খুবই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম নিখুঁতভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করছেন।ফটোগ্রাফি গুলো ডিটেইলস একদম ফার্স্ট ক্লাস।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুলের সৌন্দর্য নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে।ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যটি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এভাবেই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফুলের ছবি মানেই আলাদা রকমের ভালো লাগা। আজকে আপনি ছয়টি ফুলের ছবি শেয়ার করেছেন। ছয়টি ফুলই অসাধারণ অ্যাঙ্গেলে তোলা হয়েছে। ফলে সবকটাই খুব সুন্দর লাগছে। একসময় ছিল আমার গাঁদা ফুল একেবারেই পছন্দের ছিল না। এতে এখন এত ভালো লাগে দেখতে ।
ঠিক বলেছেন দিদি, ফুলের ছবি মানে ভালো লাগার শেষ নেই। তাই দিদি গাঁদা ফুল আপনার ভালো লাগত না। ছোটবেলায় তো গাঁদা ফুল অনেক বেশি পছন্দ করতাম। মালা গেঁথে হাতে পড়তাম আবার কোন প্রোগ্রাম হলে হাতে পড়ে চলে যেতাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো দিদি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফুলের ফটোগ্রাফী চোখ জুড়ানোর মতো। আপনি খুবই সুন্দর করে আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা কসমস ফুলের ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও বাকি সব ফটোগ্রাফী বেশ দারুন হয়েছে।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
প্রতিটা মানুষ ফুলকে অনেক ভালোবাসে আমিও ফুলকে খুব ভালোবাসি। প্রত্যেকটা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এককথায় অসাধারণ ছিল। যতই দিন যাচ্ছে ততই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখছি তোমার কাছ থেকে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি ফুল ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। যত দিন যায় মানুষ তত বেশি চেষ্টা করতে থাকে এবং শিখতে থাকে আমিও তাই করছি। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আপনার সুন্দর ছয়টি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হলাম আপু। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারেন। গাঁদা ফুল শীতকালে বেশি পরিমাণে দেখা যায়। তাছাড়া শিম ফুল ও কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাইয়া। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাইয়া গাঁদা ফুল শীতকালের বেশি পাওয়া যায়।