শখের ফটোগ্রাফি: শীতের সকালে গ্রামীণ প্রকৃতির মুগ্ধতা।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২১ শে নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
গ্রামীণ প্রকৃতি সব সময় আমাদেরকে তার অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে মুগ্ধ করে যাচ্ছে। গ্রামীন প্রকৃতির মুগ্ধতার কোন শেষ নেই। এক এক ঋতুতে এক এক সাজ নিয়ে বারংবার আমাদের মাঝে ফিরে আসে। এক এক ঋতু এক একসাথে মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলে। প্রাকৃতিক যেকোনো দৃশ্য ও ফুলের ফটোগ্রাফি করতে সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রকৃতি শীতের নতুন সাজ নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে হাজির হয়ে গিয়েছে। শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে যখন রোদ হাসি দেয় ঘাসের ডগার শিশির ফোঁটা তখন মুক্তা ছড়ায়।একটুখানি রোদের আলো প্রকৃতি উচ্ছাসিত হয়ে ওঠে। আজ আমি শীতের সকালের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শীতের সকালে ঘাসের ডগায় শিশির ফোঁটার দৃশ্য। গ্রামীন মাঠের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে মেঠো পথ।পথের ধারে দুর্বা ঘাসগুলো মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। ঘাসের মধ্যে পা ভিজিয়ে মেঠো পথ দিয়ে যখন হাঁটছিলাম পূর্ব আকাশে দেখি সূর্যি মামা হাসছে। হালকা হালকা রোদের আভা ঘাসের উপর শিশির ফোঁটা দেখতে অপূর্ব লাগছিলো।এই অপূর্ব দৃশ্যটি ক্যাপচার না করে আর পারলাম না। সূর্যিমামার হাসির ঝলকানিতে শিশির জমা ঘাসগুলো যেন এক ঝলক হেসে উঠলো। গ্রামীন প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্য।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে ঘাসে ডগায় শিশির ফোঁটা। শীতের সকালে প্রত্যেকটি ঘাসে ডগায় শিশির জমে থাকে। শিশির জমা সবুজ রঙের ঘাস গুলো দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগে। শিশির জমা ঘাসে পা ভিজে হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই সেদিন সকালে বেরিয়ে পড়েছিলাম শিশির ফোঁটাই পা ভেজাতে।ফোঁটায় ফোঁটাই শিশির জমা ঘাস গুলো প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
হেমন্তর শেষে বাংলার মাঠ সোনার ধানে সেজেছে। এখন সবে শীতের আগমন। মাঠে মাঠে সোনালী ধানের ছড়াছড়ি।প্রতিটি সকালে শিশির ফোঁটা সোনালী ধানের ডগার উপড় পড়ে থাকে। পুব আকাশ থেকে সূর্যি মামা উঁকি দিয়ে ওঠে। সূর্যি মামার হাসি যখন সোনালী ধানের উপর পড়ে তখন আস্তে আস্তে শিশির ফোঁটা মিলিয়ে যেতে থাকে। সোনালী ধান গুলো যেন হাসিতে মুক্তা ছড়িয়ে ওঠে। কি অপূর্ব দৃশ্য তাইনা। এরকম দৃশ্য শুধু গ্রামবাংলায় দেখা যায়। শীতের সকালে গ্রাম বাংলার মাঠের দৃশ্য এতটাই অপূর্ব যে মন কেড়ে নেয়। এই প্রকৃতির সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমার খুব ভালো লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কুয়াশা মোড়ানো শীতের সকাল। শীতের সময়ে প্রত্যেকটা সকালে পরিবেশ কুয়াশামুড়িয়ে সাজে। কুয়াশা মোড়ানো সাজ দেখতে খুব ভালো লাগে। বাড়িতে গিয়ে সেদিন সকালে এই ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম। আরো সকালে উঠলে হয়তো আরো সুন্দর কুয়াশা মোড়ানো সকাল উপভোগ করতে পারতাম। আমার উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো।উঠে দেখি কুয়াশার আড়ালে হালকা সূর্যি মামার হাসি দেখা যায়।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
কুয়াশার চাদর ভেদ করে পূর্ব আকাশে সূর্যমামা হাসে। সূর্য্যি মামার হাসির ঝলকানিতে প্রকৃতিরা হেসে ওঠে। শীতের সকালে এই মিষ্টিরদ পেতে কার না ভালো লাগে। আমার তো এই মিষ্টির রোদে পিঠ পেতে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। সবেমাত্র কুয়াশার চাদর কে ভেদ করে সূর্যি মামা পুব আকাশে হানা দিয়েছে ফটোগ্রাফিটি তখন ক্যাপচার করা হয়েছে। শীতের সকালের প্রত্যেকটি দৃশ্য আমাকে মন মুগ্ধ করছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
মাঠ জুরে সোনার ধান,
খুশিতে মাঠে কৃষকগণ।
মাঠের অর্ধেক সৌন্দর্য বহন করেছে সোনার ধান। সোনালী রঙের ধান তার ওপর শীতের আভা অর্থাৎ শিশির ফোঁটা। শীতের সকালের সূর্যের তাপে আস্তে আস্তে কুয়াশাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছিলো।ফোঁটা ফোঁটা কুয়াশা ধানের শীষ বেয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়ছিলো।শীতের সকালের সৌন্দর্য বাংলার মাঠ অনেকাংশে বহন করে থাকে। শিশির ফোঁটা গুলো যখন বেয়ে বেয়ে পড়ছিল তখন এই ফটোগ্রাফি টি ক্যাপচার করেছিলাম। ফটোগ্রাফিটি আমাদের ধানক্ষেত থেকে তুলেছি।
ফটোগ্রাফি নং-৭
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ ই অক্টোবর২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে শীতের সকালে ধানের রাজ্যের ফটোগ্রাফি। মাঠের পর মাঠ সোনালী ধানের ক্ষেত। কি যে অপরূপ দৃশ্য সামনাসামনি না দেখলে বোঝা যাবে না। গ্রামবাংলায় শীত ঋতু সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য ঋতু। এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপভোগ করার জন্য হলেও আমাদের সবার এ সময় গ্রামে ঘুরে আসা উচিত। শহরের মানুষেরা এরকম দৃশ্য কখনোই উপভোগ করতে পারে না। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে যখন মাঠের উপর মাঠ শুধু ধানের ক্ষেত দেখা যায় খুব সুন্দর লাগে।হালকা হালকা সূর্যের আলো সোনালী ধানের ঝলকানি কি অপূর্ব মুহূর্ত চোখ জুড়িয়ে যায়।
এই ছিলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি সমূহ। শীতের সকালের পরিবেশটা তো আমার কাছে দারুন লাগে। আমার উপভোগ করা মুহূর্তগুলো আপনারাও যাতে কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারেন তাই আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করা।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
গ্রামীন শীতের সকালের প্রকৃতির মুগ্ধতা দেখে হৃদয় শান্ত হয়ে গেল। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আমার কাছে খুব ভালো লাগে। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এটা সত্যি বলেছে শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগে। কৃষক সোনালী ফসল ফলায় বলেই আমরা দুবেলা দু'মুঠো ভাত আহার পারি। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ সৌন্দর্য নিয়ে কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন প্রতিটা ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে দিদি। প্রথম দুইটা ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো ছিল শীতের সকালের কুয়াশা ভেজা দৃশ্যটা একদম স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শীতকালে গ্ৰাম এলাকার সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে শীতের সকালের বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। শীতের সকালের সৌন্দর্য গুলো ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন।
আপনি দেখছি আজকে আমাদের মাঝে শীতের সকালে গ্রামীণ প্রকৃতির মুগ্ধতার বেশ কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে শীতের সকালে ঘাসের ডগায় শিশির ফোঁটার ফটোগ্ৰাফিটা বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্ৰাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করে আমাদেরকে ও দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শীতকালের গ্রামীন প্রকৃতির অপরূপ সুন্দরময় দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো।