ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়ার ডিসি কোর্টে কাটানো সময়।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৫ শে ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার , ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি কিন্তু কুষ্টিয়ার বাইরে খুব একটা ঘুরতে যাওয়া হয় না। বাড়ি থেকে দূরে কোথাও যেতে দেয় না। সেজন্য কুষ্টিয়ার মধ্যেই মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়াই। সেদিন মেসের বড় আপুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে। ডিসি কোর্ট জায়গাটা ভীষণ সুন্দর। এই জায়গা অনেকদিন হলো যাওয়া হত না। একসময় প্রায় প্রতিদিনের যাওয়া আসার স্থান ছিলো।কাকুর বাসায় থাকার সময় প্রতিদিন সকালে কিংবা বিকেলে বড়দের সাথে ঘুরতে যেতাম। সেদিন ডিসি কোর্টে গিয়ে কি কি করলাম সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করি।
ছোটবেলা থেকেই কুষ্টিয়া ডিসিকোর্টের সাথে ভীষণভাবে পরিচিত আমরা। বিকেল বেলা ঘোরাঘুরির অন্যতম জায়গা ছিল ডিফিকোর্ট। ডিসি কোর্টের একদম পাশেই আমার পিসিমণির বাসা। আমি যেহেতু অনেক ছোটবেলা থেকেই পিসিমণির বাসায় বড় হয়েছি। সেজন্য জায়গাটা আমার ভীষণ চেনা। বিকেলে দিদি, দাদা, ছোট ভাই বোন এবং বড়রাও কেউ কেউ আসতো আমাদেরকে নিয়ে ডিসি কোর্টে। ইচ্ছেমতো মজা খেলাধুলা সবই করতাম সেখানে।
তারপর আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি সেই সময়টা প্রায় প্রতিদিন আমি ডিসি কোর্টে আসতাম। তখন আমি সাইকেল চালাতে পারতাম। যখনই মন খারাপ লাগতো চলে আসছে নিজের সাইকেল নিয়ে ডিসি কোর্টে ঘুরতে। ডিসি কোর্টের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চিকন এক রাস্তা সে রাস্তা যে আমার কত চেনা সেটা আর নাই বলি। ভীষণ সুন্দর রাস্তাটা সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগতো।
খুব ভালো লাগার জায়গা হলেও মেসে ওঠার পর থেকে আর যাওয়া হয় না। এখন খুব কম ঘোরাঘুরি হয়। পড়াশোনা কাজ রান্না করা সবকিছু মিলিয়ে আর ঘুরে বেড়ানোর সময় হয়ে ওঠেনা। সেদিন আপুদেরকে বললাম চলেন একটু ঘুরে আসি। আবু বলল চলো যাই। আপুর একটা বান্ধবী আছে সে আবার ছবি তুলতে ভীষণ পছন্দ করে। ওই আপুটা আমাকে বলল ছবি তোলা যায় এরকম কোন সুন্দর জায়গায় যাই চলো। সুন্দর ছবি তোলার মতো দুটো জায়গার অপশন ছিল এক ডিসি কোর্টআর আরেকটি লালন উদ্যান। আপু বলল চলো ডিসি করে যাওয়া যাক।
আমিও বললাম চলেন আপু যাই। তারপর আমরা তিনটে নাগাদ রেডি হয়ে ডিসি কোট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এখন যেহেতু শীতের সময় খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যে হয়ে যায় সেজন্য একটু তাড়াতাড়ি গিয়েছিলাম। আমরা একটা রিকশা নিয়ে তিনজন চলে গিয়েছিলাম ঘুরতে। সেখানে গিয়ে বেশ দারুণ সময় উপভোগ করলাম। প্রকৃতির মাঝে সময় উপভোগ করতে আমার খুব ভালো লাগে। ডিসি কর্টে সবথেকে ভালো লাগে সেখানে অনেক ধরনের ফুল রয়েছে আর অনেক মানুষের সমাগম হয় প্রতিদিন।
সেদিনও তার ব্যতিক্রম হলো না। গিয়ে দেখি অনেক মানুষজন। সবাই হাঁটতে এসেছে। প্রতিদিন বিকেলে এবং সকালে এরকম মানুষের ভিড় জমে সেখানে। আমরা গিয়ে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় হাটাহাটি করলাম। ডিসি কোর্ট জায়গাটা অনেক বড়। চারিদিক দিয়ে ঘুরে বেড়াতে বেশ কিছুটা সময় লাগলো। তারপর শুরু হল ছবি তোলার পালা। বড় আপুর বান্ধবী তো ছবি তুলেই যাচ্ছে। আর তার ছবির ক্যামেরাম্যান ছিলাম আমি। যদিও আমি খুব ভালো ছবি তুলতে পারি না।
ওই আপুর ছবি তুলে দিতে দিতে তার মাঝে নিজের কিছু ছবি তুলেনি।তারপর ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য ক্যাপচার করিনি। সেদিনের সূর্যটা যেন একটু বেশি ভালো লাগছিলো।সবুজ প্রকৃতির মাঝে সূর্য পাটে যাওয়ার দৃশ্যটি অপূর্ব লাগছিলো।অপূর্ব দৃশ্যটি ক্যাপচার না করে আর পারলাম না।
বেশ কিছুক্ষণ সময় ডিসি কোটের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পর আমরা ভাবলাম কিছু একটা খাওয়া উচিত। এদিকে সূর্য পশ্চিম আকাশে ডুব দিতে বসেছে। সেজন্য আর দেরি করলাম না। আপু বলল চলো এবার যাওয়া যাক। মেসের মধ্যে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে যখন বিরক্ত লাগে তখন খোলা আকাশের নিচে সবুজ প্রকৃতির ঘ্রাণ নিতে খুব ভালো লাগে। সেজন্যই বেরিয়ে পড়ি সবুজ প্রকৃতির ঘ্রানিতে।
প্রথমে ভাবলাম ঝাল মুড়ি খাব তারপর আবার ভাবলাম ফুচকা খাই। কোথাও ঘুরতে গেলে ফুচকা কিংবা ঝাল মুড়ি না খেলে আমার ভালো লাগে না। তারপর আপুদের সাথে কথা বলে ঠিক করলাম ফুচকা খাব। এর আগে আমি অনলাইন থেকে দেখেছিলাম কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে ছোট ফুচকা পাওয়া যায়। খোঁজ করতে লাগলাম ছোট ফুচকার।
অনেকের কাছে খোঁজ করলাম কিন্তু পেলাম না। তারপর ডিসি কোর্টের বাইরের গেটের দিকে আসতে দেখি এক মামা ফুচকা বিক্রি করছে। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই সে বললো হ্যাঁ এখানেই পাওয়া যায়। তারপর সেখান থেকে তিনজন তিন বাটি ফুচকা খেয়ে নিলাম। টেস্ট বেশ ভালই ছিলো।এটা আমি প্রথমবার ট্রাই করেছিলাম।
মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ভীষণ ভালো লাগে। সেজন্যই সময় হলে বেরিয়ে পড়ি একটু শান্তির খোঁজে। আসল শান্তি তো প্রকৃতির সৌন্দর্যে মেলে। সবমিলিয়ে সেদিন ঘোরাঘুরিটা বেশ ভালোই ছিলো।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
কুষ্টিয়ার ডিসি কোর্ডে গিয়ে দেখছি খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। ঘুরাঘুরি করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। ঘুরাঘুরি করার সময় খাবার খেয়েছেন মজা করে। ফুচকা দেখে তো মনে হচ্ছে এই ফুচকা দারুন ছিল। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন ঘুরাঘুরি করার সময়। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।
কুষ্টিয়ার ডিসি কোর্ট সত্যিই অনেক সুন্দর একটি জায়গা। যখন কুষ্টিয়া শহরে থাকতাম তখন মাঝেমধ্যেই ডিসি কোর্টে কারণে কিংবা কারণে যেতাম। মেসের বড় আপুদের সাথে কুষ্টিয়ার ডিসি কোর্টে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। এটা সত্যি বলেছো প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ভীষণ ভালো লাগে। আমিও তোমার মতোই প্রকৃতির মাঝে সুখ খোঁজার চেষ্টা করি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঘুরাঘুরি করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। বিভিন্ন রকম জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা খুবই সুন্দর ছিল। পুরো মুহূর্তটা আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সেই সাথে আবার ফুচকা খেয়েছেন এটা দেখে বেশি ভালো লেগেছে। ফুচকা গুলো দেখে আমার নিজেরও খেতে ইচ্ছে করছে।
কুষ্টিয়া ডিসি কোটে আগে অনেক সময় পার করেছি। বিকেল মুহূর্তে সেখানে কাটানোর দারুন জায়গা একান্ত নিরিবিলি পরিবেশ। আপনি দেখছি বড় আপুদের সাথে সেখানে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন। আমাদের সাথে সেই সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর আর নিরিবিলি জায়গা। এই ধরনের জায়গাগুলোতে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। ফুচকার বাটি গুলো দেখে তো লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
কুষ্টিয়ার ডিসি কোটে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। জায়গাটি অত্যন্ত সুন্দর এবং মনোরম তা ছবিতেই বুঝতে পারছি। অনেকটা সময় সুন্দর একটি জায়গায় অতিবাহিত করেছেন। তারপর ছোট ফুচকা খেয়ে ঘোরাটা একেবারে পরিপূর্ণ করেছেন। সব মিলিয়ে দারুণ সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে তার ডিটেল আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
তিনটি ম্যান্ডেটরি টাস্ক কমপ্লিট করার পরে স্ক্রিনশট নিয়েছি।